রেজাউল করিম খোকন

  ১১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

বাংলাদেশ ব্যাংকের রোডম্যাপ

কতটা সুফল পাবে দেশের অর্থনীতি

অর্থনীতিতে নতুন সরকারের নানা চ্যালেঞ্জ আছে। এগুলোকে সরকার চ্যালেঞ্জ হিসেবে গ্রহণ করছে কি না, তা বড় বিষয়। সরকার শক্ত হাতে এসব বিষয়ে পদক্ষেপ নিচ্ছে কি না, অর্থনীতিতে স্বস্তি ফেরানোর বিষয়টি তার ওপর নির্ভর করবে। দেশের সড়কে নামলে বোঝা যায়, আইনের শাসন কতটা কাজ করে। দেশের মানুষের নৈতিক মানের অবক্ষয় হয়েছে, মূল্যবোধও কমে গেছে। এমন পরিস্থিতিতে দেশের সমস্যাগুলো নিয়ে কারো বোধোদয় হবে কি না- সেটাই বড় বিষয়।

বলা হচ্ছে, নতুন সরকার এসেছে। সরকার আসলে নতুন নয়। নির্বাচনের মাধ্যমে একই সরকার এসেছে। কয়েকজন ছাড়া নীতিনির্ধারকদেরও অনেকেই পুরোনো। অর্থনীতির চ্যালেঞ্জগুলো নতুন নয়। আবার চ্যালেঞ্জগুলোর সূত্রপাতও নতুন নয়। এ মুহূর্তে প্রবৃদ্ধির চিন্তা থেকে বের হয়ে আসতে হবে, এখন দরকার আর্থিক স্থিতিশীলতা। তবে আমাদের সংস্কারপ্রক্রিয়া দুর্বল। কারণ, এখানে টেকনিক্যাল (কৌশলগত) আলোচনা কম হয়। বর্তমান পরিস্থিতিতে অর্থনীতিকে মজবুত অবস্থানে নিয়ে যেতে গেলে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ, রিজার্ভ ব্যবস্থাপনা ও আর্থিক খাতের শৃঙ্খলা-মোটাদাগে এই তিনটি বিষয়ের ওপর গুরুত্ব দিতে হবে। তবে সবকিছুর ওপরে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় সমস্যা হচ্ছে, অনিশ্চয়তা। এটা দূর করা না গেলে অর্থনৈতিক অগ্রগতি সম্ভব নয়। দেশের ব্যাংক খাতের পুরোনো ‘রোগগুলো’ সারিয়ে তুুলতে এবার রোডম্যাপ বা পথনকশা ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এই পথনকশায় বহু বছর ধরে ব্যাংক খাতে যেসব সংস্কারের পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল, তা অনেকটাই স্থান পেয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের সভায় এই পথনকশা অনুমোদন দেওয়া হয়। তার আগে পথনকশা নিয়ে সরকারের উচ্চপর্যায়ের সম্মতিও নেওয়া হয়েছে।

পথনকশায় ১৭টি বিষয়ে কর্মপরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে পাঁচটি গুরুত্বপূর্ণ। সেগুলো হলো খেলাপি ঋণ কমানো, বেনামি ঋণ ও জালিয়াতি বন্ধ করা, যোগ্য পরিচালক নিয়োগে ব্যবস্থা, উপযুক্ত স্বতন্ত্র পরিচালক নিয়োগ এবং দুর্বল ব্যাংককে সবল ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত করা, যাকে মার্জার বলা হয়। বাংলাদেশ ব্যাংক গভর্নর বলেছেন, নতুন সরকারের নির্বাচনী ইশতেহারে ব্যাংক খাত সংস্কারের বিষয়ে সুনির্দিষ্ট প্রতিশ্রুতি রয়েছে। সরকারের এ ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটানো হবে। কোনো রাজনৈতিক চাপ আমাদের ওপর নেই। দুর্বল ব্যাংকগুলোর উন্নতি না হলে সেগুলো অন্য ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত (মার্জ) করে দেওয়া হবে। ব্যাংকের সংখ্যা ৬১ থেকে কমিয়ে ৪৫-এ নামিয়ে আনারও ইঙ্গিত দিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংক গভর্নর।

