নিজস্ব প্রতিবেদক
মাংস সবজি ডিম ও চালের দাম বেড়েছে
সপ্তাহের ব্যবধানে মাংস, সবজি এবং চালের দাম কিছুটা বেড়েছে। গত সপ্তাহের চেয়ে ২০-৩০ টাকা বেড়েছে মুরগির মাংসের দাম। অন্যদিকে ৫-১৫ টাকা দর বেড়েছে বিভিন্ন সবজির। গতকাল শুক্রবার রাজধানীর নিউমার্কেট, কারওয়ান বাজার, হাতিরপুল এবং মোহাম্মদপুরসহ কয়েকটি বাজার ঘুরে এ তথ্য পাওয়া যায়।
গত সপ্তাহের বাজারে ১৩০ টাকায় বিক্রি হওয়া ব্রয়লার মুরগি ১৪৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। অন্যদিকে ১৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে পাকিস্তানি লাল মুরগি। যা গত সপ্তাহে ছিল ১৫০-১৬০ টাকা কেজি। এ ছাড়া গত সপ্তাহের সঙ্গে মিল রেখে গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৪৮০ টাকা এবং খাসির মাংস ৭৫০ টাকা। সবজির বাজার ঘুরে দেখা যায়, গত সপ্তাহের চেয়ে ৫-১৫ টাকা বেড়েছে বিভিন্ন সবজির দাম। গত সপ্তাহে ১৫ টাকায় বিক্রি হওয়ার টমেটো বাজারে বিক্রি হয়েছে ৩০ টাকা দরে। এ ছাড়া ৪০ টাকায় বিক্রি হওয়া পটল গতকাল বিক্রি হয়েছে ৫০ টাকা কেজি দরে। ঢেঁড়শ ৪০, করলা ৫০, কাঁকরল ১০০-১১০, বেগুন ৫০, বরবটি ৬০ এবং চিচিংগা ৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। আর গত সপ্তাহের মতোই লাউ ২৫-৩৫, শসা ২০-২৫, ছোট আকারের কাঁচা মিষ্টি কুমড়া ২৫-৩০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।
দাম বাড়ার তালিকায় রয়েছে ডিম ও আলু। ডিমের দাম গত সপ্তাহের তুলনায় ডজনে ২ টাকা বেড়ে ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে দোকানে হালিপ্রতি বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকা। আলুর দাম ১৮ টাকা থেকে বেড়ে ২০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।
ডিম আলুর দাম বাড়ার বিষয়ে খুচরা ব্যবসায়ী ইয়াসিন বলেন, ডিমের দাম দুই-তিন সপ্তাহ ধরে বাড়ছে। আর আলুর দাম বাড়ছে দুই সপ্তাহ ধরে। আলুর দাম বাড়ার কারণ হলো এটি এখন মজুদে চলে যাচ্ছে। তা ছাড়া সামনে রোজা, এটিও আলুর দাম বাড়ার একটি কারণ।
চালের বাজার ঘুরে দেখা যায় মোটা স্বর্ণা চাল বিক্রি হচ্ছে ৪৩ টাকায়। যা গত সপ্তাহে বিক্রি হয়েছে ৪০-৪২ টাকায়। এ ছাড়া পাইজাম ৪৫, মিনিকেট মানভেদে ৬০-৬৫, বিরি আটাশ ৫৭ এবং পোলাওর চাল ৯০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে।
মসলার বাজারে কাঁচা মরিচ ৮০, আদা ১০০-১১০, দেশি পেঁয়াজ ৪০ টাকায় বেচাকেনা হতে দেখা যায়। অন্যদিকে ভারত থেকে আমদানিকৃত বড় পেঁয়াজ ৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। তবে এক দিনের ব্যবধানেই বাজারে রসুনের দাম বেড়েছে কেজিপ্রতি ৫-৬ টাকা। একই বাজারের রসুনের পাইকারি বিক্রেতা কামরুল বলেন, ‘গতকাল ৭৪ টাকা কেজিতে চায়না রসুন বিক্রি করলেও আজ (গতকাল) তা ৮০ টাকায় বিক্রি করতে হচ্ছে। দু’দিনের ব্যবধানেই ৬ টাকা দাম বেড়েছে। তবে দেশি রসুনের দাম স্থিতিশীল রয়েছে।’ একই ধরনের তথ্য জানিয়ে আরেক বিক্রিতা শফিকুল হাসান বলেন, ‘চায়না রসুন বৃহস্পতিবার ৭৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি করলেও গতকাল তা ৮৫ টাকায় বিক্রি করতে হয়। তবে দেশি রসুন ৪০-৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি হয়েছে।’
এদিকে রোজার প্রয়োজনীয় পণ্যের মধ্যে ছোলা ও মুড়ির দাম বেড়েছে। চিনি, ডাল ও তেলের দামও বাড়তে পারে। বাজারে মান ভেদে কেজিপ্রতি ছোলা ৭০-৭৫, মুড়ি ৬০-৬২ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া চিনি বিক্রি হচ্ছে ৫৫-৫৬, মসুর ডাল মান ভেদে ১০০-১৫০ টাকা কেজি এবং বোতলজাত সয়াবিন তেল লিটারপ্রতি ১০৫-১০৯ টাকা বিক্রি হচ্ছে।
মাছের বাজার ঘুরে দেখা যায়, গত সপ্তাহের সঙ্গে সামঞ্জস্য রয়েছে মাছের দাম। বাজারে রুই ২০০ থেকে ২৫০, কাতল ২৫০-৩০০, চিংড়ি আকার ভেদে ৪০০-৮০০, চাষের কই মাছ ১৬০, পাঙ্গাশ ১১০, তেলাপিয়া ১৮০ এবং ইলিশ আকার ভেদে ৫০০ থেকে ১২০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
"