ধনবাড়ী (টাঙ্গাইল) সংবাদদাতা

  ১৫ আগস্ট, ২০২২

ধনবাড়ীতে ইউপি সদস্যের ছেলের নেতৃত্বে ছিনতাই

সালিসে জুতাপেটা

টাঙ্গাইলের ধনবাড়ী উপজেলার পাইস্কা ইউনিয়নের এক ইউপি সদস্যের ছেলের নেতৃত্বে মোবাইল ও টাকা ছিনতাইয়ের অভিযোগ উঠেছে। গত শনিবার বিষয়টি প্রকাশ পেলে রবিবার সকালে গ্রামবাসীর উদ্যোগে এক সালিসি বৈঠক হয়। সালিসে জুতার বাড়ি-মুচলেকায় তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।

এছাড়া এ চক্রের বিরুদ্ধে মাদক ব্যবসার অভিযোগ তুলেছে গ্রামবাসী। চক্রের মূল হোতা উপজেলার কয়ড়া গ্রামের রাফি ইসলাম (২২)। রাফি ওই ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য জাকির হোসেনের ছেলে ও সাবেক ইউপি সদস্য মজিবর রহমানের ভাতিজা। চক্রের অন্যরা হলো একই গ্রামের রাতুল ইসলাম, সাব্বির হোসেন ও বাবু মিয়া। আর ভুক্তভোগী একই গ্রামের মৃত আ. হাইয়ের ছেলে মো. লিটন মিয়া ও শাহাজান আলমের ছেলে সেলিম আহমেদ। সালিস বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন ওই ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগের সভাপতি সাইফুল ইসলাম। উপস্থিত ছিলেন পাইস্কা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মঞ্জুরুল ইসলাম মুঞ্জু মল্লিক, ইউপি সদস্য জাকির হোসেন, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবুল হোসেন, সাবেক ইউপি সদস্য মজিবুর রহমান, আজাহারুল ইসলাম, পৌর ৯নং ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক গাজীবর রহমান ও আওয়ামী লীগ নেতা আনিছুর রহমান মুন্সীসহ কয়েকজন গ্রামবাসী। সালিস বৈঠকে ওই চক্রের চারজনকেই কয়েক ঘা জুতার বাড়ি দিয়ে ও সাদা কাগজে মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়।

ভুক্তভোগী লিটন মিয়া জানান, গত শুক্রবার রাতে রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় রাফি, রাতুল, সাব্বির ও বাবু গলায় ছুরি ধরে তাদের বাঁশ ঝাড়ে নিয়ে ১০ হাজার টাকার দাবি করে। সঙ্গে থাকা মোবাইল ও নগদ টাকা ছিনিয়ে নেয়। হত্যার হুমকিতে বাকি টাকা রাতেই পরিশোধ করতে বলে তাকে ছেড়ে দেয়। পরদিন শনিবার বিষয়টি পরিবারকে জানান।

এই চক্রের বিরুদ্ধে একই অভিযোগ করেন সেলিম আহমেদ নামে আরেক ব্যক্তি।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এলাকাবাসীরা জানান, জাকির মেম্বার সপ্তাহে দুই দিন বাড়িতে থাকেন। আর স্ত্রী-সন্তান নিয়ে টাঙ্গাইলের এক এনজিও পরিচালনা করেন। কেউ বাড়িতে না থাকায় রাফি ও তিন বন্ধু মিলে এলাকায় রাতে ছিনতাই, মাদক ব্যবসা করেন। রাতে এলাকার পথচারীদের সুযোগ বুঝে নিরাপদ স্থানে নিয়ে টাকাণ্ডপয়সা লুটে নেন। লিটনের সঙ্গে এ ঘটনার পর মূল বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে।

এলাকাবাসীরা আরো জানান, একই গ্রামের আনন্দ সূত্রধরের নেতৃত্বে মাদক ব্যবসা চলেছে দীর্ঘদিন। বেড়ে গেছে মাদক সেবন ও অপ্রীতিকর ঘটনা। তারা আতঙ্কে আছেন। এ সমস্যার সমাধানে প্রশাসনের দৃষ্টি কামনা করেন তারা।

ইউপি সদস্য জাকির হোসানে এ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে মোবাইল ফোনে বলেন, ‘আমি বাড়িতে না থাকায় ওরা চারজন এ কাণ্ড ঘটিয়েছে’- এই বলেই তিনি সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেন দেন।

ধনবাড়ী থানার ওসি চান মিয়া বলেন, ‘বিষয়টি জানা নেই। খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close