বাংলাদেশ ব্যাংকের লক্ষ্য তিনটি- ১. ব্যাংকের সার্বিক খেলাপি ঋণ ৮ শতাংশের নিচে নামানো, যা এখন ১০ শতাংশের একটু কম। ২. রাষ্ট্রমালিকানাধীন ব্যাংকের খেলাপি ঋণ ১০ এবং বেসরকারি ব্যাংকের খেলাপি ঋণ ৫ শতাংশে নামিয়ে আনা, যা এখন যথাক্রমে প্রায় ২২ ও ৭ শতাংশ। ৩. ব্যাংক খাতে সুশাসন নিশ্চিতের জন্য সীমার বাইরে দেওয়া ঋণ, বেনামি স্বার্থসংশ্লিষ্ট ঋণ এবং জালিয়াতি ও প্রতারণার মাধ্যমে ঋণ বিতরণ শূন্যে নামিয়ে আনা। বাংলাদেশ ব্যাংক এসব লক্ষ্য পূরণের সময়সীমা ঠিক করেছে ২০২৬ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত। এই পথনকশা অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পক্ষ থেকে ঋণখেলাপিদের সঙ্গে আর আপস করা হবে না। ব্যাংক খাত আইন অনুযায়ী চলবে। রাজনৈতিক পরিচয়ে আর কোনো সুবিধা দেওয়া যাবে না। ঋণখেলাপিদের আইনের আওতায় আনতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে সব ধরনের সহায়তা দেওয়া হবে। দেশের ব্যাংক খাতে খেলাপি ঋণ গণনায় নীতি ছাড় কমিয়ে আনতে চাইছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এজন্য ৯০ দিনের মধ্যে ঋণের কিস্তি অপরিশোধিত থাকলে তা খেলাপির খাতায় ওঠার সেই আগের নীতিতে ফিরে যাওয়ার আভাস দেওয়া হয়েছে। এ নীতি বাস্তবায়ন হলে ব্যাংকগুলোয় খেলাপি ঋণ অস্বাভাবিক বেড়ে যেতে পারে। নীতিছাড়ের পরও বর্তমানে দেশের ব্যাংক খাতে খেলাপি ঋণ দেড় লাখ কোটি টাকার বেশি। পুনঃতফসিল আর অবলোপনসহ হিসাব করলে ব্যাংক খাতের প্রায় ৪ লাখ কোটি টাকার ঋণ ‘দুর্দশাগ্রস্ত’। যারা দীর্ঘদিন ধরে ব্যাংক খাতে সুশাসনের অভাব নিয়ে কথা বলেছেন, তারা বাংলাদেশ ব্যাংকের এই পথনকশাকে স্বাগত জানিয়েছেন। পাশাপাশি সন্দেহও প্রকাশ করেছেন। তারা বলছেন, ব্যাংকের রোগ সারাতে ব্যবস্থা নিতে হবে সরকারঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে। বাংলাদেশ ব্যাংক সেটা কতটা পারবে, তা আগামী দিনগুলোতে দেখা যাবে।

আওয়ামী লীগ সরকারের বিগত তিন মেয়াদে ব্যাংক খাত নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা হয়েছে। রাজনৈতিক বিবেচনায় ব্যাংকের লাইসেন্স দেওয়া, অসৎ ব্যবসায়ীদের ব্যাংকের পরিচালক হতে সুযোগ দেওয়া, একটি গোষ্ঠীকে ব্যাংক নিয়ন্ত্রণ করতে দেওয়া, ব্যাংকের স্বতন্ত্র পরিচালকদের জায়গায় ‘ভাই-মামাতো ভাইদের’ বসিয়ে যথেচ্ছ অনিয়ম করা, বেনামি ঋণ দেওয়া ইত্যাদি অভিযোগের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংকের ভূমিকা ছিল প্রশ্নবিদ্ধ। সব মিলিয়ে খেলাপি ঋণ বেড়েছে লাফিয়ে লাফিয়ে। ২০০৯ সালে খেলাপি ঋণ ছিল সাড়ে ২২ হাজার কোটি টাকার মতো, যা এখন ১ লাখ ৫৫ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়েছে। অবশ্য ব্যাংক খাতসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা মনে করেন, দুর্দশাগ্রস্ত প্রকৃত ঋণ প্রায় চার লাখ কোটি টাকা। বেনামি ঋণ বিবেচনায় নিলে তা দাঁড়াবে ছয় লাখ কোটি টাকায়।

