ক্যাম্পাস প্রতিবেদক

  ১০ এপ্রিল, ২০১৯

বাগেরহাটে মিসরের প্রাচীন তুলার সন্ধান পেলেন রাবির গবেষকরা

উপকূলী জেলা বাগেরহাটে মিসরের প্রাচীন একটি জাতের তুলার সন্ধান পেয়েছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক। মসলিন তৈরির প্রযুক্তি পুনরুদ্ধার প্রকল্পের আওতায় গবেষণা করতে গিয়ে বাগেরহাটের একটি গ্রামে এ তুলার সন্ধান পান তারা। অনন্য এবং একমাত্র এই তুলা দেশের অন্য কোথাও পাওয়া যাবে না বলে জানিয়েছেন প্রকল্পের গবেষণা প্রধান ও বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মনজুর হোসেন।

তুলাটির নাম গসিপিয়াম বারবাডেন্স। এটির বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে অধ্যাপক মনজুর হোসেন বলেন, ফলের (বল) আকার বড়, তুলার আঁশ লম্বা, মাজ উন্নত, উৎপাদনও বেশি। তিনি আরও বলেন, ধারণা করা হচ্ছে সাধক খানজাহান আলী (র.) ১৪ শতকের সমসাময়িককালে যখন এদেশে ইসলাম প্রচারের জন্য আসেন তখন তুলার এই জাতটি সঙ্গে করে নিয়ে আসেন। ইরাকের মসুল শহরে প্রচুর পরিমাণ তুলার চাষ হতো। এই অঞ্চলে মসলিন কাপড় যারা তৈরি করেছেন তাদের অধিকাংশই মসুলের লোক। সেই জাতের একটি জাত হয়তো রয়ে গেছে।

এর আগে গবেষকদের এই তুলা সম্পর্কে সন্ধান দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের এক শিক্ষার্থী। গত বছরের ডিসেম্বরে বাগেরহাটের ওই গ্রাম থেকে তুলার জাতটি সংগ্রহ করা হয়। তবে গ্রামটির নাম প্রকাশ করতে চাননি অধ্যাপক মনজুর হোসেন।

তুলার নমুনা সংগ্রহকালে বাংলাদেশ তাঁত বোর্ডের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম, রাবির ইনস্টিটিউট অব বায়োলজিক্যাল সায়েন্সের পরিচালক অধ্যাপক ড. ফিরোজ আলম ও গবেষক অধ্যাপক ড. মোস্তাফিজুর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। রাবির উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী নাঈমা ও আফরিন এই গবেষণায় সহযোগী হিসেবে কাজ করেছেন।

অধ্যাপক মনজুর হোসেন আরও বলেন, এই তুলা অনেক উন্নত। এই তুলা দিয়ে তৈরি কাপড় সাধারণত উন্নত বিশ্বের ৫ তারকা হোটেলের বিছানার কাজে ব্যবহৃত হয়। এই তুলা ছাড়াও তারা বাংলাদেশের প্রাচীন কয়েকটি তুলার সন্ধান পেয়েছেন বলেও জানান এই গবেষক।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close