নিজস্ব প্রতিবেদক

  ০৭ আগস্ট, ২০১৯

বঙ্গবন্ধু অর্থনীতি গড়তে পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা করেন

স্বাধীনতার পর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে মাত্র সাড়ে ৩ বছর পেয়েছিল বাংলাদেশ। এই কম সময়ের শাসনামলেই প্রায় শূন্য অর্থনীতির দেশকে আত্মমর্যাদাসম্পন্ন জাতি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করে যান বঙ্গবন্ধু। দেশের অর্থনীতি নতুন করে গড়ে তুলতে ১৯৭৩ সালে প্রথম পাঁচসালা বা পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা গ্রহণ করেন বঙ্গবন্ধু। দারিদ্র্য দূর করা, সবার জন্য কর্মসংস্থান, খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা ও চিকিৎসার মতো মৌলিক চাহিদা পূরণ এবং কৃষির আধুনিকায়নের মাধ্যমে উৎপাদন বাড়ানোই ছিল প্রথম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার লক্ষ্য।

দায়িত্ব নেয়ার কয়েক মাসের মধ্যে দেশের কৃষি ক্ষেত্রে স্বাভাবিকতা ফিরিয়ে আনেন বঙ্গবন্ধু। কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে সার ও কীটনাশকসহ কৃষি উপকরণ বিতরণ, ভূমিহীন কৃষকদের মাঝে খাসজমি বণ্টন, ৫ হাজার টাকার ওপরে কৃষিঋণ মওকুফ, ২৫ বিঘা পর্যন্ত জমির খাজনা মওকুফসহ নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করেন তিনি। দেশ গঠনে অসামান্য ভূমিকার জন্য ৭৩ সালের ২৩ মে বঙ্গবন্ধুকে জুলিও কুরি শান্তি পদকে ভূষিত করে বিশ্বশান্তি পরিষদ।

১৯৪৭ সালে ভারত-পাকিস্তান ভাগের পর থেকেই বঞ্চিত ছিল পূর্ব পাকিস্তান। এ ভূ-খ-ে গুটিকয়েক ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ও শিল্পকারখানা গড়ে উঠলেও তার মালিকানা ছিল পশ্চিম পাকিস্তানিদের হাতে। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর পাকিস্তানি ব্যবসায়ীরা তাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও শিল্প কলকারখানা ফেলে চলে যান। ১৯৭২ সালে আইন করে এমন ৪০০টি ব্যাংক-বীমা-পাট ও বস্ত্রকল জাতীয়করণ করেন বঙ্গবন্ধু। অর্থনীতিকে শক্তিশালী করতে জাতীয় কমিশন গঠিত হলেও প্রতিটি ক্ষেত্রেই দক্ষ লোকের অভাব ছিল।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close