তুহিন খান নিহাল

  ০৯ ডিসেম্বর, ২০২২

শিল্পকলায় ১১৪ দেশের শিল্পকর্ম প্রদর্শনী

রাজধানী ঢাকার সেগুনবাগিচায় শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালা মিলনায়তনে শুরু হয়েছে এশীয় চারুকলা প্রদর্শনী। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বৃহস্পতিবার (৮ ডিসেম্বর) সকাল ১০টায় বঙ্গবভন থেকে ভার্চুয়ালি এই প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন। বাংলাদেশসহ ১১৪টি দেশের অংশগ্রহণে মাসব্যাপী এই প্রদর্শনী চলবে আগামী ৭ জানুয়ারি পর্যন্ত।

উদ্বোধন অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বে ছিল সাংস্কৃতিক পরিবেশনা। বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির শিশু শিল্পীদের অংশগ্রহণে ১১৪টি দেশের পতাকা নিয়ে ছিল কোরিওগ্রাফি। এর ভাবনা ও পরিকল্পনায় ছিলেন একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী। নৃত্য পরিচালনা নৃত্য পরিচালনায় ছিলেন মেহরাজ হক তুষার। এরপর রোহিঙ্গাদের দেশান্তর ও তাদের বেদনার গাঁথা নিয়ে পরিবেশন করা হয় নৃত্য রোহিঙ্গানামা। এর ভাবনা ও পরিকল্পনায় ছিলেন একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী। নৃত্য পরিচালনা করেন অমিত চৌধুরী। ধারাবর্ণনা দেন আসাদুজ্জামান নূর এবং ত্রপা মজুমদার। এর গ্রন্থনায় ছিলেন রিতা নাহার। সংগীতায়োজন করেন রোকন ইমন। নৃত্য পরিবেশনায় ছিল বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি নৃত্যদল। এরপর পরিবেশনায় ছিল নৃত্য ‘অবহেলায় মৃত্যু আর নয়।’ পরিচালনায় ছিলেন আরিফুল ইসলাম অর্ণব ও পরিবেশনায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির শিশু নৃত্যশিল্পীরা।

এবার প্রদর্শনীতে বাংলাদেশসহ বিশ্বের ১১৪টি দেশের মোট ৪৬৫ জন শিল্পী ৭১২টি শিল্পকর্ম নিয়ে অংশ নিচ্ছেন। এর মধ্যে বাংলাদেশের থাকছেন ১৪৯ শিল্পী ও তাদের ১৫৬টি শিল্পকর্ম। প্রদর্শনী উপলক্ষে থাকছে দেশ-বিদেশের শিল্পী, সমালোচক, বিচারক ও পর্যবেক্ষকদের অংশগ্রহণে সেমিনার। বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় জাতীয় চিত্রশালা মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয় সেমিনার ‘হোম অ্যান্ড ডিসপ্লেসমেন্ট’। শিক্ষাবিদ সৈয়দ মনজুরুল ইসলামের সভাপতিত্বে এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন শিল্পী ও সমালোচক মোস্তাফা জামান। আলোচনায় অংশ নেন বেঙ্গল ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক লুভা নাহিদ চৌধুরী।

উল্লেখ্য ‘দ্বিবার্ষিক এশীয় চারুকলা প্রদর্শনী বাংলাদেশ, বিগত ৪ দশক ধরে বিরতিহীনভাবে আয়োজন করা হয়। এটি এশিয়া মহাদেশের প্রাচীনতম মর্যাদাপূর্ণ একটি আন্তর্জাতিক চারুকলা উৎসব। বাংলাদেশ সরকারের সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পৃষ্ঠপোষকতায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি গর্বের সঙ্গে এই আন্তর্জাতিক চারুকলা উৎসবের আয়োজন করে আসছে। মূলত সমকালীন শিল্পকলাকে প্রদর্শনীর মাধ্যমে শিল্পপ্রেমী দর্শক ও সংগ্রাহকদের নিকট সুপরিচিত করে তোলার লক্ষ্যে দ্বিবার্ষিক ভিত্তিতে এই আন্তর্জাতিক চারুকলা উৎসব আয়োজনের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছিল।

এশীয় চারুকলা প্রদর্শনীতে দ্বিমাত্রিক ও ত্রিমাত্রিক শিল্পকর্মগুলো যেমন চিত্রকলা, ছাপচিত্র, আলোকচিত্র, ভাস্কর্য, স্থাপনাশিল্প ও নতুন মাধ্যমের শিল্পকর্ম প্রদর্শিত হয়ে থাকে। দেশি-বিদেশি চারুশিল্পীরা এসব শিল্পকর্মের মাধ্যমে তাদের সমকালীন চিন্তা-ভাবনাকে দর্শকদের সামনে তুলে ধরেন। প্রদর্শনী উপলক্ষে দেশি-বিদেশি শিল্পী, শিল্প সমালোচক, জুরি, পর্যবেক্ষকদের অংশগ্রহণে একটি নির্দিষ্ট থিম নিয়ে দুই দিনব্যাপী সেমিনারের আয়োজন করা হয়ে থাকে। প্রদর্শনী উপলক্ষে দেশি-বিদেশি চারুশিল্পীদের প্রদর্শনীর বিভিন্ন আয়োজনের সঙ্গে সম্পৃক্ত করার লক্ষ্যে আতিথেয়তা জানিয়ে বাংলাদেশে আমন্ত্রণ জানানো হয়। আয়োজনের মধ্যে রয়েছে মাসব্যাপী প্রদর্শনী, আন্তর্জাতিক সেমিনার, নৌভ্রমণ, বিভিন্ন ঐতিহাসিক স্থান পরিদর্শন, আর্টক্যাম্প, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, নৈশভোজ প্রভৃতি যেখানে অংশগ্রহণ করবেন বিদেশি অতিথিরা।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close