জুড়ী (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি
পাহাড়ি ময়নাছানা উদ্ধার
মৌলভীবাজার জেলার জুড়ী উপজেলায় বন বিভাগের অভিযানে তিনটি পাহাড়ি ময়না পাখি শিকারিদের হাত থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল সোমবার সকালে উপজেলার গোয়ালবাড়ী ইউনিয়নের লাঠিটিলার ডোমাবাড়ী এলাকার ইছরাক আলীর ছেলে ফাহিমের (১২) কাছ থেকে পাখিগুলো উদ্ধার করে বন বিভাগের লাঠিটিলা বিট কর্মকর্তা মো. সালাহ্ উদ্দিন। এ সময় শিকারি ফাহিম আর কোনো দিন পাখি শিকার করবে না বলে মুচলেকা দিয়ে ছাড়া পায়।
বন বিভাগ সূত্রে জানা যায়, লাঠিটিলা সংরক্ষিত বনের সেগুন বাগানের একটি গাছে বাসা বাঁধে একটি পাহাড়ি ময়না পাখি। এক সপ্তাহ আগে পোষার জন্য বাসায় থাকা তিনটি ছানা নিয়ে যায় স্থানীয় ডোমাবাড়ী এলাকার ইছরাক আলীর ছেলে ফাহিম (১২)। তখন চোখ না ফোটা পাখির ছানাগুলোর বয়স ছিল মাত্র পাঁচ দিন। বিষয়টি বন বিভাগের নজরে গেলে বিভাগীয় বন কর্মকর্তা রেজাউল করিম চৌধুরীর নির্দেশনায় স্থানীয় বিট কর্মকর্তা সালাহ উদ্দিন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ ঘটনাস্থলে গিয়ে ময়নার ছানাগুলো উদ্ধার করে বিট অফিসে নিয়ে আসে। পরে পাখির ছানাগুলোকে প্রাথমিকভাবে দেখাশোনা করার জন্য বন বিভাগের সমন্বয়ে স্থানীয় পরিবেশ কর্মী স্বেচ্ছাসেবী খোরশেদ আলমের কাছে পরিচর্যার জন্য রাখা হয়।
এ বিষয়ে স্থানীয় বাসিন্দা ও পরিবেশ কর্মী খোরশেদ আলম বলেন, খবর পেয়ে বন বিভাগের সহায়তায় পাখিগুলোকে উদ্ধার করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে দেখাশোনা করার জন্য বন বিভাগের সমন্বয়ে পরিচর্যার জন্য পাখিগুলোকে আমার কাছে দেওয়া হয়েছে।
লাঠিটিলা সংরক্ষিত বনের বিট কর্মকর্তা মো. সালাহ্ উদ্দিন বলেন, বিভাগীয় বন কর্মকর্তা রেজাউল করিম চৌধুরী স্যারের নির্দেশনায় ঘটনাস্থলে গিয়ে ময়নার ছানাগুলো উদ্ধার করে বিট অফিসে নিয়ে আসি। এ সময় শিকারি ফাহিম আর কোনো দিন পাখি শিকার করবে না বলে মুচলেকা দেয়। এ সময় তিনি আরো বলেন, পাখির ছানাগুলোকে প্রাথমিকভাবে দেখাশোনা করার জন্য বন বিভাগের সমন্বয়ে স্থানীয় পরিবেশ কর্মী খোরশেদ আলমের কাছে পরিচর্যার জন্য রাখা হয়েছে।
বিভাগীয় বন কর্মকর্তা রেজাউল করিম চৌধুরী তিনটি পাহাড়ি ময়না পাখির ছানা উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, বাচ্চাগুলো ছোট একদম। তাই কিছুদিন আমাদের কাছে রেখে সুস্থ করে ছেড়ে দেওয়া হবে।
"