reporterঅনলাইন ডেস্ক
  ১২ মার্চ, ২০২০

ধানমন্ডিতে ড্যাফোডিল অ্যাঞ্জেলস ডে কেয়ারের যাত্রা

বর্তমান সমাজে কর্মজীবী মায়েদের একটি বিশেষ দুশ্চিন্তার বিষয় হচ্ছে তাদের সন্তানদের উপযুক্ত যত্ন নেওয়া বিশেষ করে ৯-৫টা অফিসের সময়টুকু সন্তানকে তারা কোথায়, কার কাছে নিরাপদে রেখে যাবেÑ এ নিয়ে দুশ্চিন্তার অন্ত নেই তাদের। বিভিন্ন পারিপার্শ্বিক কারণেই বাসায় মোটামুটি ভালো একটা মাইনে দিয়ে শিশুসন্তানের দেখাশোনার ব্যবস্থা করা সব অভিভাবকের পক্ষে সম্ভবপর হয় না। শুধু এ কারণেই কর্মক্ষেত্রে একজন মা, সার্বিকভাবে তার সবটুকু চেষ্টা দিয়েও কাজে মনোযোগী হতে পারেন না। সন্তানকে ঘিরে প্রতিটি বাবা মায়ের চাওয়া পাওয়ার কেন্দ্রবিন্দু একটাই। তার সন্তান হবে সবার থেকে সেরা। সেই লক্ষ্যে অত্যন্ত সচেতন সেসব কর্মজীবী মায়েদের কাছে নিরাপদ ও বিশ্বস্ততার স্থান করে নিতে পেরেছে ড্যাফোডিল পরিবারের আরেকটি অঙ্গপ্রতিষ্ঠান ড্যাফোডিল অ্যাঞ্জেলস ডে কেয়ার। মায়েদের মনের জোড় অনেকটাই বাড়িয়ে দিয়েছে এ ড্যাফোডিল অ্যাঞ্জেলস ডে কেয়ার। নিশ্চিত করেছে তাদের সন্তানদের জন্য একটি নিরাপদ এবং পারিবারিক পরিবেশ, যেখান থেকে বাচ্চারা প্রাথমিক শিক্ষা লাভ করবে এবার।

২৫ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা করল সেসব কর্মজীবী মায়ের কথা মাথায় রেখে গড়ে তোলা ড্যাফোডিল অ্যাঞ্জেলস ডে কেয়ার। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ড্যাফোডিল পরিবার ও ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির চেয়ারম্যান ড. মো. সবুর খান, ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. ইউসুফ মাহবুবুল ইসলাম, প্রকৌশল অনুষদের সহযোগী ডিন প্রফেসর ড. এ কে এম ফজলুল হক, ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল কলেজের অধ্যক্ষ লে. কর্নেল মো. জহিরুল ইসলাম (অব.) ও ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের অধ্যক্ষ ড. মো. মাহামুদুল হাসান।

বক্তারা বলেন, ‘আমাদের ভেবে দেখার সময় এসে গেছে। একটু যদি ভেবে দেখি, তাহলেই বুঝতে পারব ঠিক কতখানি প্রডাক্টিভ সময় সন্তানরা তাদের অভিভাবকদের কাছ থেকে পাচ্ছে, দিনের কতটুকু সময় শিশু তার মা-বাবার সঙ্গে সময় কাটাতে পারছে, যেখানে একটি শিশুর প্রাথমিক শিক্ষা এবং সামাজিক শিক্ষার ভীত গড়েই উঠে তার পরিবার থেকে, মায়ের কাছ থেকে!! তারা বলেন, খাওয়া, ঘুম, গোসল শিশুর যতœ এর বাহিরেও একটা বিশাল জ্ঞানের জগৎ রয়েছে। মাত্র ছয় মাস বয়স থেকে সেই জগতে বিচরণ শুরু করে শিশুরা। কারণ ছয় থেকে চব্বিশ মাস বয়সের মধ্যেই একটি শিশুর প্রায় ৮০ শতাংশ ব্রেইন ডেভেলপ হয়ে যায়। তাই সব বাবা-মায়ের উচিত এ সময়ের মধ্যেই তার শিশুর জন্য এমন একটি পরিবেশ নিশ্চিত করা; যেখান থেকে সে শিখতে পারবে যেকোনো প্রতিকূল পরিস্থিতিতে নিজেকে কীভাবে নিরাপদ রাখতে হয়! কীভাবে সমাজে প্রতিনিধিত্ব করতে হয়, কেয়ারিং শেয়ারিংয়ের জায়গাটা যেন তাদের দৃঢ় হয়। সবাইকে সঙ্গে নিয়ে যে ভালো থাকতে হবে, এই উপলব্ধি যেন গড়ে উঠে তখন থেকেই। কথা সুন্দরভাবে বলতে পারা, টেবিল ম্যানারস ইত্যাদি সবকিছু শিশু শিখবে সেই পরিবেশ থেকে। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close