নিজস্ব প্রতিবেদক
‘রক্তদানে প্রয়োজন সামাজিক সচেতনতা’
রক্তদান করলে রক্তদাতার কোনো ক্ষতি হয় না। তাই রক্তদানে উদ্বুদ্ধ করতে সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতির সভাপতি জাতীয় অধ্যাপক ডা. এ কে আজাদ খান।
মঙ্গলবার (২৩ মে) সন্ধ্যায় রাজধানীর কাকরাইলস্থ ইনস্টিটিউট অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স, বাংলাদেশ (আইডিইবি) মিলনায়তনে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন আয়োজিত স্বেচ্ছা রক্তদাতা সম্মাননা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, দেশে রক্তের চাহিদা পূরণে রক্তদাতা বৃদ্ধি করতে হবে। কীভাবে আহ্বান জানালে রক্তদাতা বৃদ্ধি হবে—তা নিয়ে প্রয়োজনে সামাজিক গবেষণা চালাতে হবে। সামাজিক অনুষ্ঠানে এর গুরুত্ব তুলে ধরতে হবে। তাহলেই সবার মধ্যে রক্তদানের আকুলতা সৃষ্টি হবে।
অনুষ্ঠানে তিনবার রক্তদান করে লাইফ লং, ১০ বার দানে সিলভার, ২৫ বারের গোল্ডেন এবং ৫০ বার রক্তদান করে প্লাটিনাম ক্লাবের সদস্য হয়েছেন—এমন নানা বয়সী প্রায় তিনশ নারী-পুরুষ রক্তদাতাকে সম্মাননা প্রদান করা হয়।
কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন স্বেচ্ছা রক্তদান কার্যক্রমের প্রধান সমন্বয়ক নাহার আল বোখারীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন স্বেচ্ছা রক্তদান কার্যক্রম, কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনের পরিচালক মোটিভেশন জনাব এম রেজাউল হাসান। এ সময় স্বেচ্ছা রক্তদাতাদের পক্ষে অনুভূতি বর্ণনা করেন ১০ বারের রক্তদাতা হুমায়রা তাবাসসুম ইকরা এবং নিয়মিত রক্তগ্রহীতাদের মধ্য থেকে অনুভূতির কথা জানান থ্যালাসেমিয়ায় আক্রান্ত আসিফা আহসান। স্বেচ্ছা রক্তদাতাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানানোর পাশাপাশি দেশে রক্তের চাহিদা একদিন পুরোপুরি মিটবে—এমন আশাবাদ ব্যক্ত করেন আলোচকেরা। এ সময় স্বেচ্ছা রক্তদাতাদের উদ্বুদ্ধ করতে তাদের হাতে সম্মাননা সনদ, ক্রেস্ট ও মেডেল তুলে দেন অনুষ্ঠানের অতিথিগণ।
প্রসঙ্গত, স্বেচ্ছা রক্তদাতাদের উদ্বুদ্ধ করতেই নিয়মিত এমন সম্মাননা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে আসছে কোয়ান্টাম। আমাদের দেশে প্রতি বছর ৮ থেকে ১০ লাখ ইউনিট রক্ত চাহিদা রয়েছে। এ চাহিদার আট ভাগের এক ভাগ পূরণ করছে কোয়ান্টাম।
পিডিএস/এএমকে