প্রতিদিনের সংবাদ ডেস্ক

  ২৩ অক্টোবর, ২০১৯

বন্দুকযুদ্ধ : সীতাকুণ্ডে হত্যার আসামি নিহত

প্রতীকী ছবি

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‌্যাব) সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নজির আহমেদ সুমন ওরফে কালু (২৬) নামের এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। নজির শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ শাহ আলম হত্যার প্রধান আসামি বলে জানিয়েছে র‌্যাব।

মঙ্গলবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে উপজেলার বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়নের উত্তর বাঁশবাড়িয়া গ্রামের হাবিব রোড এলাকায় এ বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থল থেকে দুটি পিস্তল ও ২৭টি গুলি জব্দ করা হয়েছে। পুলিশ নজির আহমেদের লাশটি উদ্ধার করে সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করেছে।

চিকিৎসক হত্যার ঘটনায় এর আগে মঙ্গলবার সকালে গ্রেফতার লেগুনাচালক ফারুককে গ্রেফতার করা হয়। ওই দিন বিকেলে ফারুক চট্টগ্রামের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম শিপলু কুমার দের আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।

গত শুক্রবার সকালে সীতাকুণ্ডের কুমিরায় বাইপাস এলাকা থেকে চিকিৎসক শাহ আলমের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। পরদিন শনিবার রাতে নিহত চিকিৎসকের স্ত্রী বাদী হয়ে অজ্ঞাত পরিচয়ের ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে সীতাকুণ্ড থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।

সীতাকুণ্ড থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সাইফুদ্দিন শাওন বন্দুকযুদ্ধের তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, তারা ঘটনাস্থল থেকে লাশটি উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক নজির আহমেদকে মৃত ঘোষণা করেন। নজিরের বুকে তিনটি ও পেটের বাঁ পাশে একটি গুলি লেগেছে।

র‌্যাবের চান্দগাঁও ক্যাম্পের স্কোয়াড কমান্ডার সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) কাজী মোহাম্মদ তারেক আজিজ বলেন, তাদের কাছে গোয়েন্দা তথ্য ছিল, চিকিৎসক শাহ আলম হত্যার মূল আসামি নজির আহমেদ উত্তর বাঁশবাড়িয়া হাবিব রোড এলাকায় অবস্থান করছেন। গতকাল রাত ৩টার দিকে র‌্যাব সদস্যরা তাকে গ্রেফতারের জন্য ওই এলাকায় যায়। র‌্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে নজির আহমেদ দলবল নিয়ে র‌্যাবকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। র‌্যাবও পাল্টা গুলি ছোড়ে। গোলাগুলির একপর্যায়ে নজিরকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায়।

পিডিএসও/হেলাল

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আসামি নিহত,বন্দুকযুদ্ধ,সীতাকুণ্ড
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close