মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযোদ্ধাদের স্মৃতি সংরক্ষণই জাতির ভবিষ্যতের পাথেয় বলে অভিমত জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধ বাঙালি জাতির সবচেয়ে গৌরবোজ্জ্বল অধ্যায়। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আহ্বানে ১৯৭১ সালে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানরা ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন দেশকে স্বাধীন করার জন্য। নিজেদের জীবনবাজি রেখে দেশের জন্য সর্বোচ্চ ত্যাগের প্রস্তুতি নিয়ে মুক্তিযুদ্ধে গিয়েছিলেন মুক্তিযোদ্ধারা। তাদের সেই ত্যাগ-তিতীক্ষার ইতিহাসই আমাদের ভবিষ্যৎ নির্মাণ করবে প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে।’

গতকাল সোমবার রাজধানীর ফার্মগেটের কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে মুক্তিযুদ্ধে প্রথম ব্যারিকেড তৈরির ঐতিহাসিক ঘটনার স্মরণ এবং জাতীয় গণহত্যা দিবস উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন স্থানীয় সরকারমন্ত্রী। ‘গণহত্যার কালরাত্রি ও আলোকের অভিযাত্রী’ শিরোনামে এই অনুষ্ঠানে তিনি প্রধান অতিথি ছিলেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা আসাদুজ্জামান খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচক ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা শাজাহান খান।

মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম এ সময় ২৫ মার্চ কালরাত্রিতে ফার্মগেটে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর অপারেশন সার্চলাইটের গণহত্যার বিরুদ্ধে বর্তমান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানের নেতৃত্বে প্রথম ব্যারিকেড দেওয়ার ঘটনাকে জাতীয় জীবনে ঐতিহাসিক এবং তাৎপর্যপূর্ণ অধ্যায় বলে উল্লেখ করেন। জাতীয় গৌরবোজ্জ্বল সেই স্মৃতি সংরক্ষণে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় থেকে সম্ভাব্য সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দেন তিনি।

বিএনপি ও সামরিক শাসনামলে বঙ্গবন্ধুর নাম ইতিহাস থেকে মুছে ফেলার অপচেষ্টার কথা উল্লেখ করে মো. তাজুল ইসলাম বলেন, ‘যে মানুষটি সমগ্র জীবন ও রাজনীতি দেশের মানুষের কল্যাণে ব্যয় করেছেন, তাকে আড়াল করার অপচেষ্টা রুখে দিয়েছে বাংলাদেশের মানুষ।’

স্থানীয় সরকারমন্ত্রী এ সময় মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযোদ্ধাদের স্মৃতি সংরক্ষণে যথাযথ উদ্যোগ নেওয়ার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি বলেন, ‘ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে এই ধরনের স্মৃতিস্তম্ভ উৎসাহ ও অনুপ্রেরণার গল্প হয়ে থাকবে।’

‘গণহত্যার কালরাত্রি ও আলোকের অভিযাত্রী’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন সিনিয়র সাংবাদিক মনজুরুল আহসান বুলবুল, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও চিত্রনায়ক মহিউদ্দিন খান আলমগীর, হামীম গ্রুপের চেয়ারম্যান ও সংসদ সদস্য (এমপি) এ কে আজাদ চৌধুরী, বীর মুক্তিযোদ্ধা এমপি বেনজির আহমেদ।

"