কক্সবাজার প্রতিনিধি

  ০৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯

রোহিঙ্গা নির্যাতনের কথা শুনলেন অ্যাঞ্জেলিনা জোলি

কক্সবাজার সফরের প্রথম দিনেই টেকনাফের চাকমারকুল শরণার্থী শিবির পরিদর্শন করেছেন হলিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী ও জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থার (ইউএনএইচসিআর) বিশেষ দূত অ্যাঞ্জেলিনা জোলি। গতকাল সোমবার দুপুর সোয়া ১টা থেকে বিকেল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত প্রায় ৩ ঘণ্টা ওই ক্যাম্পে সময় কাটান তিনি। এ সময় জোলি মিয়ানমারে নির্যাতনের শিকার হয়ে বাংলাদেশে পালিয়ে ওই ক্যাম্পে আশ্রয় নেওয়া নির্যাতিত রোহিঙ্গাদের সঙ্গে কথা বলেন।

তাদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন এবং নির্যাতিতদের মুখে নির্যাতনের কাহিনী শোনেন। ক্যাম্প পরিদর্শন শেষে ইনানীতে পাঁচ তারকামানের হোটেল রয়েল টিউলিপে রাত যাপন করবেন তিনি। তবে ক্যাম্প পরিদর্শনকালে কোনো সাংবাদ কর্মীকে ক্যাম্পের ভেতরে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি।

চাকমারকুল ২১নং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের নেতা মো. শফিউল্লাহ জানান, দুপুর সোয়া ১টার দিকে হলিউডের এই অভিনেত্রী ক্যাম্পে পৌঁছান। তিনি ডি ব্লকের ২৫-৩০ জন রোহিঙ্গা নারীর সঙ্গে কথা বলেন। এ সময় অনেকেই তাকে মিয়ানমারের নির্যাতনের কাহিনী তুলে ধরেন।

এর আগে সোমবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে একটি বেসরকারি প্লেনে কক্সবাজার পৌঁছেন এই জনপ্রিয় অভিনেত্রী। সেখান থেকে কড়া নিরাপত্তা বেষ্টনীর মধ্য দিয়ে তাকে ইনানীর একটি হোটেলে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে তিনি চলে যান টেকনাফের চাকমারকুল শরণার্থী শিবিরে।

সফর সূচি অনুযায়ী আজ মঙ্গলবার সকালে উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্প-৪ পরিদর্শন করার কথা রয়েছে জোলির। সেখানে নির্যাতিত রোহিঙ্গাদের সঙ্গে কথা বলার পাশাপাশি ইউএনএইচসিআর, ব্র্যাক, রিলিফ ইন্টারন্যাশনালসহ বিভিন্ন সংস্থার কর্মকর্তাদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় ও আলোচনা করবেন তিনি।

এছাড়া ক্যাম্পে অবস্থানরত রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বিভিন্ন দাতা সংস্থা ও এনজিও পরিচালিত স্বাস্থ্যসেবামূলক প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করার কথা রয়েছে এই অভিনেত্রীর। কক্সবাজার সফর শেষ করে ঢাকা যাবেন। সেখানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাতের কথা রয়েছে তার। রোহিঙ্গা পরিস্থিতি নিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেনসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন জোলি।

এদিকে ইউএনএইচসিআর এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, গত বছরের ২৫ আগস্টের পর থেকে এ পর্যন্ত প্রায় সাড়ে ৭ লাখ রোহিঙ্গা মিয়ানমার থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। এর মধ্যে শুধুমাত্র উখিয়ার কুতুপালং ক্যাম্পেই বসবাস করছে প্রায় ৬ লাখ ২০ হাজার রোহিঙ্গা। এসব রোহিঙ্গার মানবিকসেবা নিশ্চিত করতে গিয়ে আশ্রয়দানকারী দেশ হিসাবে জটিল কিছু চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ।

এসব পরিস্থিতি স্বচক্ষে দেখার জন্য জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থার (ইউএনএইচসিআর) বিশেষ দূত হিসেবে রোববার পাঁচ দিনের সফরে বাংলাদেশে আসেন অ্যাঞ্জেলিনা জোলি।

গত বছরের ২১ মে জাতিসংঘের শিশু বিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফের শুভেচ্ছাদূত হিসেবে কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেন বলিউড অভিনেত্রী সাবেক বিশ্বসুন্দরী প্রিয়াঙ্কা চোপড়া।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close