নিজস্ব প্রতিবেদক

  ০৮ এপ্রিল, ২০২১

বইমেলায় রুটসের ৩ বই

সম্প্রতি প্রকাশনা সংস্থা রুটস প্রকাশিত তিনটি বই এখন বইমেলায় পাওয়া যাচ্ছে। একই সঙ্গে রকমারি ডট কম (www.rokomari.com) এবং বইবাজার ডট কমেও (www.boibazar.com) পাওয়া যাচ্ছে। পঞ্চাশে স্বপ্নের বাংলাদেশ: যৌথ সম্পাদিত

‘পঞ্চাশে স্বপ্নের বাংলাদেশ’ বইয়ের বিভিন্ন অধ্যায়ের মাধ্যমে বাংলাদেশের পঞ্চাশ বছরের কতোগুলো ছবি আঁকা হয়েছে। এতে এ-সময়কালে বাংলাদেশের সামাজিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক ক্ষেত্রে শক্তিমত্তা ও দুর্বলতা, নগরজীবন, প্রযুক্তি ও শিল্প-সংস্কৃতির জগতে পরিবর্তন এবং ব্যক্তিগত উপলব্ধির মতো বিষয়গুলো এসেছে। লেখকরা এখানে তাঁদের নিজেদের ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার সাথে সামাজিক অভিজ্ঞতার সমন্বয় সাধন করেছেন। যাদের জন্ম গত শতাব্দীর সত্তর দশকের শুরুতে, পঞ্চাশে স্বপ্নের বাংলাদেশ তাদের বেড়ে ওঠার গল্প বলেছে। এই বইটি আগামীদিনের বাংলাদেশের জন্য একটি প্রামাণ্য দলিল হবে। একে বলা যেতে পারে, মুক্তিযুদ্ধ-পরবর্তী সময়ের বাঙালি মধ্যবিত্তের সামাজিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক অগ্রসরমানতার আখ্যান।

‘পঞ্চাশে স্বপ্নের বাংলাদেশ’ বইটিতে যারা লিখেছেন: অপু শহীদ,আকতার মাহমুদ, আমিমুল এহসান,আহমদ আবু ইনসাফ, ইকবাল কবীর, কাজল ঘোষ, জাকির আহমেদ জাকির, তানি জেসমিন, তাসলিমা সাদিক লিজা, তৌফিকুর রহমান খান, নাহিদ আহসান, বুলবুল সিদ্দিকী, এম সবুর সজল, মাহবুব পারভেজ, মৃদুল আহমেদ, মোহাম্মদ জাহিদুর রহমান, মোহাম্মদ নাহিদুল ইসলাম, মোহাম্মদ মাহমুদুজ্জামান, রঞ্জনা সায়ীদ, রেজাউল হোসেন, শশাঙ্ক সাদী, শাকিল আহম্মেদ, শাফী মাহমুদ, শাহনীলা রহমান, শিকোয়া নাজনীন, সঞ্জয় মজুমদার, সাইমুম পারভেজ, সাবেরা তাবাসসুম, সামিও শীশ, সামিনা হক শাম্মী, সুজাউল ইসলাম খান, সৈয়দ শওকত ইমাম এবং হাসনে আরা ডালিয়া। বইটির ভূমিকা লিখেছেন বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের সভাপতি অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ ।

২৬ মার্চ ২০২১ স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে রুটস প্রকাশিত পঞ্চাশে স্বপ্নের বাংলাদেশ বইটি সম্পাদনা করেছেন যৌথভাবে রঞ্জনা সায়ীদ, শাকিল আহম্মেদ এবং মোহাম্মদ মাহমুদুজ্জামান। বইটির প্রচ্ছদ করেছেন ‘মুক্তির গান’-খ্যাত চিত্রশিল্পী স্বপন চৌধুরী। বইটির দাম ৭৫০ টাকা।

বইমেলায় বইটি থাকছে শৈলী প্রকাশন-এ। স্টল ৬৩।

পথ চলাতেই আনন্দ : মোহাম্মদ মামদুদুর রশীদ

জীবন মানেই অন্তবিহীন পথচলা। নানা রূপ হয় সে পথের। কখনো তা মেঠোপথ কিংবা হাইওয়ে। কখনো তা সংগ্রামের কিংবা নানা বাঁকের। আবার কখনো তা হয় নিজেকে খুঁজে পাওয়ার কিংবা আত্মোপলব্ধির। এই পথ চলা নিরন্তর- বাস্তবে এবং কল্পনায়। ‘পথ চলাতেই আনন্দ’ বইটিতে লেখকের জীবনের কিছু অভিজ্ঞতা অত্যন্ত সাবলীলভাবে উপস্থাপিত হয়েছে। কখনো তিনি ঘুরে বেড়িয়েছেন মাসাই মারার বুনো প্রান্তরে, কখনো জার্মানির পরিপাটি জাদুঘরে, কখনো বা ভার অলিতে গলিতে। কখনো আবার সিডনির হোটেলে কোয়ারেন্টিনে বসে তিনি ছুটে চলেছেন মানসভ্রমণে। জীবনের পথে সঙ্গী হিসেবে পাওয়া , পরিবারের সদস্যসহ বন্ধুদের প্রতি তার অসীম ভালোবাসার কথা ফুটে উঠেছে কিছু লেখায়। সমাজ ও দেশ নিয়ে তার ভাবনা এবং দায়িত্ববোধের কথা তিনি ব্যক্ত করেছেন অত্যন্ত সহজ ভাবে কিন্তু এমন আঙ্গিকে, যার প্রভাব পাঠকের মনে দীর্ঘস্থায়ী হতে বাধ্য। তার এই পথযাত্রার ভিন্ন ভিন্ন গল্পগুলোকে একত্রে মালা গাঁথা হয়েছে এক বইয়ের মলাটে।

