শাবিপ্রবি প্রতিনিধি

  ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৯

বেনামি শ্বেতপত্র প্রকাশ

শাবিপ্রবি ভিসির বিরুদ্ধে দুর্নীতির ৫৩ অভিযোগ

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও নানা অনিয়মের ৫৩টি অভিযোগ সংবলিত বেনামে একটি শ্বেতপত্র প্রকাশিত হয়েছে। নাম-ঠিকানাবিহীন ডাকযোগে প্রেরিত এ শ্বেতপত্রের কপি গত শনিবার দৈনিক প্রতিদিনের সংবাদের হাতে এসে পৌঁছায়। তবে শ্বেতপত্রটি কারা করেছে, তার রহস্য উদ্ঘাটন নিয়ে চলছে বেশ কানাঘুষা। শ্বেতপত্রে অভিযোগকারীরা নিজেদের ‘দুর্নীতির বিরুদ্ধে সোচ্চার শাবিপ্রবির শিক্ষক ও কর্মকর্তারা’ নামে প্রচার করছেন।

শ্বেতপত্রে উপাচার্যের আর্থিক দুর্নীতি, ক্ষমতার অপব্যবহার, স্বজনপ্রীতি, স্বেচ্ছাচারিতা, জামায়াত তোষণ, শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করাসহ মোট ৫৩টি পয়েন্টে অভিযোগ তুলে ধরা হয়। তবে এ শ্বেতপত্রটি বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করার ষড়যন্ত্র বলে উল্লেখ করেছেন উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ।

‘শাবিপ্রবির বর্তমান উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদের বিভিন্ন অপকর্মের শ্বেতপত্র’ নামে প্রকাশিত ২৪ পৃষ্ঠার শ্বেতপত্রে শিক্ষক নিয়োগে যোগ্যতাসম্পন্ন ও মেধাবীদের বাদ দিয়ে নিজ এলাকা, নিজের আত্মীয়-স্বজন, অনুগত

শিক্ষকদের সন্তানদের প্রাধান্য দিয়ে থাকেন বলে অভিযোগ করা হয়। সর্বশেষ একজন সিন্ডিকেট সদস্যের তীব্র আপত্তি সত্ত্বেও প্রার্থীদের মধ্যে সর্বনিম্ন যোগ্যতা সম্পন্ন উপাচার্যের অনুগত কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. আনোয়ারুল ইসলাম দিপুর মেয়েকে মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে নিয়োগ প্রদান করা হয় বলে অভিযোগ আনা হয়েছে। এ ছাড়া আনোয়ারুল ইসলাম বর্তমানে তার জামাতাকে বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢোকানোর চেষ্টায় আছেন বলে শ্বেতপত্রে বলা হয়।

উপাচার্যকে ‘ভিজিটিং ভিসি’ খেতাব দিয়ে বলা হয়, তিনি সপ্তাহে তিন দিনের বেশি ক্যাম্পাসে অবস্থান করেন না। এ ছাড়া উপাচার্যের বাসভবন রিনোভেটের নামে ৪৮ লাখ টাকা অপচয় ও ইনস্যুরেন্সের নামে চরম আর্থিম অনিয়মের অভিযোগ আনা হয় শ্বেতপত্রে।

অন্যদিকে একাডেমিক কাউন্সিল ও সিন্ডিকেট বৈঠকে পূর্বনির্ধারিত সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে। গত দুই বছরে বিশ্ববিদ্যালয়ের অবকাঠামোগত কোনো দৃশ্যমান উন্নতি হয়নি এবং বরাদ্দ ২০০ কোটি টাকার অর্থ ব্যয় করতে বর্তমান উপাচার্য অক্ষম বলে শ্বেতপত্রে দাবি করা হয়। এ ছাড়া সীমানা প্রাচীরকে অহেতুক কাজ বলে উল্লেখ করা হয়।

এ ছাড়াও প্রমোশন ও আপগ্রেডেশনের ক্ষেত্রে অনিয়ম, নিয়ম বহির্ভূতভাবে কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রদান ও শৃঙ্খলা অধ্যাদেশ পরিবর্তন, জোবাইক চালুর নামে প্রতারণা, আইসিভিসি সম্মেলনের নামে অর্থ অপচয়সহ বিভিন্ন বিষয় শ্বেতপত্রে প্রকাশিত হয়েছে।

যোগাযোগ করলে উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ আহমেদ দৈনিক প্রতিদিনের সংবাদকে বলেন, ‘এসব অভিযোগ অবাস্তব ও হাস্যকর। যারা বেনামে শ্বেতপত্র প্রকাশ করেছে তাদের নৈতিক ভিত্তি দুর্বল। আর্থিক দুর্নীতি, ক্ষমতার অপব্যবহার, স্বজনপ্রীতি, স্বেচ্ছাচারিতার বিন্দুমাত্র সত্যতা ও প্রমাণ দিতে পারবে না বলে চ্যালেঞ্জ ছুড়েন তিনি।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close