প্রতিবেশীর ছাগল দীর্ঘদিন আজিজুর রহমান খানের (৩৫) খেতের সবজি নষ্ট করছিল। তিনি বিষয়টি একাধিকবার ছাগল মালিককে জানিয়েও কোনো ফল পাননি। অবশেষে রাগে-ক্ষোভে সেই ছাগল জবাই করে মাংস খেয়ে ফেলেন সবজি খেতের মালিক আজিজুর ও তার কয়েকজন বন্ধু।

সেই ঘটনার সূত্র ধরে গত বুধবার ছাগল মালিক আজহারের ছেলে মোস্তফার (২৪) নেতৃত্বে পরিবারের লোক আজিজুরকে বেধড়ক মারধর করে। পরে গুরুতর রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এই ঘটনা ঘটেছে গাজীপুরের কালীগঞ্জ উপজেলার জাঙ্গালীয়া ইউনিয়নের রয়েন গ্রামে। নিহত আজিজুর ওই গ্রামের মৃত আবুল হাশেম খানের ছেলে।

এ ঘটনায় গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে নিহতের স্ত্রী আসমা আক্তার (২৪) বাদী হয়ে মোস্তফাকে প্রধান আসামি করে ছয়জনের নাম উল্লেখ করে এবং তিন থেকে চারজনকে অচেনা আসামি করে কালীগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

হত্যা মামলার বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন কালীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ এ কে এম মিজানুল হক। তিনি জানান, ঘটনার পর ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। নিহতের স্বজনরা ও পুলিশ জানান, গত মঙ্গলবার সকাল ১১টার দিকে প্রতিবেশীর এক ছাগল আজিজুর রহমানের খেতে প্রবেশ করে কিছু সবজি খেয়ে ফেলে। এরপর ছাগলটি ধরে ওই দিন রাতে জবাই করে বন্ধুদের সঙ্গে নিয়ে খেয়ে ফেলে আজিজুর। এরপর বুধবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে ওই ঘটনার জেরে ছাগল মালিকের ছেলে মোস্তফাসহ অন্যরা আজিজুরকে পিটিয়ে গুরুতর জখম করে। পরে গুরুতর রক্তাক্ত অবস্থায় বিকালে তাকে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন আহম্মেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা

কালীগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শহিদুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী আছমা আক্তার বাদী হয়ে কালীগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা করেছেন। হামলাকারী ছয়জনসহ জড়িত বেশ কয়েকজনকে মামলায় আসামি করা হয়েছে। এ ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত সবাই পলাতক রয়েছে। তবে তাদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

"