বইটির লেখক মোহাম্মদ মামদুদুর রশীদ পেশাগত সাফল্যের অধিকারী এবং বর্তমানে এন.সি.সি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ব্যক্তিগত জীবনে পরিবার কেন্দ্রিক একজন মানুষ। ভ্রমণ পছন্দ করেন বরাবর। তাই মাঝে মাঝেই বেরিয়ে পড়েন অজানার উদ্দেশে। তারই কিছু কিছু লিখে রাখেন। বই পড়েন অনেক। তবে এখন কাজের চাপে পড়ার সুযোগ পান কম। মানুষ এবং সমাজ নিয়ে ভাবেন। তাঁর ভাবনার কিছু কিছু প্রকাশ পেয়েছে তাঁর লেখায়।

পথ চলাতেই আনন্দ বইটির দাম ৪৫০ টাকা। লেখকের ছবি ব্যবহার করে এর প্রচ্ছদ করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রাফিক আর্টস বিভাগের শিক্ষক শিল্পী মাকসুদুর রহমান।

বইমেলায় বইটি থাকছে এপিপিএল এবং শৈলী প্রকাশন-এ।

বাঁকা চোখে: নাহিদ আহসান

‘রমণীয়’ এই শব্দটি অনেকের কাছে বিভ্রান্তিকর মনে হবে। এই ক্ষেত্রে লেখক দুর্দান্ত রম্য ও রমণীয় সাহিত্য রচয়িতা আবদুশ শাকুরকে অনুসরণ করেছেন। তিনি রম্য শব্দটির সীমাবদ্ধতার কারণে কিছু রচনার ক্ষেত্রে রমণীয় শব্দটি ব্যবহার করেছেন। তাঁর মতে, রম্য শব্দটি অনেক ক্ষেত্রে হালকা, হাস্যরসাত্মক,ভাঁড়ামিপূর্ণ লেখাকেও ইঙ্গিত করে : ‘অলীক কুনাট্য রঙ্গে, মজে লোক রাঢ়ে ও বঙ্গে’। তাই পার্থক্য চিহ্নিত করার জন্য সুকুমার সাহিত্যকে তিনি রমণীয় রচনা বলেছেন, যা লালিত্য কিংবা মাধুর্যম-িত বটে তবে গল্প, উপন্যাস নয়, অর্থাৎ ননফিকশন। তবে গল্প-উপন্যাসের ভাষা রমণীয় হতে পারে।

এছাড়াও বহুমাত্রিক লেখক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদের মতে, রম্য সাহিত্য শুধুই হাস্যরসাত্মক কিন্তু রমণীয় রচনা ‘জীবনের প্রচুর ভাঁড়ার’কে স্পর্শ করে যায়।

মোটের ওপর বলা যায়, আমরা ছেলেবেলা থেকে যে রচনা শিখি ও লিখি সেটাই প্রাথমিক কাঠামো। তবে তাতে জীবনপাত্র উচ্ছলিয়া মাধুরী দান করতে হবে, তবেই তা রমণীয় হয়ে উঠবে। লেখকের পরিচয় এখানে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। কবি, সাহিত্য-সমালোচক। পেশাগত জীবনে দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষকতা করেছেন। ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ইউনিভার্সিটি মালয়েশিয়া সাবাহ, ব্যুরো অব ম্যানপাওয়ার, ব্র্যাক এডুকশন প্রোগ্রামে। ইংলিশ ল্যাঙ্গুয়েজ টিচিংয়ে পড়াশোনা করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। বর্তমানে অ্যাপ্লায়েড লিঙ্গুইস্টিকে গবেষণা করছেন। তাঁর প্রকাশিত কবিতার বই ‘সুঁচ রাজপুত্রের দুঃখ’, ‘ভুল হলে হবে’, ‘প্রিয় মেঘ’, সৌন্দর্যের নকশা’’(প্রবন্ধ)।

বইটির দাম ২২০ টাকা এবং প্রচ্ছদ করেছেন মাকসুদুর রহমান। বইমেলায় বইটি থাকছে শৈলী প্রকাশন-এ। স্টল ৬৩।

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
বইমেলা,রুটস,বই
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close