নিজস্ব প্রতিবেদক

  ১০ মে, ২০২২

প্রতিনিধিদল ঢাকায়

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক আরো এগিয়ে নেওয়াই চ্যালেঞ্জ

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক আরো এগিয়ে নেওয়াই সরকারের চ্যালেঞ্জ বলে মনে করছেন পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন। সরকারের এই শীর্ষ কূটনীতিক বলছেন, দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কে যুক্ত হচ্ছে নতুন ক্ষেত্র, অগ্রাধিকার। সন্ত্রাসবাদ ও ধর্মীয় উগ্রবাদ মোকাবিলায় দুই দেশ আরো ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করবে। সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ তথ্য জানান তিনি।

ওয়াশিংটনে সম্প্রতি শেষ হওয়া নিরাপত্তা সংলাপে বাংলাদেশের অগ্রাধিকার ছিল র‌্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের অনুরোধ। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেনের সঙ্গে আলোচনায়ও তা তুলেছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. আবদুুল মোমেন। ডিসেম্বর পরবর্তী সব দ্বিপক্ষীয় বৈঠকেই এই আলোচনা ছিল বড় অংশজুড়ে। এখন পর্যন্ত তা সমাধান তো দূরের কথা, আশ্বাসও মেলেনি। বরং র‌্যাবের জবাবদিহিতা আর সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ বাস্তবায়ন ছাড়া যে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার হচ্ছে না, তা স্পষ্ট করেছে ওয়াশিংটন। এ অবস্থায়ও সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদের মতো বৈশ্বিক সংকট মোকাবিলায় আরো ওতপ্রোতভাবে কাজ করতে চায় দুই দেশ।

পররাষ্ট্র সচিব বলেন, অ্যান্টি ট্যারিরিজম, উগ্রবাদ, মানব পাচার, ড্রাগসহ আরো কিছু বিষয়ে তাদের সঙ্গে আমাদের একত্রে কাজ করার সুযোগ আছে। সাম্প্রতিক সময়ে মার্কিন রাষ্ট্রদূত নিজেই বলেছেন, পুলিশের অন্যান্য বিভাগ যেগুলো আছে, সেগুলোর সঙ্গে কো-অপারেশন, ট্রেনিং, ক্যাপাসিটি বিল্ডিং এগুলো চলতে পারে।

সম্পর্কে বৈচিত্র্য আনতে চায় বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্র- দুপক্ষ। এক্ষেত্রে বিনিয়োগ আর ব্যবসা-বাণিজ্য বাড়ানো ঢাকার অগ্রাধিকার। আছে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা ও কৃষি উন্নয়নের মতো বিষয়ও। সব মিলিয়ে বন্ধুত্ব আরো জোরদারের চেষ্টা অব্যাহত রাখবে বাংলাদেশ।

মাসুদ বিন মোমেন বলেন, কীভাবে সম্পর্কটাকে এগিয়ে নেওয়া যায়, সেটাই হলো চ্যালেঞ্জ। বিরাট ব্যাপ্তিতে আমাদের সম্পর্ক রয়েছে। বিনোয়োগে আরো কীভাবে বৈচিত্র্য আনা যায় এবং রপ্তানি বৃদ্ধিসহ দেশে যুক্তরাষ্ট্রের যেসব প্রকল্প রয়েছে, সেগুলোর সঙ্গে বাংলাদেশের অগ্রাধিকারকে মিল রেখে আরো কীভাবে কাজ করা যায় এসব বিষয়ে গুরুত্ব দেওয়া হবে বলে উল্লেখ করেন তিনি। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আশা, দু’একটি বিষয়ে ভিন্নমত থাকলেও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্কে টানাপোড়েন নেই কোনো।

এদিকে ইউএস-বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিলের যুক্তরাষ্ট্রের ২৫ সদস্যের ব্যবসায়ীদের একটি প্রতিনিধিদল বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সুযোগ ও সম্ভাবনা যাচাইয়ে বাংলাদেশ সফর করছে। শেভরনের (ব্যবসা বিভাগের) ভাইস প্রেসিডেন্ট জে আর প্রিয়রের নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলটি গতকাল বিকালে ফরেন সার্ভিস অ্যাকাডেমিতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেনের সঙ্গে বৈঠক করে।

এই প্রতিনিধিদলে ডিজিটাল, শক্তি, অর্থ, সেবা, ইন্স্যুরেন্স ও কৃষির মতো বিভিন্ন খাতে যুক্তরাষ্ট্রের বৈশ্বিক ব্যবসায়ী নেতারা রয়েছেন। তারা ১১ মে পর্যন্ত বাংলাদেশে অবস্থান করবেন।

বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে শক্তিশালী অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্কের উচ্চপর্যায়ের সুযোগের ব্যাপারে প্রতিনিধিদলটিকে ব্রিফ করেন। প্রিয়র বলেন, পুরোনো বন্ধুত্বকে পুনরুজ্জীবিত করা এবং নতুন অংশীদারিত্বের জন্য সুযোগ সন্ধান করাই বাংলাদেশে এই কাউন্সিলের প্রথম বাণিজ্য মিশন। মার্কিন কোম্পানিগুলো বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে অবদান রাখতে চায়।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close