নিজস্ব প্রতিবেদক

  ১০ মার্চ, ২০১৮

শুধু বাংলাদেশ নয় পুরো বিশ্ব এ ভাষণ নিয়ে গর্বিত

প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, পৃথিবীর যেকোনো ভাষণের চেয়েও এই ভাষণ সম্পূর্ণ ব্যতিক্রম। এটি অতুলনীয় ভাষণ। ১৯৭৫ সালের পর ২১ বছর সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ ছিল এ ভাষণ বাজানো। কিন্তু আন্তার্জাতিকভাবে এ ভাষণ আজ স্বীকৃতিপ্রাপ্ত। মুক্তিযুদ্ধে সম্পূর্ণ দিকনির্দেশনা ছিল এ ভাষণে। ভাষণটি মুক্তিযুদ্ধের সময় প্রতিদিন বাজানো হতো। ১৯৭৫ সালের পর হারিয়ে গিয়েছিল। বাঙালি জাতি তা আবারও ফিরে পেয়েছে। শুধু বাংলাদেশ না, সারা বিশ্ব এ ভাষণ নিয়ে গর্বিত।

১৯৭১ সালের ৭ মার্চ তৎকালীন রেসকোর্স ময়দানে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাষণকে ইউনেসকোর স্বীকৃতি প্রদান উপলক্ষে রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে গতকাল শুক্রবার বিকালে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে তিনি এসব কথা বলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, ৭ মার্চের ভাষণ কোনো লিখিত ভাষণ না, কোনো রিহার্সাল দিয়ে তৈরি করা ভাষণও না। এ ভাষণ দীর্ঘ ২৩ বছরের লাঞ্ছনা-বঞ্চনা ও প্রতিবাদের কণ্ঠস্বর। এই ভাষণের আবেদন যুগ যুগ ধরে থাকবে। ৬ দফাকে মুক্তির সনদ হিসেবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ৬ দফার বিপরীতে একটি ৮ দফা দেওয়া হয়েছিল। এর মাধ্যমে দলের মধ্যে দ্বিধা-দ্বন্দ্ব সৃষ্টি করার চেষ্টা করা হয়। কিন্তু পরে সিদ্ধান্ত হয় ছয় দফা থেকে আমরা বিচ্যুত হব না।

আগরতলা মামলা প্রসঙ্গে সরকার প্রধান বলেন, ১৫ ফেব্রুয়ারি আগরতলা মামলার আসামি সার্জেন্ট জহুরুল হককে হত্যা করা হয়। এ হত্যাই ছিল বঙ্গবন্ধুকে হত্যা-পরিকল্পনার একটা অংশ। এরপর উত্তাল হয়ে ওঠে বাংলাদেশ। ফলে বঙ্গবন্ধুকে ছেড়ে দিতে বাধ্য হয় পাকিস্তান সরকার। এরপর তিনি লন্ডনে যান। বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের সঙ্গে মিটিং করেন। তিনি বুঝতে পেরেছিলেন যে, নির্বাচন হলে আওয়ামী লীগ জিতবে কিন্তু পাকিস্তানিরা ক্ষমতা হস্তান্তর করবে না। তাই তিনি সেখানে বসেই সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আগরতলা মামলায় বঙ্গবন্ধু জেল থেকে বের হয়ে আসার পর প্রায়ই বলতেন, আমার ছয় দফা মানে... বলেই তিনি একটা আঙুল দেখাতেন। তখন এই কথা মুখ দিয়ে উচ্চারণ করা নিষেধ ছিল। আমরা এ কারণে ইশারাতেই সব বুঝে যেতাম। তিনি বলেন, ১৯৫৮ সালে পাকিস্তানে মার্শাল ল’ দেওয়ার সময়েই তিনি স্বাধীনতার প্রস্তুতি নিতে শুরু করেন। ছাত্রলীগকে দিয়ে ১৯৬২ সালের পর থেকেই একটা ‘নিউক্লিয়াস’ তিনি ফর্ম করেছিলেন। প্রতিটি জেলায়-মহকুমায় তিন সদস্যের কমিটি ছিল। স্বাধীনতার প্রস্তুতি অনেক আগেই নেওয়া হয়েছে, মুক্তিযুদ্ধ শুরুর সময় তাদের নিয়েই মুজিব বাহিনী গঠন করা হয়।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close
Error!: SQLSTATE[42S02]: Base table or view not found: 1146 Table 'protidin_sangbad.news_hits_counter_2020_04_07' doesn't exist
Error!: SQLSTATE[42S02]: Base table or view not found: 1146 Table 'protidin_sangbad.news_hits_counter_2020_04_07' doesn't exist