শুকনো মৌসুমে যে তেপান্তরের মাঠের সবুজ ধানখেতের আল ধরে কাকতাড়ুয়ার পিছে ছুটে বেড়াত শফিক আর আয়েশার। বর্ষাকালে বৃষ্টির পানিতে ডুবে সে তেপান্তরের মাঠ জলে টইটম্বুর হলে শাপলা ফুলের গহনা পরিয়ে জামাই-বউ খেলত সে শফিক আর আয়েশা। পুতুল খেলার বয়স থেকে যৌবনকালে এসেও তারা দুজন জামাই-বউ খেলত। তখন থেকে আয়েশা স্বপ্ন দেখে কোনো এক দিন শফিকের হাত ধরে ভালোবেসে সে তেপান্তরের মাঠ পেরোবে।

ভালোবাসার আকুতি ভরা ভিন্ন ধাঁচের গল্পের বৈচিত্র্য নিয়ে তরুণ গুণী নির্মাতা সীমান্ত সজলের গল্প, চিত্রনাট্য ও পরিচালনায় নির্মিত হলো বিশেষ টেলিফিল্ম ‘তেপান্তরের মাঠ পেরিয়ে’। গল্পের মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করেছেন মুমতাহিনা চৌধুরী টয়া, শিপন মিত্র, আবুল হায়াত ও দিলারা জামান।

নাটকটি প্রসঙ্গে নির্মাতা বলেন, আমার অনেক যত্ন, ভালো লাগা, ভালোবাসার কাজ এটি। স্ক্রিপ্ট লিখতে গিয়ে রাতে আমি যেমন কেঁদেছি, শুটিং করতে গিয়েও মনিটরে বসে কেঁদেছি। আশা করি টেলিফিল্মটি দেখতে গিয়ে দর্শকও চোখের পানি ভাসবে। চিরকৃতজ্ঞ চ্যানেল আইয়ের প্রতি।

টয়া বলেন, নির্মাতা সজলের সঙ্গে এটা আমার প্রথম কাজ। হোয়াটসঅ্যাপে গল্প পড়েই এটি ভালো লেগে যায়। ভালো লাগা থেকেই ভিন্ন চরিত্রে নিজেকে উপস্থাপন করার ইচ্ছা নিয়ে কাজটা করা। এক কথায় বলব অনেক দিন পরে একটা ভালো স্ক্রিপ্টে কাজ করে তৃপ্তি পেলাম। আশা করি দর্শকদের অনেক ভালো লাগবে।

শিপন বলেন, স্ক্রিপ্ট পড়ার আগে ডিরেক্টরের মুখে গল্পটা শুনেই রাজি হয়ে যাই। তারপর থেকে শুটিং শেষ হওয়া পর্যন্ত প্রতিদিন মানসিকভাবে প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। নিজের মধ্যে চরিত্রটি ধারণ করে নিজেকে তৈরি করার জন্য। অবশ্য সীমান্ত সজল দাদা প্রতিদিন যেভাবে যোগাযোগ রক্ষা ছিলেন চরিত্রটি প্রোপারভাবে তৈরি করার জন্য তা সত্যি আমাকে উৎসাহিত করেছে। আমি আশাবাদী কাজটি নিয়ে। নির্মাতা সূত্রে জানা গেছে ইমপ্রেস টেলিফিল্ম নিবেদিত নাটকটি আজ বিকাল ৩টায় চ্যানেল আইতে প্রচার হবে।

"