সিরাজদিখান (মুন্সীগঞ্জ) প্রতিনিধি

  ১৯ জুন, ২০২২

ভাঙনকবলিত এলাকায় ব্রুনাই হাইকমিশনার

সিরাজদিখান উপজেলার বালুচর ইউনিয়নের চান্দের চর গ্রামের আওতাধীন ধলেশ্বরী নদীর ভাঙনকবলিত এলাকা পরিদর্শনে আসেন ব্রুনাই হাইকমিশনার হাজি হারিস বিন ওসমান। গত শুক্রবার বিকাল ৫টায় ১১ বছর ধরে ধলেশ্বরী নদীর ভাঙনে চান্দের চর গ্রামসহ আশপাশের ১৫ হাজার মানুষের জমিজমা ভেঙে ধলেশ্বরীর গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। ওই ভাঙনকবলিত চান্দের চর এলাকায় পরিদর্শনে আসেন ব্রুনাই হাইকমিশনার হাজী হারিস বিন ওসমান। ওই সময় আরো উপস্থিত ছিলেন খাসকান্দি উচ্চবিদ্যালয়ের সভাপতি ও বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স ব্রুনাই দারুসালেমের সভাপতি মোহাম্মদ লিয়াকত সরকার। ওই সময় তিনি স্থানীয় ভুক্তভোগীদের সঙ্গে বিভিন্ন বিষয়ে কথাও বলেন।

জানা গেছে, সিরাজদিখান উপজেলার বালুচর ইউনিয়নের চান্দের চর ও আশপাশের গ্রাম সহ ধলেশ্বরী নদীর ভাঙনের কবলে পরে আছে বিগত ১১ বছর ধরে। আর মাত্র ১০০ মিটারেরও কম প্রস্থে ভাঙলে ওই এলাকার বাড়িঘর, স্কুল, মসজিদ, হাটবাজার ভাঙনের কবলে পড়বে।

সরজমিনে গিয়ে জানা যায়, নদীভাঙনের কবলে রয়েছে এ এলাকায় বসবাসরত ১৫ হাজার মানুষ। এখানে ১৫টি মসজিদ রয়েছে ১৩টি মসজিদে জুমার নামাজ হয়। দুটি মাদরাসা খাসকান্দি দাখিল মাদরাসা ও মদিনাপাড়া কওমি মাদরাসা, দুটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। চান্দের চর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও পূর্ব চান্দের চর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। কমিউনিটি ক্লিনিক একটি। তিনটি পাকা ব্রিজ। দুটি ঈদগাহ ময়দান, এই ইউনিয়নের সবচেয়ে বড় ঈদগাহ ময়দান ও কবর স্থান রয়েছে এখানে। নৌকা ঘাট তিনটি ও ছোট বাজার রয়েছে তিনটি। এখন থেকে ভাঙন রোধ না করলে এসব অঞ্চল বিলীন হতে পারে অচিরেই বলে মনে করেন এলাকাবাসী।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close