সংসদ প্রতিবেদক

  ০৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯

সংসদে রেলমন্ত্রী

ভারতের সঙ্গে চালু হচ্ছে ৯ রেলরুট

ভারতের সঙ্গে মোট ৯টি রেল ইন্টারচেঞ্জ রেলরুট চালু করা হবে বলে জানিয়েছেন রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন। গতকাল সোমবার বিকেলে জাতীয় সংসদ অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বে তিনি এ তথ্য জানান।

সংসদ সদস্য আলী আজমের এক লিখিত প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, বাংলাদেশ থেকে ভারতের সঙ্গে রেলওয়ে সংযোগের জন্য ৭টি ইন্টারচেঞ্জ পয়েন্ট আছে। এর মধ্যে বর্তমানে ৪টি চালু রয়েছে। বাকি ৩টি ইন্টারচেঞ্জ চালু করার জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। এছাড়া আরো দুটি নতুন ইন্টারচেঞ্জ পয়েন্ট চালুর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। এসব রেল সংযোগের মধ্যে রয়েছে দর্শনা-ভারতের গেদে, বেনাপোল-পেট্রাপোল, রোহনপুর- সিঙ্গাবাদ, বিরল-রাধিকাপুর, শাহবাজপুর-মহিশাসন, চিলাহাটি-হলদিবাড়ি, বুড়িমারী-চেংরাবান্ধা, আখাউড়া-আগরতলা এবং ফেনী থেকে ভারতের বিলোনিয়া পর্যন্ত রেলপথ নির্মাণ।

সরকারি দলের নূরুন্নবী চৌধুরীর প্রশ্নের জবাবে রেলমন্ত্রী জানান, যানজট নিরসনে ঢাকা শহরের চারদিকে বৃত্তাকার রেলপথ নির্মাণের জন্য একটি সম্ভাব্যতা সমীক্ষা প্রস্তাব গত ২০১৭ সালের ২৭ ডিসেম্বর পরিকল্পনা কমিশনে অনুমোদিত হয়। এর পরামর্শক নিয়োগের জন্য দুইবার ইওআই আহ্বান করা হয়েছে। সমীক্ষা প্রতিবেদনের ভিত্তিতে নির্মাণ প্রকল্প গ্রহণ করা হবে বলেও তিনি জানান।

প্রশ্নকর্তার সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে রেলমন্ত্রী বলেন, ঢাকা থেকে সিলেট এবং ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম পর্যন্ত দ্রুতগতির রেলরুট চালুর ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশক্রমে রেলওয়ে উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। এরই মধ্যে এ রুটের সম্ভাব্যতা যাচাই করার কাজ চলছে। আশাকরি সম্ভাব্যতা যাচাই শেষ হলে আমরা ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে দ্রুতগতির রেললাইন বসানোর কাজ করতে সমর্থ হব।

এম আবদুল লতিফের প্রশ্নের জবাবে রেলপথ মন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন বলেন, দীর্ঘদিন ধরে রেলওয়ে খাতে পর্যাপ্ত বিনিয়োগ না হওয়ায় সম্ভাবনাময় রেলওয়েকে দুর্বল সংস্থায় পরিণত করে রাখা হয়েছিল। যার পরিপ্রেক্ষিতে রেললাইন নির্মাণ, সংস্কার ও পুনর্নির্মাণ কাজ বাস্তবায়ন সম্ভব হয়নি। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে এই সংস্থায় সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার প্রদান করেছে। নেওয়া হয় নতুন নতুন প্রকল্প। এসব প্রকল্পের মধ্যে বাংলাদেশ রেলওয়ের লালমনিরহাট-বুড়িমারী সেকশনের পুনর্বাসন (১ম সংশোধিত) প্রকল্পে ৯৫ কিলোমিটার এবং কালুখালি-ভাটিয়াপাড়া সেকশনের পুনর্বাসন এবং কাশিয়ানী-গোপালগঞ্জ-টুঙ্গীপাড়া ১৩১.২৫ কিলোমিটার নতুন রেলপথ নির্মাণ (২য় সংশোধিত) প্রকল্প গ্রহণ করা হয়।

মন্ত্রী আরো বলেন, বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার গত দশ বছরে (২০০৯-১৯ সালের এ পর্যন্ত) মোট ১.০৮,৬১৬.৩৭ কোটি টাকা ব্যয়ে ৮১টি নতুন প্রকল্প গ্রহণ করেছে। এখন পর্যন্ত ৬৪টি প্রকল্পের কাজ সমাপ্ত হয়েছে।

২০১৮-১৯ অর্থবছরে এডিপিতে বাংলাদেশ রেলওয়েতে ৪৫টি বিনিয়োগ প্রকল্প এবং ৩টি কারিগরি সহায়তা প্রকল্প অর্থাৎ ৪৮টি উন্নয়ন প্রকল্প অন্তর্ভুক্ত আছে। চলতি অর্থবছরে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে (এডিপি) বাংলাদেশ রেলওয়ের জন্য ১১,৩৩১.৪৮ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close