reporterঅনলাইন ডেস্ক
  ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২২

বিশ্ব বাজারে আরো কমেছে জ্বালানি তেলের দাম

ছবি : সংগৃহীত

মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে অনেক দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক সুদের হার বাড়াতে পারে বলে ধারণা করছেন বিনিয়োগকারীরা। ইতোমধ্যে ডলার শক্তিশালী হয়েছে। এতে অন্যান্য সম্পদের দাম কমার ঝুঁকি বেড়েছে। ফলে আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের মূল্য হ্রাস পেয়েছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

বুধবার (২১ সেপ্টেম্বর) বৈঠকে বসবেন যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় ব্যাংক ফেডারেল রিজার্ভের (ফেড) নীতি-নির্ধারকরা। সেখানে ৭৫ বেসিস পয়েন্ট সুদহার বাড়ানোর ঘোষণা দিতে পারেন তারা।

চলতি সপ্তাহে ব্যাংক অব ইংল্যান্ডসহ অন্যান্য কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্তারাও বৈঠকে বসবেন। মুদ্রাস্ফীতিতে লাগাম টানতে একই পথে হাঁটতে পারেন তারা। সেই সম্ভাবনায় ইকুইটির বাজার চড়া হচ্ছে। একই সঙ্গে জ্বালানি তেলের দরপতন ঘটছে।

উচ্চ সুদের হার ডলারকে আরও সবল করেছে। মঙ্গলবার (২০ সেপ্টেম্বর) অন্যান্য প্রধান আন্তর্জাতিক মুদ্রার বিপরীতে প্রায় ২০ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ ছিল ডলারের দাম। এতে অন্যান্য মুদ্রা ধারণকারীদের কাছে তেল কেনা ব্যয়বহুল হয়ে ওঠে।

ওই দিন ফিউচার মার্কেটে আন্তর্জাতিক বেঞ্চমার্ক অপরিশোধিত ব্রেন্টের দাম কমেছে ১ দশমিক ৩৮ ডলার বা ১ দশমিক ৫ শতাংশ। প্রতি ব্যারেল বিক্রি হয়েছে ৯০ দশমিক ৬২ ডলারে।

যুক্তরাষ্ট্রের বেঞ্চমার্ক ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েট (ডব্লিউটিআই) ক্রডের অক্টোবরের সরবরাহ মূল্য হ্রাস পেয়েছে ১ দশমিক ২৮ ডলার। প্রতি ব্যারেল বিকিয়েছে ৮৪ দশমিক ৪৫ ডলারে।

চলতি প্রান্তিকে নিম্নমুখী ধারায় রয়েছে জ্বালানি তেলের দাম। কোভিড-১৯ মহামারি শুরুর পর যা সর্বনিম্ন পর্যায়ে অবস্থান করছে। এর আগে গত মার্চে ব্যারেলপ্রতি ব্রেন্টের দাম ওঠে ১৩৯ ডলারে। ২০০৮ সালের পর যা ছিল সর্বোচ্চ।

নিউ ইয়র্কে মিজুহোর এনার্জি ফিউচার্সের পরিচালক রবার্ট ইয়াউগের বলেন, জ্বালানি তেলের দাম ওঠা-নামার ক্ষেত্রে প্রধান চালিকা ডলার ও ফেড। মূল্যস্ফীতির জন্য যেকোনো চাহিদা বিনষ্ট করতে পারে তারা।

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
বিশ্ব,ডলার,জ্বালানি তেল,ইকুইটি,ডব্লিউটিআই
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close