নিজস্ব প্রতিবেদক

  ২৬ মার্চ, ২০২৪

মেট্রোরেল কাল থেকে চলবে রাত ৯টার পরও

পবিত্র রোজায় মেট্রোরেলের যাত্রী কমে গেছে। কর্তৃপক্ষের আশা, রোজার শেষ অর্ধে কেনাকাটার জন্য মানুষ বের হলে যাত্রী বাড়বে। ফলে ১৬ রোজা, অর্থাৎ আগামীকাল বুধবার থেকে রাত ৯টার পরও মেট্রোরেল চালু রাখার উদ্যোগ নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। বর্ধিত সময়ানুযায়ী, মতিঝিল থেকে সর্বশেষ ট্রেন ছেড়ে যাবে রাত ৯টা ৪০ মিনিটে এবং উত্তরা থেকে সর্বশেষ ট্রেনটি ছেড়ে যাবে রাত ৯টা ২০ মিনিটে। বর্ধিত ১ ঘণ্টায় ১২ মিনিট বিরতিতে ট্রেন চলাচল করবে। সেই হিসাবে দুই প্রান্তে ১০টি অতিরিক্ত ট্রিপ হবে। এখন দৈনিক ১৮৪ বার ট্রেন চলাচল করে। সময় বাড়ানোর পর চলবে ১৯৪ বার। তবে এবার ঈদের দিন মেট্রোরেল পরিষেবা চালু থাকবে না। ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল) জানায়, মেট্রোরেলে দিনে ৫ লাখ যাত্রী চলাচল করার সক্ষমতা রয়েছে। এক্ষেত্রে প্রতি ৪ মিনিট পরপর ট্রেন চালাতে হবে। এর জন্য দরকারি ২৪ সেট মেট্রোরেল আছেও। আগামী জুনের মধ্যে সর্বোচ্চ সক্ষমতায় মেট্রোরেল চালানোর পরিকল্পনা রয়েছে। তবে যাত্রী আশানুরূপ না বাড়লে সর্বোচ্চ সক্ষমতায় মেট্রোরেল চালানো যাবে কি না- এ নিয়ে কিছুটা দ্বিধায় আছে কর্তৃপক্ষ। বর্তমানে মেট্রোরেল চলে সকাল ৭টা থেকে রাত ৮টা ৪০ মিনিট পর্যন্ত। পিক আওয়ারে (৭টা থেকে সাড়ে বেলা ১১টা এবং দুপুর ২টা থেকে রাত ৮টা) প্রতি ৮ মিনিট পরপর মেট্রোরেল চলাচল করে। আর বেলা ১১টা থেকে দুপুর ২টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত অফ পিক আওয়ারে ১২ মিনিট পরপর মেট্রোরেল চলাচল করে।

ডিএমটিসিএল সূত্র বলছে, রোজা শুরুর আগের ১৫ দিন প্রতিদিন গড়ে পৌনে ৩ লাখ যাত্রী যাতায়াত করেছেন। কিন্তু রোজা শুরুর পরদিনে গড়ে ২ লাখ ৩৫ হাজার যাত্রী যাতায়াত করছেন। মেট্রোরেলের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের ধারণা, রোজার শেষ অর্ধে যাত্রীর চাপ বাড়বে। এছাড়া চলাচলের সময় বাড়ানোর ফলে যাত্রীসংখ্যা আগের জায়গায় চলে যাবে বা এর চেয়েও বেশি হবে। আর ঈদের পর বাড়তি যাত্রী অব্যাহত থাকলে এপ্রিলেই দুই ট্রেনের মধ্যে চলাচলের যে সময় নির্ধারিত আছে, তা কমিয়ে আনার উদ্যোগ নেওয়া হতে পারে।

এ বিষয়ে ডিএমটিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) এম এ এন সিদ্দিক বলেন, দিনে ৫ লাখ যাত্রী পরিবহন করা তাদের লক্ষ্য। এজন্য চালুর পর থেকেই যাত্রী চলাচলের ধরন নিয়ে তারা বিশ্লেষণ করছেন। প্রয়োজন অনুসারে দুই ট্রেনের সময় কমিয়ে আনছেন। তিনি বলেন, তারা নিজেদের আয়ে চলছেন। সরকার থেকে কোনো ভর্তুকি নিচ্ছেন না। মেট্রোরেল পরিচালনা ও বিদ্যুতের খরচ ওঠানো গুরুত্বপূর্ণ। যাত্রী না বাড়িয়ে ট্রেনের সংখ্যা বাড়ালে লোকসান গুনতে হবে।

রোজায় বাড়তি ব্যবস্থাপনা : রোজা উপলক্ষে ইফতারের সময়ের আগে-পরে মেট্রোরেল ভ্রমণের সময় ২৫০ মিলিলিটার পরিমাণের পানির বোতল বহন করার অনুমতি দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। তবে পানি পানের পর বোতল অবশ্যই নির্দিষ্ট জায়গায় ফেলতে হবে। যেখানে-সেখানে ফেলা যাবে না। ট্রেনের ভেতর ও বাইরে পর্দায় (এলইডি স্ক্রিন) ইফতারের সময়সূচি প্রদর্শিত হচ্ছে। রমজান মাসে ম্যাস র‍্যাপিড ট্রানজিট (এমআরটি) পাসে ৭৫ মিনিট পর্যন্ত ‘পেইড জোনে’ অবস্থান করার সুযোগ দেওয়া হয়েছে। রমজান মাসে যাত্রীরা ক্লান্ত থাকবে। তাই তাদের কথা বিবেচনা করে পেইড জোনে কার্ড পাঞ্চ করে প্রবেশ করার পর থেকে ৭৫ মিনিট থাকার সুযোগ রাখা হয়েছে। রোজার আগে তা ৬০ মিনিট ছিল।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close