নিজস্ব প্রতিবেদক

  ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০২২

অর্থপাচার মামলা

পাপিয়াসহ ৫ জনের বিচার শুরু

বহিষ্কৃত যুব মহিলা লীগ নেত্রী শামীমা নুর পাপিয়া, তার স্বামী সাবেক ছাত্রলীগ নেতা মফিজুর রহমান সুমনসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে হওয়া অর্থপাচার মামলার বিচার শুরু হয়েছে।

রবিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) তাদের বিরুদ্ধে হওয়া ৩ কোটি ২৩ লাখ টাকার অর্থপাচার মামলার বিচার শুরু হয় ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৮-এ। মামলার অপর ৩ আসামি হচ্ছেন সাব্বির খোন্দকার, শেখ তৈয়বা নুর ও জোবায়ের আলম।

আসামিদের মধ্যে পাপিয়া, সুমন, সাব্বির ও তৈয়বা জেল হেফাজতে এবং চার্জশিটে জোবায়ের আলমকে ‘পলাতক’ দেখানো হয়েছে। ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৮-এর বিচারক বদরুল আলম ভূঁইয়া সিআইডির পরিদর্শক মো. মনিরুজ্জামানের জবানবন্দি রেকর্ড করেছেন। জবানবন্দি রেকর্ডের পর কারাগারে থাকা আসামিদের পক্ষে অভিযোগকারীকে জেরা করার জন্য ১৬ অক্টোবর দিন ধার্য করেছেন বিচারক। এর আগে গত ২১ আগস্ট একই আদালত পাপিয়া-সুমন দম্পতি ও তাদের সহযোগীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন।

গত বছরের ১০ অক্টোবর অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) পরিদর্শক ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা (আইও) মো. ইব্রাহিম হোসেন তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। ২০২০ সালের ২১ মার্চ মানি লন্ডারিং নিয়ন্ত্রণ আইনে গুলশান থানায় তাদের বিরুদ্ধে মামলাটি করেন সিআইডির পরিদর্শক মো. মনিরুজ্জামান।

২০২০ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি পাপিয়া, তার স্বামী ও তাদের ২ সহযোগীকে ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব-১-এর একটি দল। তাদের কাছ থেকে ৭টি পাসপোর্ট, ২ লাখ ১২ হাজার ২৭০ টাকা, ২৫ হাজার ৬০০ টাকার জালনোট, ১১ হাজার ৪৮১ ডলার, ৪২০ শ্রীলঙ্কান রুপি, ৩০১ ভারতীয় রুপি এবং ২টি ডেবিট কার্ড উদ্ধার করে র‌্যাব। পরে র‌্যাব সদস্যরা পাপিয়ার ফার্মগেটের বাসায় অভিযান চালিয়ে ১টি বিদেশি পিস্তল, ২টি ম্যাগাজিন, ২০ রাউন্ড গুলি, ৫ বোতল বিদেশি মদ, ৫৮ লাখ ৪১ হাজার টাকা এবং কয়েকটি ব্যাংকের ক্রেডিট ও ডেবিট কার্ড উদ্ধার করেন। এরপর শেরেবাংলা নগর থানায় অস্ত্র ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে ২টি এবং বিশেষ ক্ষমতা আইন-১৯৭৪-এর অধীনে বিমানবন্দর থানায় আরেকটি মামলা করা হয়। পরে মামলাগুলোর বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাদের রিমান্ডে নেওয়া হয়।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close