reporterঅনলাইন ডেস্ক
  ২২ অক্টোবর, ২০১৯

প্রযুক্তির ছোঁয়ায় আলোকিত হোক দেশ

প্রযুক্তি সভ্যতাকে এগিয়ে নেয়। ফলে এটির সঙ্গে তালমিলিয়ে চলার কোনো বিকল্প নেই। বিশ্বে প্রযুক্তি খুব দ্রুত এগিয়ে চলেছে এবং এই এগিয়ে চলার সঙ্গে যারা খাপখাইয়ে নেবে; তারাই টিকে থাকবে, অন্যথায় পিছিয়ে পড়বে। সেই নিরিখে বর্তমান সরকার ২০০৯ সাল থেকে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে। যে অভিযাত্রায় দেশে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির অভূতপূর্ব সম্প্রসারণ ঘটেছে। প্রযুক্তিভিত্তিক তথ্য ও সেবা পৌঁছে গেছে সাধারণ মানুষের দোরগোড়ায়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, তথ্যপ্রযুক্তিভিত্তিক এই অবিস্মরণীয় উন্নয়ন ও অগ্রগতি দেশে ডিজিটাল নবজাগরণ হিসেবে স্মরণীয় হয়ে থাকবে।

ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত সোনার বাংলার স্বপ্ন দেখেছিলেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। সেই ধারাবাহিকতায় তারই সুযোগ্যকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে অপ্রতিরোধ্য গতিতে এগিয়ে যাচ্ছেন। এ যেন আধুনিক সোনার বাংলা বিনির্মাণে জাতির জনকের কাছে কন্যার দায়বদ্ধতা। তথ্যপ্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ জাতির জনকের দৌহিত্র প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় সম্ভাবনার বাংলাদেশ বিনির্মাণে অভূতপূর্ব অবদান রেখে যাচ্ছেন। জাতির জন্য যা এক বিশাল অর্জন।

শুধু তাই নয়, ডিজিটাল সেবার বিস্তৃতি ও উন্নতি ঘটিয়ে বাংলাদেশ আগামী পাঁচ বছরে জাতিসংঘের ই-গভর্নেন্স উন্নয়নসূচকে সেরা ৫০ দেশের তালিকায় থাকবে। জানিয়েছেন সজীব ওয়াজেদ জয়। রোববার রাজধানীর আইসিটি টাওয়ারে ই-গভর্নমেন্ট মাস্টারপ্ল্যান রিপোর্ট প্রকাশ ও এটুআইয়ের তিনটি নাগরিক সেবা উদ্বোধনকালে তিনি বলেন, ‘গত কয়েক বছরে আমরা ডিজিটাল গভর্নেন্স ইনডেক্সে ৪০-৫০ ধাপ এগিয়েছি। আগামী পাঁচ বছরে আমরা কেন আরো ৫০ ধাপ এগোব না? অবশ্যই এগোব।’ প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালের জাতিসংঘের ই-গভর্নেন্স সার্ভে প্রতিবেদনে, ই-গভর্নেন্সে ডেভেলপমেন্ট সূচকে ১৯৩টি সদস্য দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১১৫তম। এই সূচকে সর্বোচ্চ অবস্থানে আছে ডেনমার্ক ও সর্বনি¤œ অবস্থানে সোমালিয়া। আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার ১০ বছর পর ই-গভর্নমেন্ট মাস্টারপ্ল্যান প্রণয়ন করেছে আইসিটি বিভাগ। সজীব ওয়াজেদ জয় এর কারণ ব্যাখ্যা করে বলেন, ‘তখন কোনো কিছুই ডিজিটাইডজ হয়নি। আইসিটির ফান্ডামেন্টাল ডিজিটাল সার্ভিস, ডেটাবেইজ, স্থাপনা কিছু হয়নি। ১০ বছর আগে করলে তা অফলদায়ী চর্চাই হতো।’ বর্তমানে দেশের ‘আইটি সিস্টেম’ আধুনিক দাবি করে তিনি বলেন, ‘সরকার ২০২১ সালের মধ্যে মোবাইল ফোনে আঙুলের ছোঁয়ায় অথবা ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারের মাধ্যমে আমরা নাগরিক সেবাগুলো পৌঁছে দিতে চাই।’

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বলেছিলেন, ‘শিক্ষা মানুষকে কেবল শিক্ষিতই করে না, বরং গৌরবান্বিতও করে।’ এ কথার নেপথ্যে যে গভীর অর্থটি লুকিয়ে আছে তা হলোÑ শিক্ষা থেকে অর্জিত জ্ঞান মানুষ ব্যবহার করে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির ক্ষেত্রে দেশকে বিকশিত করবে। এর মাধ্যমে শুধু ব্যক্তিই গৌরবান্বিত হবে না, দেশও গৌরবে অভিষিক্ত হবে। সরকার স্বল্প সময়ে তৃণমূল পর্যায়ে প্রযুক্তি সেবা পৌঁছে দিয়েছে, যার সুফল সাধারণ মানুষও ভোগ করছে। আমাদের প্রত্যাশা, ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্নপূরণে সরকার অগ্রণী ভূমিকা রাখবে। তেমনি প্রযুক্তির ছোঁয়ায় আলোকিত হবে সারা দেশ।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close