বগুড়া প্রতিনিধি
ট্রাকের ধাক্কায় হাত হারানো শিশু সুমি শঙ্কা মুক্ত
বগুড়ার শেরপুরে ট্রাকের ধাক্কায় হাত হারানো শিশু সুমি এখন শঙ্কা মুক্ত। গতকাল সোমবার দুপুরে এ কথা জানিয়েছেন হাসপাতালের উপপরিচালক ডা. নির্মলেন্দু চৌধুরী। তিনি বলেন, সুমিকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা ও আর্থিক সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। তারা বাম হাত বিচ্ছিন্ন হয়েছে এবং ডান হাত ও মাথায় আঘাত লেগেছে। কয়েক দিন পর তার ডান হাতের অপারেশন করা হবে। আগামী ৩ সপ্তাহের মধ্যে সুমি সুস্থ হয়ে উঠবে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন মেডিকেল কলেজের উপাধ্যক্ষ ডা. রেজাউল আলম জুয়েল, হাসপাতালের সহকারী পরিচালক এটিএম নুরুজ্জামান, অর্থোপেডিক সার্জন ডা. নরেশ কুমার রায়। এদিকে বগুড়া শজিমেক হাসপাতালে গিয়ে দেখা গেছে, ৮ বছরের শিশুকন্যা সুমি খাতুন বিচ্ছিন্ন হওয়া হাতে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। সে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজের অর্থোপেডিক ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন। তার মা মরিয়ম খাতুন মেয়ের শয্যাপাশে রয়েছেন।
হাসপাতালের উপপরিচালক ডা. নির্মলেন্দু চৌধুরী আরো জানান, রোববার সড়ক দুর্ঘটনার পর সুমির প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়েছে। এ শিশুটির জন্য হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসক ডা. পাপিয়া রক্ত দেন। সুমির বাড়ি বগুড়ার শেরপুর উপজেলার ফুলতলা দক্ষিণপাড়া। তার মায়ের নাম মরিয়ম এবং বাবা দুলাল খাঁ।
সুমির বাবা দুলা ভ্যানচালক। গত রোববার বেলা সাড়ে ৩টার দিকে আত্মীয়র বাড়িতে নিমন্ত্রণ খাওয়ার জন্য ভ্যানচালক বাবার সঙ্গে বাড়ি থেকে বের হয় শিশুটি। গ্রামের কাঁচাপাকা পথ পেরিয়ে উপজেলার ঢাকা-বগুড়া মহাসড়কের শেরুয়া বটতলা এলাকায় পৌঁছায় বাবা-মেয়ে। এ সময় শিশুটি মহাসড়কের এপার থেকে ওপারে যাওয়ার চেষ্টা করে। ঠিক সেই মুহূর্তে একটি ট্রাকের ধাক্কায় শিশুটির একটি হাতের অর্ধেক বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ আজিজ মন্ডল জানান, গত রোববার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে ৮ বছরের শিশু সুমিকে আহত অবস্থায় ভর্তি করা হয়। এ ব্যাপারে সোমবার দুপুরে শিশুটির চাচা বাদী হয়ে শেরপুর থানায় মামলা করেছেন। ওই ট্রাকটি আটক হয়েছে বলে জানিয়েছেন শেরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বুলবুল ইসলাম।
বগুড়া জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ নূরে আলম সিদ্দিকী জানান, আহত শিশুটির সুচিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। বগুড়া জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান সুলতান মাহমুদ খান রনি জানান, আহত শিশুকে সার্বিক সহযোগিতা করা হচ্ছে।
"