মজিবার রহমান, কয়রা (খুলনা)

  ২৪ মার্চ, ২০১৯

কয়রায় বেড়িবাঁধ ভাঙনে ফসলি জমি বিলীনের আশঙ্কা

দুর্ভোগ যেন পিছু ছাড়ছে না কয়রাবাসীর। এখানকার কপোতাক্ষ নদের পাড়ে হরিণখোলা বেড়িবাঁধে ভাঙন দেখা দিয়েছে। অব্যাহত ভাঙনের কারণে কয়রা সদর ইউনিয়নের গোবরা, ঘাটাখালী, হরিণখোলা ও গোবরা পূর্বচক গ্রামের বাসিন্দারা রয়েছেন আতঙ্কে। ভাঙন রোধে দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে স্থানীয়দের ফসলি জমি ও বাড়িঘর নদীগর্ভে বিলীন হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, প্রায় ধ্বংস হওয়ার উপক্রম হয়েছে ১৩-১৪/২নং পোল্ডারের গোবরা, ঘাটাখালী ও হরিণখোলার বেড়িবাঁধ। শীত মৌসুমে নদীর পানি কমে যাওয়ায় ধসে গেছে নদীর পাড়ের মাটি। অধিকাংশ জায়গায় বাঁধের গোড়ায় মাটি না থাকায় সংকীর্ণ হয়ে গেছে বেড়িবাঁধের রাস্তা। দুর্বল বাঁধ ভেঙে যেকোনো মুহূর্তে বিলীন হয়ে যেতে পারে এ অঞ্চলের জনপদ। গত বুধবার রাতে হঠাৎ হরিণখোলা বেড়িবাঁধ নদীগর্ভে বিলীন হওয়ার পথে। এলাকবাসী বাঁধ রক্ষায় কাজ করলেও ভাঙন আতঙ্কে রাত কাটাচ্ছে এলাকবাসী। বাঁধ রক্ষায় জরুরিভিত্তিতে কাজ করার দাবি জানিয়েছে ভুক্তভোগীরা। ঘাটাখালী ও হরিণখোলা গ্রামের হানিফ, খাদিজা বেগম, আত্তাফ শেখ, হাফিজুর রহমান, মুদি দোকানি তৈয়েব আলীসহ অনেকেই বলেন, গত দুই সপ্তাহ ধরে বেড়িবাঁধের গোড়ার মাটিতে ধস নামা বেড়েই চলেছে। এ নিয়ে এলাকার মানুষও আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে।

স্থানীয় ইউপি সদস্য আবদুল গফ্ফার ঢালী বলেন, এবার শীত মৌসুম শেষ হতে না হতেই হঠাৎ করে হরিণখোলার বেড়িবাঁধের গোড়ার মাটি ধসে ভাঙন দেখা দিয়েছে। তিনি সংশ্লিষ্ট দফতরের কাছে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের আমাদী সেকশন কর্মকর্তা মশিউল আলম বলেন, কয়রা এলাকার ওয়াপদা বেড়িবাঁধের মাটি খসে পড়া ও ভাঙন নিয়ে প্রতিবেদন তৈরি করে তা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়েছে। প্রয়োজনীয় অর্থ পেলেই ঝুঁকিপূর্ণ বেড়িবাঁধ সংস্কার করা হবে। কয়রা সদর ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান মোস্তফা নাজমুছ ছাদাত বলেন, শুষ্ক মৌসুমে ভাঙন রোধে ব্যবস্থা না নেওয়া হলে কয়রা সদরের দরিদ্র মানুষের বসতবাড়িসহ ফসলি জমি হারিয়ে আরো নিঃস্ব হয়ে পড়বে। স্থানীয়দের দাবি, নদীভাঙন রোধে টেকসই ব্যবস্থা নেওয়া দরকার।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close