কেন্দুয়া (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি

  ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২১

নির্যাতনের শিকার তরুণী মানসিক ভারসাম্য হারিয়েছেন

এক বছর আগে নেত্রকোনার কেন্দুয়ায় এক তরুণী শারীরিক নির্যাতনের শিকার হন। ওই ঘটনা ধামাচাপা দিতে গ্রাম্য সালিস বসিয়ে ৮ হাজার টাকার বিনিময়ে বিষয়টি মীমাংসা করেন স্থানীয় মাতব্বররা। কিন্তু এই নির্যাতনের অপমান সহ্য করতে পারেননি ওই তরুণী। এখন তিনি মানসিকভাবে ভারসাম্যহীন। পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, এ তরুণীর বয়স এখন ১৮। তিনি সুবিচার পাননি।

জানা গেছে, ওই ঘৃণ্য ঘটনার পর থেকেই তরুণীটি ধীরে ধীরে মানসিক ভারসাম্যহীন হয়ে পড়ে। তাই পরিবারের লোকজন বাধ্য হয়ে তাকে এখন শিকল দিয়ে বেঁধে রেখেছেন। ঘটনাটি কেন্দুয়া উপজেলার বলাইশিমুল ইউনিয়নের কেন্দুয়া-নেত্রকোনা সড়কের পাশে ভরাপাড়া গ্রামে। স্থানীয়রা জানান, ভিকটিম ও তার মা এবং দুই ভাই কেন্দুয়া-নেত্রকোনা সড়কের পাশে সরকারি জায়গায় ছোট একটি ঘরে বসবাস করেন।

ভিকটিম পরিবারের একমাত্র মেয়ে, তার দুই ভাই রয়েছে। তাদের মা মানুষের বাড়িতে কাজ করেন। এই অবস্থায় চলতে গিয়ে এলাকার এক মহিলার সহায়তায় স্থানীয় এক বখাটের শারীরিক নির্যাতনের শিকার হন এই তরুণী। এই তরুণীর ছোট ভাই বলেন, এলাকার প্রভাবশালীদের চোখ রাঙানো উপেক্ষা করে তারা প্রশাসনের সাহায্য নিতে পারেননি।

একপর্যায়ে এলাকার মাতব্বররা একটা গ্রাম্য সালিস বসিয়ে তার বোন ভিকটিমের চিকিৎসা বাবদ ওই অভিযুক্তের কাছ থেকে ৮ হাজার টাকা জরিমানা ধার্য করেন। সেই টাকা দিয়ে ভিকটিমকে চিকিৎসা করা হলেও তার বোন সুস্থ জীবনে ফিরে আসতে পারেনি। তাই ভিকটিমকে এখন শিকল দিয়ে বন্দি করে রাখা হয়েছে। মেয়েটির মা প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করে এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে বিচারের দাবি জানান। কেন্দুয়া থানার ওসি কাজী শাহ নেওয়াজ এ বিষয়ে জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। তবে ভিকটিম পরিবারের পক্ষ থেকে এখনো কোনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পাওয়া গেলে তদন্তসাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close