হিলি (দিনাজপুর) প্রতিনিধি

  ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২১

টাকার অভাবে চিকিৎসা হচ্ছে না শিশু মেধার

দিনাজপুর জেলার হাকিমপুর (হিলি) উপজেলার বৈগ্রাম গ্রামের ১০ বছরের ইয়ামিন আকতার মেধাকে নিয়ে বিপাকে পড়েছেন বাবা ইলিয়াস আলী ও মা মেহের বানু। ৬ বছর আগে মেধার বয়স যখন ৪ বছর। এক দিনে মায়ের কোলে বসেছিল সে। এমন সময় পূর্বশত্রুতার জের ধরে প্রতিবেশী একজন মহিলা তাদের শরীরে গরম দুধ ছুড়ে ফেলে। এতে মেধার কচি শরীরের ডান পাশের কান থেকে কোমর পর্যন্ত ঝলসে যায়। পরে হিলি হাসপাতালে শিশুটিকে ভর্তি করে দীর্ঘদিন চিকিৎসা চলে। হতদরিদ্র দিনমজুর বাবা ইলিয়াস আলী এতে ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়েন। সামর্থ্য না থাকায় চিকিৎসা শেষ করতে পারেননি। এখন শরীরের ঘা শুকিয়ে গেলেও ক্ষত স্থানগুলো শক্ত ও জমাট বেঁধে রয়েছে। সেখানে জ্বালা-যন্ত্রণা করে। চিকিৎসকরা বলছেন, উন্নত চিকিৎসার মাধ্যমে মেধার ক্ষত স্থানগুলো স্বাভাবিক হবে, প্লাস্টার সার্জারি করতে হবে। তবে এটা একটি ব্যয় বহুল চিকিৎসা।

বাবা ইলিয়াস আলী জানান, আমি দিনমজুর। সংসারে দুই মেয়ে, মেধা ছোট এবং বড় মেয়ে সাবিনা। সাবিনা বগুড়ায় নার্সিংয়ে লেখাপড়া করে। খেয়ে না খেয়ে একবুক স্বপ্ন নিয়ে বড় মেয়েকে নার্সিং পড়াচ্ছি। ছোট মেয়ে মেধার শরীরের বড় সমস্যা। মেয়ে মানুষ, বড় হবে, ভবিষ্যতে বিয়েশাদি দিতে হবে। এমন নানা চিন্তায় হতাশায় দিন কাটছে আমাদের। উন্নত চিকিৎসার জন্য প্রয়োজন অনেক টাকা, এত টাকা কোথায় পাব। তাই সন্তানের জন্য আজ সরকার আর দেশের হৃদয়বান মানুষের কাছে সাহায্যে জন্য হাত বাড়িয়েছি।

নার্সিংয়ে পড়ুয়া বড় মেয়ে সাবিনা ইয়াসমিন বলেন, অর্থের অভাবে আজ আমার ছোট বোনের চিকিৎসা করতে পারছেন বাবা-মা। ছোট বোনটাকে নিয়ে আমরা সবাই চিন্তিত। কেউ সহযোগিতা করতে চাইলে ০১৭৮৫০৩০৬২৮ নাম্বারে যোগাযোগ করতে পারেন।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close