বিশেষ প্রতিবেদক
বুলবুল-লিটনের পাল্টাপাল্টি
আসন্ন রাজশাহী সিটি করপোরেশন (রাসিক) নির্বাচনে প্রচার-প্রচারণার দ্বিতীয় দিনে বিএনপির মেয়র প্রার্থী মোহাম্মদ মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল গণসংযোগ কালে সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করে বলেছেন, ‘সরকার দলীয় মেয়র প্রার্থীর পক্ষ থেকে তার পোস্টার, ব্যানার ও ফেস্টুন টাঙাতে বাধা দেওয়া হচ্ছে। টাঙানো পোস্টার ছিড়ে নষ্ট করে ফেলছে। ধানের শীষ প্রতীকের প্রচারপত্র বহনকারী পিকআপ ভ্যানের ওপর নৌকা প্রতীক সমর্থিতরা হামলা চালিয়ে ফেস্টুন ও পোস্টার নষ্ট করার পাশাপাশি ওই গাড়ি ভাঙচুর করেছে। পোস্টার লাগাতে গেলে ধানের শীষ সমর্থিত কর্মীদের লাঞ্ছিত করা হচ্ছে।’ এ ঘটনায় বুধবার রাসিক নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা কাছে নির্বাচন আচরণ বিধি ভঙ্গের দায়ে লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে।
সুষ্ঠু ও নিরোপক্ষ ভোট নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করে বুলবুল বলেন, প্রশাসনের পক্ষ থেকেও ধানের শীষে ভোট দিতে নিষেধ করাসহ ভোট কেন্দ্রে না যাওয়ার জন্য তার সমর্থকদের ভয়ভীতি দেখানোসহ হয়রানি করা হচ্ছে। সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে প্রায় ৭০ হাজার ভোটে তিনি জয়লাভ করবেন বলেও আশা প্রকাশ করেন বুলবুল।
নগরীর ১নং ওয়ার্ডে গণসংযোগকালে বুলবুলের সঙ্গে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা এবং সাবেক মেয়র ও সংসদ সদস্য মিজানুর রহমান মিনু, মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট শফিকুল হক মিলন, রাজপাড়া থানা বিএনপির সভাপতি শওকত আলী, সাধারণ সম্পাদক আলী হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে, বুলবুলের অভিযোগ অস্বীকার করে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের মেয়র প্রার্থী ও নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন বলেছেন, পরাজয় নিশ্চিত জেনে শুরুতে অপপ্রচারে নেমেছে বিএনপি। বুধবার সকালে গণসংযোগকালে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বিএনপির প্রার্থীর অভিযোগের ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে লিটন বলেন, আওয়ামী লীগ বড় ও সুসংগঠিত দল। নির্বাচন নিয়ে সব পরিকল্পনা ও প্রস্তুতি তাদের আগে থেকেই ছিল। তাই এক রাতেই সব এলাকায় তার পোস্টার, ব্যানার ও ফেস্টুন টাঙানো হয়েছে। বুলবুলের পোস্টার, ব্যানার ও ফেস্টুন ছিড়ে নষ্ট করার অভিযোগ ভিত্তিহীন উল্লেখ করে বলেন, হার নিশ্চিত জেনে বিএনপি প্রচারের শুরুতেই অপপ্রচার শুরু করেছে।
নগরীর ১২নং ওয়ার্ড সাহেববাজার আরডিএ মার্কেটে গণসংযোগকালে লিটনের সঙ্গে বোয়ালিয়া থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি আতিকুর রহমান কালু ও ৯নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর এ কে এম রাশেদুল হাসান তুরু, ১২নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. হাসান, ব্যবসায়ী সমিতির সহ-সভাপতি জাহিদুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
বুলবুলের অভিযোগ প্রাপ্তির কথা স্বীকার করে রাজশাহী জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও সিটি নির্বাচনের সহকারী রির্টানিং কর্মকর্তা আতিয়ার রহমান প্রতিদিনের সংবাদকে জানান, ‘অফিসিয়াল কাজে ঢাকায় আছি। শুনেছি বিএনপির পাশাপাশি প্রচার কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগ করেছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন। উভয় অভিযোগের বিষয়েই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য পুলিশ কমিশনারের কাছে পত্র পাঠানো হবে।’
এদিকে, রাজশাহী সিটি করপোরেশন নির্বাচনে স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী মুরাদ মোর্শেদের পক্ষে প্রচারে নেমেছেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি। মুরাদ মোর্শেদ সংগঠনটির রাজশাহী জেলা শাখার আহ্বায়ক। সিটি নির্বাচনে গণসংহতি তাকে সমর্থন দিয়েছে।
"