পথনকশায় খেলাপি ঋণ কমাতে বেশ কিছু কর্মপরিকল্পনার কথা বলেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এর একটি হলো খেলাপি ঋণ অবলোপন, অর্থাৎ ব্যাংকের স্থিতিপত্র থেকে বাদ দেওয়া-সংক্রান্ত। কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলছে, কোনো ঋণ একাধারে দুই বছর মন্দ বা ক্ষতিজনক (খেলাপি) থাকলে সেসব ঋণের বিপরীতে শতভাগ নিরাপত্তা সঞ্চিতি রেখে তা অবলোপন করতে হবে।

ব্যাংক তার মুনাফা থেকে খেলাপি ঋণের সমপরিমাণ অর্থ রেখে দেয়, যা নিরাপত্তা সঞ্চিতি নামে পরিচিত। বাংলাদেশ ব্যাংক আরো বলছে, কোনো ঋণ টানা তিন বছর খেলাপি থাকলে তা অবলোপন করতে হয়। অবলোপন নীতি বাস্তবায়নের ফলে কত টাকা খেলাপি কমবে, তা-ও জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। তাদের হিসাবে, দুই বছর খেলাপি থাকা ঋণ অবলোপন করলে সার্বিক খেলাপি ঋণ কমবে ৪৩ হাজার কোটি টাকার কিছু বেশি, যা ব্যাংকের মোট ঋণের ২ দশমিক ৭৬ শতাংশ। কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলছে, শতভাগ নিরাপত্তা সঞ্চিতিতে ব্যাংকের বাড়তি কোনো ঝুঁকি তৈরি হবে না। অবলোপন করা ঋণ আদায়ের জন্য ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বা প্রধান নির্বাহীর সরাসরি তত্ত্বাবধানে ‘অবলোপনকৃত ঋণ আদায় ইউনিট’ নামে একটি আলাদা ইউনিট গঠনের কথা বলা হয়েছে পথনকশায়। এই ঋণ আদায়ের লক্ষ্য অর্জন ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকদের পারদর্শিতা মূল্যায়নে যুক্ত করা হবে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলছে, কোনো ঋণ একাধারে দুই বছর মন্দ বা ক্ষতিজনক (খেলাপি) থাকলে সেসব ঋণের বিপরীতে শতভাগ নিরাপত্তা সঞ্চিতি রেখে তা অবলোপন করতে হবে। অবলোপন মানে খেলাপি ঋণ আদায় নয়। ব্যবসায়ীরা টাকা না দিলে খেলাপি ঋণের পেছনে ব্যয় করতে হবে ব্যাংকের মুনাফা থেকে, যা আসলে শেয়ারধারীদের প্রাপ্য। কার্যত খেলাপি ঋণ আদায় না করে অবলোপন করা হলে লোকসান হবে শেয়ারধারীদের। এদিকে বেসরকারি খাতে সম্পদ ব্যবস্থাপনা কোম্পানি প্রতিষ্ঠায় আইনপ্রণয়নের কথাও বলা হয় পথনকশায়। আরো বলা হয়, মন্দ ঋণ ও অবলোপন করা সেই কোম্পানির কাছে বিক্রি করে ব্যাংকগুলো তাদের আর্থিক স্থিতিপত্র পরিষ্কার করতে পারবে। বিক্রির মাধ্যমে পাওয়া টাকা ব্যাংক আয় হিসেবে দেখাতে পারবে। ঋণ পরিশোধের জন্য দেওয়া বাড়তি মেয়াদ আর বাড়ানো হবে না বলেও জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ব্যাংক খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি মনে করে, এতে ব্যাংকের তারল্যসংকট কমবে। পাশাপাশি ব্যাংকের মেয়াদোত্তীর্ণ ঋণের সংজ্ঞায় পরিবর্তন আনা হবে।

