আন্তর্জাতিক ডেস্ক

  ১৬ অক্টোবর, ২০১৮

ভুয়া এনকাউন্টার

ভারতে মেজর জেনারেলসহ সাতজনের আজীবন কারাদণ্ড

ভুয়া এনকাউন্টারের ঘটনায় এক মেজর জেনারেলসহ সামরিক বাহিনীর সাত সদস্যকে আজীবন কারাদন্ড দিয়েছেন ভারতের একটি সামরিক আদালত।

২৪ বছর আগে আসাম রাজ্যে ভুয়া ওই এনকাউন্টারের ঘটনাটি ঘটেছিল বলে জানিয়েছে এনডিটিভি।

১৯৯৪ সালে আসামের তিনসুকিয়া জেলার ওই ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার দায়ে মেজর জেনারেল এ কে লাল, কর্নেল টমাস ম্যাথু, কর্নেল আর এস সিবিরেন, ক্যাপ্টেন দিলিপ সিং, ক্যাপ্টেন জাগদেও সিং, নায়েক আলবিন্দর সিং ও নায়েক শিভেন্দর সিংকে আজীবন কারাদন্ড দেওয়া হয়েছে।

একটি সামারি জেনারেল কোর্ট মার্শাল তাদের এ দন্ড দিয়েছে বলে ভারতীয় সংবাদ সংস্থা আইএএনএসকে জানিয়েছে ভারতীয় সেনাবাহিনীর ডিব্রুগড় ইউনিটের কয়েকটি সূত্র।

আসামের সাবেক মন্ত্রী ও বিজেপি দলীয় নেতা জগদীশ ভূঁইয়া সামরিক বাহিনীর এসব সদস্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছিলেন।

তিনি জানান, একটি চা বাগানের শীর্ষ নির্বাহীকে হত্যার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে ১৯৯৪ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি তিনসুকিয়া জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে নয় ব্যক্তিকে ধরে নিয়ে যায় সামরিক বাহিনীর সদস্যরা।

তাদের মধ্যে পাঁচজনকে ভুয়া এনকাউন্টারের ঘটনা সাজিয়ে হত্যা করা হয়। ঘটনার কয়েক দিন পর নিহতদের উলফার (ইউনাইটেড লিবারেশন ফ্রন্ট অব আসাম) সন্ত্রাসী হিসেবে দাবি করে সেনাবাহিনী। তবে বাকি চারজনকে মুক্তি দেয়।

একই বছরের ২২ ফেব্রুয়ারি গুয়াহাটি হাইকোর্টে একটি পিটিশন দাখিল করে ওই তরুণদের বিষয়ে তথ্য চান জগদীশ ভূঁইয়া। উচ্চ আদালত ভারতীয় সেনাবাহিনীকে অল আসাম স্টুডেন্ট ইউনিয়নের (এএএসইউ) ওই নয় তরুণকে নিকটবর্তী পুলিশ স্টেশনে সোপর্দ করতে বলে। সেনাবাহিনী ধোল্লা পুলিশ স্টেশনে পাঁচটি লাশ পাঠিয়ে দেয়।

চলতি বছরের ১৬ জুলাই সামরিক আদালতে ওই ঘটনার বিচার শুরু হয় এবং ২৭ জুলাই বিচার শেষ হয়। শনিবার বিচারের রায় ঘোষিত হয় বলে রোববার জানিয়েছে ভারতীয় সেনবাহিনীর কয়েকটি সূত্র।

এ রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে জগদীশ ভূঁইয়া বলেছেন, ‘আমাদের বিচার ব্যবস্থা, গণতন্ত্র এবং ভারতীয় সেনাবাহিনীর শৃঙ্খলা ও নিরপেক্ষতার ওপর পূর্ণ আস্থা আছে আমার।’

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close