নিজস্ব প্রতিবেদক

  ০৫ জুলাই, ২০১৮

বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী

ক্ষমতা নয়, আমাদের মূল লক্ষ্য জনসেবা

‘দিনবদলের ইশতেহার লিখেছি জেলে বসেই’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘আমরা রাজনীতি করি। আওয়ামী লীগের রাজনীতির লক্ষ্য কিন্তু ক্ষমতায় বসে ক্ষমতা ভোগ করা নয়; জনসেবা করা। দেশকে গড়ে তোলা। দেশের মানুষের কল্যাণ করা।’ গতকাল বুধবার সকালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে মন্ত্রণালয় ও বিভাগ সমূহের ২০১৮-১৯ অর্থবছরের বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় ২০১৬-১৭ বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি বাস্তবায়নে সর্বোচ্চ নম্বর পাওয়ায় বাস্তবায়ন ও মূল্যায়ন বিভাগ, মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং কৃষি মন্ত্রণালয়কে সম্মাননা তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি ভালো কাজের জন্য যারা পুরস্কার পেয়েছেন, তাদের ধন্যবাদ জানান।

যত বাধাই আসুক না কেন, তা অতিক্রম করে সাফল্য অর্জন করা হবে বলে জানিয়ে সরকারপ্রধান বলেন, এজন্য প্রয়োজন আত্মবিশ্বাস, দৃঢ়তা ও পরিকল্পনা নেওয়ার মতো চিন্তাভাবনা। তিনি বলেন, ‘স্বাধীনতার সময় যারা বলেছিল বাংলাদেশকে স্বাধীন করে কী করবে, এটা তো একটা তলাবিহীন ঝুড়ি। দেশের উন্নয়ন করে আমরা এর জবাব দিচ্ছি। যারা বাংলাদেশকে নিয়ে একসময় সমালোচনা করছিল, তারাই আজ প্রশংসা করছে।’

আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, “২০০৭ সালে বন্দিখানায় বসে বসে দিন-রাত পরিকল্পনা করেছি এবং ভেবেছি ক্ষমতায় গেলে কীভাবে দেশ পরিচালনা করব। বিভিন্ন চিন্তাধারা লিপিবদ্ধ করি। তার আলোকেই আমরা ‘দিন বদলের সনদ’ নামে একটি ইশতেহার প্রণয়ন করি। এ সনদের ভিত্তিতেই আমরা দেশের উন্নয়ন করি। ২০২১ সালের মধ্যে দেশকে ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত করার লক্ষ্য নিয়ে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। আবার ২০১৪ সালে ক্ষমতায় আসার পর ২০৪১ সালে আমরা বাংলাদেশকে কেমন দেখতে চাই, সে পরিকল্পনাও মাথায় নিয়ে কাজ শুরু করেছি।”

শেখ হাসিনা বলেন, ‘কেবল ক্ষমতা ভোগ করা নয়, জনগণের সেবা করাই আওয়ামী লীগ সরকারের মূল লক্ষ্য। ?আমরা দেশের সম্পর্কে চিন্তা করে যে পরিকল্পনা করি, সেই লক্ষ্যে আন্তর্জাতিকভাবে দেশকে পরিচিত করি। ২০০০ সালে প্রধানমন্ত্রী থাকাবস্থায় আমরা জাতিসংঘে এমডিজি স্বাক্ষর করি। এ ক্ষেত্রে আমরা সাফল্য অর্জন করতে পেরেছি। নিজেদের পরিকল্পনা ছিল বলেই এ সাফল্য এসেছে।’

সরকারি কর্মকর্তাদের ধন্যবাদ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা পথপ্রদর্শকের ভূমিকা পালন করি। আর আপনারা নিজেদের দক্ষতা দিয়ে সেগুলো বাস্তবায়ন করছেন।’

বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তির বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা ২০১৮-১৯ অর্থবছরের বাজেট দিয়েছি। এ বছর ১ লাখ ৭০ হাজার কোটি টাকার কর্মসম্পাদন পরিকল্পনা হাতে নিয়েছি। এখন এগুলো দ্রুতগতিতে বাস্তবায়ন করতে হবে।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বিভিন্ন প্রাকৃতিক, মনুষ্যসৃষ্ট ও রাজনৈতিক দলের সৃষ্ট দুর্যোগ মোকাবিলা করে আমাদের এগিয়ে যেতে হচ্ছে। তার পরও বাংলাদেশ আজ বিশ্বে মর্যাদাপূর্ণ একটি দেশ। বিশ্বে যে মর্যাদা আমরা পেয়েছে তা ধরে রেখে এগিয়ে যেতে হবে। আমরা সন্ত্রাস, জঙ্গি ও মাদকমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে চাই।’

অনুষ্ঠানে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী বেগম ইসমত আরা সাদেক, মন্ত্রিপরিষদ সচিব সফিউল আলম ও প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব নজিবুর রহমান বক্তব্য দেন। চুক্তির ফাইলে স্বাক্ষরের পর বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সিনিয়র সচিব ও সচিবরা তাদের ফাইল প্রধানমন্ত্রীর কাছে হস্তান্তর করেন।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close
Error!: SQLSTATE[42S02]: Base table or view not found: 1146 Table 'protidin_sangbad.news_hits_counter_2020_04_07' doesn't exist
Error!: SQLSTATE[42S02]: Base table or view not found: 1146 Table 'protidin_sangbad.news_hits_counter_2020_04_07' doesn't exist