পাবনা প্রতিনিধি

  ০১ এপ্রিল, ২০২৩

পেঁয়াজ তুলতে মাঠে কাজ, স্কুলে উপস্থিতি কম

পাবনা অঞ্চলে রমজানে শুরু হয়েছে পেঁয়াজ তোলার মৌসুম। অভিভাবকদের সহযোগিতা করতে কিংবা দিনমজুর হিসাবে অধিকাংশ শিক্ষার্থী এখন মাঠে পেঁয়াজ তোলার কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে। জেলার সাঁথিয়ায় অধিকাংশ প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলা থাকলেও স্কুলে শিক্ষার্থীর উপস্থিতি কম।

সরেজমিন উপজেলার বিভিন্ন প্রাথমিক বিদ্যালয় ঘুরে দেখা গেছে, প্রতিটি শ্রেণিতে ৪০ থেকে ৫০জন শিক্ষার্থীর স্থলে দেখা যায় ৮ থেকে ১০জনের উপস্থিতি। প্রায় সব বিদ্যালয়ে উপস্থিতির একই চিত্র। বিশেষ করে গ্রামাঞ্চলের বিদ্যালয়ে উপস্থিতির সংখ্যা বেশি কম। জানা গেছে, মাঠে মাঠে পেঁয়াজ তোলার ধুম পড়েছে। তাই শিক্ষার্থীরা অভিভাবকদের পেঁয়াজ তোলার কাজ করছে। অনেক শিক্ষার্থী কাজ করছে দিনমজুর হিসাবে। উপজেলার বিভিন্ন মাঠ ঘুরে দেখা গেছে, পেঁয়াজ তোলায় ব্যস্ত সময় পার করছে এলাকার কৃষক- কৃষাণীরা। পেঁয়াজ তোলা, বাড়িতে নেওয়া, কাটা ও বস্তাজাত করা পর্যন্ত মা-বাবার সাথে যোগ দিচ্ছে শিক্ষার্থীরাও।

উপজেলার সৈয়দপুরের প্রান্তিক কৃষক আলহাজ উদ্দিন জানান, কৃষি শ্রমিকের মুল্য বেশি। তাই ৪র্থ শ্রেণিতে পড়ুয়া মেয়ে তানিয়াসহ পরিবারের সবাই এসেছি পেঁয়াজ তুলতে। আমরা গরিব প্রান্তিক কৃষক। কৃষি কাজের পাশাপাশি ভ্যান চালিয়ে সংসার চালাই। মজুরির টাকা বাঁচিয়ে ওদের জন্য ঈদের কিছু কেনাকাটা করতে পারবো। এ জন্য ওকে স্কুলে যেতে দেইনি।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কৃষি শ্রমিকের মূল্য বেশি থাকায় প্রান্তিক কৃষকের পেঁয়াজ তুলে, মাঠ থেকে ঘরে তুলে আনতে সহযোগিতা করছে তাদের কোমলমতি সন্তানরা। অনেক গরিব শিক্ষার্থী ঈদকে সামনে রেখে প্রতিদিন ৪ থেকে ৫০০ টাকা করে দিনমজুর হিসাবে পেঁয়াজ তুলে দিচ্ছে কৃষকদের। আবার কৃষকের বাড়িতে গিয়ে শিক্ষার্থীরা মন প্রতি ২ থেকে ৪ কেজি পর্যন্ত পেঁয়াজ বিনিময় নিয়ে পেঁয়াজ কাটার কাজও করছে অনেকে। জানতে চাইলে এসব শিক্ষার্থী জানায়, সামনে ঈদ। পেঁয়াজ তোলার মজুরি দিয়ে নতুন জামা কিনবো। সাঁথিয়া উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা হেলাল উদ্দিন বলেন, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশ মতে আমাদের বিদ্যালয় খোলা রাখা হয়েছে। কোনো কারণে যদি শিক্ষার্থীর উপস্থিতি কমে যায়, সেক্ষেত্রে নির্দেশ রয়েছে হোম ওয়ার্কের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের শতভাগ উপস্থিতি নিশ্চিত করা।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close