প্রতিদিনের সংবাদ ডেস্ক

  ০৪ এপ্রিল, ২০২৪

অরুণাচলের আরো ৩০ এলাকার নতুন নাম দিল চীন

ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় হিমালয়ঘেঁষা রাজ্য অরুণাচল প্রদেশের অন্তত ৩০টি স্থানের নতুন নামকরণ করেছে চীন। তবে চীনের এ পদক্ষেপ ‘অর্থহীন’ বলে প্রত্যাখ্যান করেছে ভারত। একই সঙ্গে সীমান্তবর্তী অরুণাচল প্রদেশ ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ বলে নয়াদিল্লি দাবি করেছে। চীনে অরুণাচল প্রদেশকে জাংনান বলা হয়। বেইজিংয়ের ভাষ্য, অরুণাচল প্রদেশ দক্ষিণ তিব্বতের একটি অংশ। চীনের এ দাবি বরাবরই প্রত্যাখ্যান করে আসছে ভারত।

বেইজিং এক বছর আগে প্রায় একইভাবে অরুণাচলের ১১টি স্থানের চীনা নাম দিয়েছিল। ওই সময় চির বৈরী দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে উত্তেজনা বেড়ে যায়। ২০২২ সালের ডিসেম্বরে পারমাণবিক অস্ত্রধর এই দুই প্রতিবেশী দেশের সেনারা রাজ্যের বিতর্কিত সীমান্তে ধস্তাধস্তিতে জড়িয়ে পড়ে। পরে উভয় দেশের সামরিক বাহিনীর শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের দফায় দফায় বৈঠক আর কূটনৈতিক তৎপরতায় উত্তেজনা প্রশমন হয়।

এরপরও অরুণাচল সীমান্ত এলাকায় এখনো প্রায়ই এশিয়ার প্রভাবশালী এই দুই দেশের সেনাদের মধ্যে সংঘাত ঘটে। ২০২০ সালে ভারতীয় ও চীনা সেনাদের মধ্যে সীমান্তে এক রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের পর থেকে এই সংঘাত চলে আসছে। গত শনিবার এক বিবৃতিতে চীন বলেছে, রাজ্য পরিষদের স্থানের নাম ব্যবস্থাপনা সংশ্লিষ্ট বিধি অনুযায়ী, দক্ষিণ তিব্বতের প্রায় ৩০টি স্থানের মানসম্মত নামকরণ করা হয়েছে।

এরপরই মঙ্গলবার ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেন, মনগড়া নাম দিলেই বাস্তবতা বদলে যায় না। অরুণাচল প্রদেশ ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ এবং সবসময়ই তা থাকবে।

এর আগে সোমবার ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুব্রামানিয়াম জয়শঙ্কর সাংবাদিকদের বলেছিলেন, “নাম পরিবর্তন করে কোনও লাভ হবে না। আমি আপনার বাড়ির নতুন নাম দিলে, বাড়িটা কি আমার হয়ে যাবে?”

গত মাসে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী অরুণাচল সফর করে সেখানে বেশকিছু অবকাঠামো প্রকল্প উদ্বোধন করেন। সে সময় চীন ওই অঞ্চলে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর এসব কাজের বিরোধিতা করেছিল। আর চীনের যুক্তি ভিত্তিহীন বলে অভিহিত করেছিল ভারত।

অরুণাচল ইস্যুতে নয়াদিল্লির পাশে দাঁড়িয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। ওয়াশিংটন বলেছে, তারা অরুণাচল প্রদেশকে ভারতীয় ভূখণ্ড হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। সেখানে সামরিক বা বেসামরিক আক্রমণ কিংবা অনুপ্রবেশের মাধ্যমে এর ওপর চীনের একতরফা মালিকানা দাবির চেষ্টার বিরোধিতা করে যুক্তরাষ্ট্র। তবে যুক্তরাষ্ট্রের এমন বক্তব্য প্রত্যাখ্যান করে চীন বলেছে, এ বিষয়ের সঙ্গে ওয়াশিংটনের কোনও সম্পর্ক নেই।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close