নিজস্ব প্রতিবেদক
রাজশাহী বরিশাল সিলেট সিটি নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা
এক নজরে - * মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৮ জুন * যাচাই বাছাই ১ ও ২ জুলাই * মনোনয়ন প্রত্যাহার ৯ জুলাই * ১০ জুলাই প্রতীক বরাদ্দ
রাজশাহী, বরিশাল ও সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়েছে। ২৮ জুন মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ তারিখ। ভোট আগামী ৩০ জুলাই। গতকাল বুধবার সকালে নির্বাচন ভবনে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সচিব মো. হেলালুদ্দিন আহমেদ আনুষ্ঠানিকভাবে এ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন। এর আগে গত ২৯ মে কমিশন সভা করে এ তিন সিটিতে ১৩ জুন তফসিল এবং ৩০ জুলাই ভোটের কথা জানিয়েছিলেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) খান. মো. নুরুল হুদা।
ভোট সম্পন্ন হওয়া খুলনা সিটি ও আসন্ন গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনের মতো তফসিল ঘোষিত তিন সিটিতে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার করবে কমিশন। তবে এসব সিটিতে কয়টি ওয়ার্ডে প্রযুক্তির ব্যবহার হবে তা এখনো নির্ধারণ করা হয়নি। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার শেষ দিন ২৮ জুন, যাচাই-বাছাইয়ের জন্য ১ ও ২ জুলাই এবং মনোনয়ন প্রত্যাহারের জন্য ৯ জুলাই দিন ঠিক করা হয়েছে।
চূড়ান্ত প্রার্থীদের মধ্যে আগামী ১০ জুলাই প্রতীক বরাদ্দ হবে; ওই দিন থেকেই শুরু হয়ে যাবে নির্বাচনের প্রচারণা।
সংশ্লিষ্ট সিটির আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তাদের এসব সিটির রিটার্নিং কর্মকর্তা করা হয়েছে। রিটার্নিং কর্মকর্তাদের সহায়তা দিতে রাজশাহী ও বরিশালে ১০ জন এবং সিলেটে ৯ জন সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা নিয়োগ করেছে ইসি।
তফসিল ঘোষণা করে কমিশন সচিব বলেন, আগের ঘোষিত সময়সূচি অনুযায়ী বরিশাল, সিলেট ও রাজশাহী সিটিতে ভোট অনুষ্ঠিত হবে। এসব সিটির আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তাকে রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া রাজশাহী ও বরিশালে ১০ জন করে এবং সিলেট সিটি করপোরেশনে ৯ জন সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা দায়িত্ব পালন করবেন।
ইসি কর্মকর্তারা জানান, খান মো নূরুল হুদা নেতৃত্বাধীন বর্তমান কমিশন দায়িত্ব গ্রহণের পর এ পর্যন্ত জাতীয় সংসদের বেশ কয়েকটি উপনির্বাচনসহ স্থানীয় সরকারের বেশকিছু নির্বাচন আয়োজন এবং তা ভালোভাবে সম্পন্ন করেছে। এর মধ্যে স্থানীয় সরকারের বড় পরিসরের নির্বাচন সিটি করপোরেশন ভোট আয়োজন করেছে তিনটি। সদ্য সমাপ্ত খুলনা সিটির আগে কুমিল্লা ও রংপুর সিটিতে ভোট সম্পন্ন হয়েছে। খুলনা সিটিতে নিয়ন্ত্রিত নির্বাচন নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠে। নির্বাচন কমিশনও ওই নির্বাচনের পর নড়েচড়ে বসে। তাই আইনি জটিলতায় পিছিয়ে পড়া গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনটি কোনো ধরনের অভিযোগ ছাড়াই শেষ করতে ছক কষে। এ সিটিতে আগামী ২৬ জুন ভোট হবে।
আগামী ডিসেম্বরের শেষদিকে একাদশ সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এ নির্বাচনের কর্মযজ্ঞ শুরুর আগেই রাজশাহী, বরিশাল ও সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ভোট সম্পন্ন করার উদ্যোগ নেয় ইসি। আগস্ট মাস জাতীয়ভাবে শোকের মাস হিসেবে পালিত হয়ে থাকে। তাই ওই মাসে কোনো ভোট উৎসব না করে জুলাইয়ের মধ্যেই ভোট শেষ করার সিদ্ধান্ত নেয় কমিশন। গতকাল তফসিল ঘোষণার মাধ্যমে তার প্রতিফলন দেখালো নির্বাচন কমিশন।
উল্লেখ্য, তফসিল ঘোষিত তিন সিটিতে ভোট হয়েছিল ২০১৩ সালের ১৫ জুন। এর মধ্যে রাজশাহী সিটি করপোরেশনের প্রথম সভা হয় ২০১৩ সালের ৬ অক্টোবর। এ সিটির মেয়াদ পূর্ণ হবে আগামী ৫ অক্টোবর; নির্বাচনের দিন গণনা শুরু হয়েছে ৯ এপ্রিল। সিলেট সিটির প্রথম সভা হয় ২০১৩ সালের ৯ অক্টোবর। এ সিটির মেয়াদ পূর্ণ হবে আগামী ৮ অক্টোবর, ১১ এপ্রিল নির্বাচনের দিন গণনা শুরু হয়েছে। বরিশাল সিটির প্রথম সভা হয় ২০১৩ সালের ২৪ অক্টোবর। এ সিটির মেয়াদ পূর্ণ হবে আগামী ২৩ অক্টোবর। নির্বাচনের দিন গণনা শুরু হয়েছে ২৭ এপ্রিল। মেয়াদ শেষের আগের ছয় মাসের মধ্যে মেয়াদোত্তীর্ণ সিটিতে নির্বাচনের আইনি বাধ্যবাধকতা রয়েছে।
"