মীর আসলাম, রাউজান (চট্টগ্রাম)

  ০৪ জুন, ২০২৩

রাউজান শিল্পনগর প্রকল্প স্থবির

মানা হয়নি মন্ত্রী-এমপির নির্দেশনা * মাটি ভরাট জটিলতায় আটকে আছে * প্রকল্পে কর্মসংস্থান হবে ৫০ হাজার

চট্টগ্রামের রাউজান বিসিক শিল্পনগরের কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। তবে শেষ দিকে এসে মাটি ভরাট কাজের জটিলতায় আটকে রয়েছে। জটিলতা নিরসনে এলাকার সংসদ সদস্য এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরী বিসিকের দায়িত্বশীলদের মৌখিকভাবে কয়েকবার তাগাদা দিয়েছেন। তবে কাজ না হওয়ায় বিষয়টি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রীকে চিঠি লিখে প্রকল্প কাজ এগিয়ে নিতে সহায়তা চেয়েছেন তিনি। সংসদ সদস্যের চিঠি পেয়ে মন্ত্রী জরুরি ভিত্তিতে সংসদ সদস্যের নির্দেশনা অনুসরণ করে মাটি ভরাট কাজের জটিলতা নিরসন করতে নির্দেশও দিয়েছেন। কিন্তু মানা হয়নি সে নির্দেশনা। কর্তৃপক্ষের এমন উদাসীনতায় এখন প্রকল্প কাজে স্থবিরতা দেখা দিয়েছে। অথচ পরিকল্পনা অনুসারে নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ করা গেলে শিল্পনগর ৪০ থেকে ৫০ হাজার মানুষের কর্মসংস্থান হবে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, রাউজান পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ডে ৩৫ একর জমিতে নির্মাণ করা হচ্ছে বিসিক শিল্পনগর। প্রকল্পে সরকার খরচ করছে ৮০ কোটির বেশি টাকা। স্থানীয় সংসদ সদস্য এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরীর নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি ছিল রাউজানসহ পার্শ্ববর্তী এলাকার বেকার মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করে দেওয়ার। পরিকল্পনা অনুসারে নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ করা গেলে শিল্পনগরে ৪০ থেকে ৫০ হাজার মানুষের কর্মসংস্থান হবে। বিভিন্ন জটিলতায় আটকে কর্তৃপক্ষ প্রকল্প শেষ করার দুই দফায় সময় বাড়িয়েছে। জটিলতা নিরসন না করে ধীরগতিতে কাজ করায় এখন পর্যন্ত মাত্র ৬০ শতাংশ কাজ শেষ করতে পেরেছে।

রাউজান পৌরসভার মেয়র জমির উদ্দিন পারভেজ বলেন, রাউজানসহ পার্শ্ববর্তী এলাকার বেকারত্ব দূর করতে রাউজানের সংসদ সদস্য এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরী এখানে বিসিক শিল্পনগর করছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়ন বিপ্লবকে ত্বরান্বিত করতে তিনি এই সরকারের মেয়াদেই প্রকল্পের কাজ শেষ করতে চেয়েছিলেন।

মেয়রের অভিযোগ, বিসিক কর্তৃপক্ষ মনগড়া মাটি ভরাটের প্রাক্কলন তৈরি করে কাজের টেন্ডার আহ্বান করেছে। দায়িত্বপ্রাপ্ত ঠিকাদার সিডিউল অনুসরণ করে মাটি ভরাট করলেও প্রকল্পের শিল্প প্লট করার মতো উপযোগী করা যায়নি। মেয়রের দাবি, এ প্রকল্পে সংশ্লিষ্ট বিসিক কর্মকর্তারা মাটি ভরাট কাজে নিয়োজিত ঠিকাদারকে প্রাক্কলন সংশোধন করে ভরাট কাজের ব্যয় বাড়ানোর কথা বলে ধীরগতিতে কাজ করছে। যে আশ্বাসে তারা বর্ধিত মাটি ফেলছে এখন পর্যন্ত নতুন প্রাক্কলনের লক্ষণ না দেখে ঠিকাদারের সঙ্গে ঝামেলায় জড়িয়েছে বিসিক। কর্তৃপক্ষের এমন উদাসীনতায় এখন প্রকল্প কাজে স্থবিরতা দেখা দিয়েছে।

ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স বোস্তামী এন্টারপ্রাইজের এক কর্মকর্তা শোয়েব-এ খান বলেন, বিসিক কর্মকর্তাদের আশ্বাসে কাজ করে তার বিশাল অঙ্কের টাকা আটকে গেছে। কর্তৃপক্ষের আশ্বাস অনুসারে পুনরায় প্রাক্কলনের রিসিডিউল করা না হলেও তার প্রতিষ্ঠান করণীয় নির্ধারণ করে অগ্রসর হবে।

প্রায় এক বছর আগে মন্ত্রী ও সংসদ সদস্যের দেওয়া নির্দেশ কেন পালন হচ্ছে না, আদৌ হবে কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে প্রকল্প পরিচালকের অধীনে কাজে নিয়োজিত বিসিক কর্মকর্তা আবদুল মতিন বলেন, এ বিষয়ে এখনো নির্দেশনা তারা পাননি। এ ব্যাপারে প্রকল্প পরিচালক মিজান উদ্দিনের কাছে জানতে চাইলে তিনি মিটিংয়ে আছেন জানিয়ে ফোন কেটে দেন।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close