ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচিত ভিপি নুরুল হক নুর এবং ভিপি প্রার্থী লিটন নন্দীসহ সাতজনের বিরুদ্ধে হল ও সংসদ নির্বাচনের দিনে রোকেয়া হলের প্রভোস্ট ড. জিনাত হুদাকে লাঞ্ছিত করায় অভিযোগে করা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ২৫ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করেছেন আদালত।

এ মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দিন ধার্য ছিল বুধবার। এ দিন মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তা প্রতিবেদন দাখিল না করায় ঢাকা মহানগর হাকিম সরাফুজ্জামান আনছারী নতুন এ তারিখ ধার্য করেন।

মামলার বিবরণ থেকে জানা গেছে, গত ১১ মার্চ সকালে মামলার বাদী মারজুকা রায়না রোকেয়া হলে ভোটের লাইনে দাঁড়ান। এর মধ্যে হেরে যাওয়ার ভয়ে নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ বানচাল করার চেষ্টা চালান অভিযুক্তরা। তারা গণমাধ্যমকর্মীদের মধ্যে গুজব ছড়ান যে, ট্রাংকভর্তি সিলমারা ব্যালট পেপার হলের ভেতরে রয়েছে। সেই সঙ্গে তারা শিক্ষার্থীদের বিভ্রান্ত করে উসকে দেন। এক পর্যায়ে হল প্রভোস্ট ড. জিনাত হুদা শিক্ষার্থীদের আশ্বস্ত করে বলেন, বাস্তবে তেমন কিছুই ঘটেনি। সংরক্ষিত ব্যালট পেপারগুলো সাদা। কিন্তু অভিযুক্তরা প্রভোস্টের কথা না শুনে তাকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেন এবং শিক্ষার্থীদের গালাগাল করেন। এ সময় তারা রোকেয়া হল সংসদের দরজা-জানালা লাথি মেরে ভেঙে ফেলার চেষ্টা করেন। তারা সংসদের ভেতর অনধিকার প্রবেশ করে একটি ট্রাংক বের করে আনেন। সেটি খুলে দেখা যায়, সব ব্যালট পেপারই সাদা। কোনোটিতেই সিল মারা নেই।

এ দিনই ঢাবির নৃত্যকলা বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী মারজুকা রায়না শাহবাগ থানায় নুরসহ সাতজনের নামে মামলাটি করেন। এতে অজ্ঞাত পরিচয় আরো ৩০ থেকে ৪০ জনের নাম আসামি হিসেবে উলেখ করা হয়েছে।

এ মামলার এজাহার নামীয় আসামিরা হলেন ডাকসু ভিপি নুরুল হক নুর এবং ভিপি প্রার্থী লিটন নন্দী, জিএস প্রার্থী ঢাবির জহুরুল হক হল ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক খন্দকার আনিসুর রহমান, জিএস প্রার্থী ছাত্র ফেডারেশনের ঢাবি শাখার সভাপতি উম্মে হাবীবা বেনজীর ও রোকেয়া হল সংসদের স্বতন্ত্র ভিপি প্রার্থী শেখ মৌসুমী, ডাকসুর সমাজসেবা সম্পাদক পদে জয়ী সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের আখতার হোসেন এবং মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সম্পাদক পদে স্বতন্ত্র জোটের প্রার্থী শ্রবণা শফিক দীপ্তি।

"