ক্যাম্পাস ডেস্ক

  ৩০ জুন, ২০২০

লক্ষ্য যখন উচ্চশিক্ষা : পড়তে পারেন আইইউবিএটিতে

বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থায় একজন শিক্ষার্থীকে সবচেয়ে কঠিন বাধাটি অতিক্রম করতে হয় এইচএসসি পাস করার পর উচ্চশিক্ষার প্রবেশমুখে। দীর্ঘ ১২ বছরের লালিত স্বপ্ন বাস্তবে রূপ পাবে কি পাবে না, তা নির্ধারিত হয় এ পর্বে। তাছাড়া ভবিষ্যতের উজ্জ্বল ক্যারিয়ার এ সময়ের নির্ভুল সিদ্ধান্তের ওপরেই নির্ভর করে। এসব কারণে বহু শিক্ষার্থী এবং তাদের অভিভাবকরা নানা দুশ্চিন্তায় পড়ে যান এইচএসসি উত্তর সময়টাতে।

বাংলাদেশে উচ্চশিক্ষা প্রদানের ক্ষেত্রে দ্রুত বিকাশমান বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ভূমিকা ক্রমেই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে না পারা অনেক ছাত্রছাত্রীদের ভর্তির সুযোগ দিয়ে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো শিক্ষার্থীদের মেধা-মনন বিকাশের সুযোগ করে দিয়েছে এবং দেশের উন্নয়ন-অগ্রগতির জন্য যোগ্য নাগরিক তৈরিতে অবদান রাখছে।

দেশের প্রথম সারির বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় মধ্যে অন্যতম সেরা আইইউবিএটি। আইইউবিএটির যাত্রা হয়েছিল ১৯৯১ সালে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ও আইবিএর সাবেক পরিচালক এবং বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়য়ের পথিকৃৎ প্রফেসর ড. এম আলিমউল্যা মিয়ান এই প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা।

আইইউবিএটির সার্বিক লক্ষ্য হচ্ছে উপযুক্ত শিক্ষা, প্রশিক্ষণ ও দিকনির্দেশনার মাধ্যমে মানবসম্পদ উন্নয়ন ও জ্ঞানচর্চার মাধ্যমে দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নে সহায়ক ভূমিকা পালন করা। আইইউবিএটির স্থায়ী ক্যাম্পাস উত্তরায় ১০ নম্বর সেক্টরে গেলেই দেখা যাবে ১৭ বিঘা জমির ওপর সুবিশাল ক্যাম্পাস।

সেখানে প্রায় সাত হাজার ছাত্র-ছাত্রী নানা বিষয়ে পড়ালেখা করছেন। আশার কথা যে বর্তমানে আইইউবিএটিতে দেশের গ-ি পেরিয়ে এশিয়া এবং আফ্রিকা মহাদেশের ছাত্রছাত্রীরা পড়াশোনা করছেন। এর ফলে বিশ্ববিদ্যালয়টি আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও শিক্ষাব্যবস্থা নিয়ে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্রমেই উজ্জ্বল করছে। তাদের জন্য ৬০ জন পিএইচডিসহ পূর্ণকালীন শিক্ষক আছেন তিন শতাধিক। আইইউবিএটি ঢাকায় অবস্থিত একমাত্র বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় যেখানে আছে খেলার মাঠ, শহীদ মিনার। এ ছাড়াও শিক্ষার্থীদের প্র্যাকটিক্যাল ও গবেষণার জন্য আছে নানা ধরনের সুযোগ সুবিধা।

আইইউবিএটির প্রত্যয় হলো, ‘যোগ্যতাসম্পন্ন প্রত্যেক ব্যক্তির জন্য উচ্চশিক্ষার নিশ্চয়তা- প্রয়োজনে মেধাবী তবে অসচ্ছলদের অর্থায়ন’। মেধাবী শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন বৃত্তির সুযোগ দিচ্ছে আইইউবিএটি। প্রতিষ্ঠাতা প্রফেসর ড. এম আলিমউল্যা মিয়ান বৃত্তির মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা বিনা খরচে পড়ার সুযোগ পাচ্ছে স্বনামধন্য এই বিশ্ববিদ্যালয়ে।

এ ছাড়াও এসএসসি এবং এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফলের ওপর ভিত্তি করে মেধা বৃত্তি, মেয়েদের উচ্চশিক্ষায় উৎসাহিত করতে স্পেশাল বৃত্তিসহ বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে ৫৭টি বৃত্তি দেওয়া হয়। মোটকথা এখানে পড়াশোনা করার জন্য অধিকাংশ শিক্ষার্থীই আর্থিক সহযোগিতা পাচ্ছে। আইইউবিএটির প্লেসমেন্ট এবং অ্যালামনাই অফিস থেকে অ্যালামনাই এবং অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের মধ্যে সম্পর্কের সেতু তৈরি করে দেওয়া হয়। এর ফলে শিক্ষার্থী এবং অ্যালামনাইদের মধ্যে সেতুবন্ধন তৈরি হয়। এ ছাড়াও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ইন্ডাস্ট্রির সরাসরি যোগাযোগ স্থাপন, বৃহৎ আঙ্গিকে ক্যারিয়ার সেমিনার ও ক্যারিয়ার ফেয়ারের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ পেশার আদ্যোপান্ত ধারণা দেওয়া হয়।

শিক্ষার্থীদের আনা-নেওয়ার জন্য ক্যাম্পাস থেকে নিজস্ব বাস চলাচল করে। প্রতিদিন এক ঘণ্টা পর পর শার্টল সার্ভিসের মাধ্যমে ক্যাম্পাসের আশপাশের এলাকা হতে শিক্ষার্থীদের আনা-নেওয়া করে। আর ঢাকা সিটি করপোরেশন, সাভার গাজীপুর এবং নারায়ণগঞ্জ হতে প্রতিদিন সকাল ৭টায় ক্যাম্পাসের উদ্দেশে বাসগুলো ছেড়ে আসে এবং সন্ধ্যা ৫.৩০ ক্যাম্পাস থেকে নির্দিষ্ট গন্তব্যে ছেড়ে যায়।

এর জন্য শিক্ষার্থীদের কোনো টাকা-পয়সা দিতে হয় না। স্কলারশিপ, অনুদান, বেতন মওকুফ, শিক্ষাকালীন কর্মসংস্থান এবং শিক্ষা ঋণের মাধ্যমে আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়। এই ক্যাম্পাসে ছয়টি অনুষদের অধীনে নয়টি বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রি দেওয়া হয়। স্নাতক পর্যায়ে বিবিএ, সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং, কম্পিউটার সায়েন্স ইঞ্জিনিয়ারিং, ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিকস ইঞ্জিনিয়ারিং, মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং, ইকোনমিকস, এগ্রিকালচার, ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট এবং নার্সিং ও মাস্টার্স পর্যায়ে এমবিএ বিষয়ে পড়ানো হয়।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close