ইচ্ছাকৃত খেলাপিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে প্রয়োজনীয় নীতিমালা তৈরি ও বাস্তবায়নের কথাও বলা হয়েছে পথনকশায়। এতে আরো বলা হয়, খেলাপি ঋণ আদায় করা কর্মকর্তাদের জন্য বিশেষ ভাতা চালু হবে। ঋণের জামানত বাধ্যতামূলকভাবে তালিকাভুক্ত কোম্পানিকে দিয়ে মূল্যায়ন করাতে হবে। ব্যাংকিং খাতের সুশাসন নিশ্চিতে ছয় পরিকল্পনার কথা বলেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এতে ব্যাংকের শেয়ারধারী পরিচালকদের যোগ্যতা ও দায়িত্ব-কর্তব্য সম্পর্কিত নীতিমালা সংশোধন করা এবং স্বতন্ত্র পরিচালক নিয়োগ, তাদের সম্মানী নির্ধারণ ও দায়িত্ব-কর্তব্য সম্পর্কিত নীতিমালা প্রণয়ন করার কথা বলা হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংক বলেছে, ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) নিয়োগ ও পুনঃনিয়োগে বাছাই প্রক্রিয়ায় পরিবর্তন আনা হয়েছে, যা আরো কঠোরভাবে বাস্তবায়ন করা হবে। পারফরম্যান্স বা পারদর্শিতার সূচকের ভিত্তিতে এমডিদের কাজের মূল্যায়ন করা হবে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংককে সংস্কারকাজটি কঠিনভাবে করতে হবে। নরম সুরে কাজ হবে না। তবে সংস্কারের ক্ষেত্রে রাজনৈতিক সদিচ্ছা কতটা থাকবে, তা নিয়ে সন্দেহ আছে। ব্যাংক খাতে নানা ধরনের সমস্যা বিদ্যমান। এসব বহুদিন ধরে বলে আসছেন সবাই। কিন্তু কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। আবার বিভিন্ন সময়ে নানা ঘোষণা দেওয়া হলেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি। এখন বাংলাদেশ ব্যাংক নতুন করে পথনকশা ঘোষণা করেছে, এ জন্য তাদের ধন্যবাদ জানাতে হয়। তবে প্রশ্ন হলো, সংস্কারকে কতটা গুরুত্বসহকারে দেখছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। আবার সরকারের উচ্ছপর্যায় এই সংস্কার কতটা চায়, এটাও একটা বড় প্রশ্ন। সরকারের সদিচ্ছা ছাড়া আর্থিক খাত সংস্কার করা সম্ভব না। সরকারের সদিচ্ছা থাকলে এখন সময়ভিত্তিক পরিকল্পনা করে কেন্দ্রীয় ব্যাংককে এগোতে হবে। উদ্যোগ নিতে হবে পুরো খাতের পরিস্থিতির উন্নতি করার। এ জন্য ব্যাংকগুলোর আর্থিক পরিস্থিতি কতটা খারাপ হয়েছে, আগে তা বের করতে হবে। সব ব্যাংকই নিজের দুর্বলতা ঢেকে রাখার চেষ্টা করে। ফলে যে আর্থিক প্রতিবেদন পাওয়া যায়, তার পুরোটা বিশ্বাসযোগ্য না। বাংলাদেশ ব্যাংক নিজে স্বাধীনভাবে ব্যাংকগুলোর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করতে পারে, আবার বাইরের কাউকে দিয়েও এটা করাতে পারে। নিরপেক্ষ নিরীক্ষায় সত্য চিত্র পাওয়া গেলেই শুধু সত্যিকার অর্থে প্রয়োজনীয় সংস্কার করা সম্ভব হবে। সঠিক ব্যবস্থা নেওয়া যাবে। তাহলেই সংস্কার পরিপূর্ণ রূপ পাবে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক একদিকে কয়েকটি শরিয়াহ ব্যাংক টিকিয়ে রাখতে জামানত ছাড়া টাকা দিচ্ছে, অন্যদিকে সংস্কারের ঘোষণা দিচ্ছে। আসলে কোনটা চাইছে, এটা বোধগম্য হচ্ছে না। এখন আর্থিক খাতের যে পরিস্থিতি দাঁড়িয়েছে, তাতে দু-চারটি ব্যাংক বন্ধ করে দিলেও কোনো সমস্যা নেই। বরং এসব ব্যাংক বাঁচিয়ে রেখে অন্য ব্যাংকগুলোতে সংক্রমণ ছড়ানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। এ জন্য যোগ্য পরিচালক নিয়োগ করে ব্যাংকগুলো চালাতে হবে। ব্যাংক তদারকিতে কেন্দ্রীয় ব্যাংককে আরো দক্ষতা দেখাতে হবে। আইনকানুন পরিপালনে কাউকে ছাড় দিয়ে টিকিয়ে রাখার প্রথা তুলে নিতে হবে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বিবেচনায় সব ব্যাংকের পরিচালকদের এক কাতারে রাখতে হবে। যখন যা সিদ্ধান্ত নেওয়া প্রয়োজন, তা নিতে হবে। তাহলে এর সুফল পাবে দেশের অর্থনীতি।

লেখক : অবসরপ্রাপ্ত ব্যাংকার, কলাম লেখক

[email protected]

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close