বইমেলার পর্দা নামছে
সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ও বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে প্রাণের অমর একুশে বইমেলা ২০২৪ এর পর্দা নামছে আজ। বিদায়ের সুর বাজছে মাসব্যাপী বইমেলায়। অন্যান্য দিনের চেয়ে শেষবেলায় দর্শনার্থী কম থাকলেও পাঠকদের সমাগম রয়েছে। আজই ছুটি পাবেন স্টল কর্মীরা। কেউ কেউ বই গোছানো শুরু করছেন।
শনিবার (২ মার্চ) সরেজমিনে দেখা গেছে, অন্য দিনের মতো ভিড় জমেনি মেলায়। স্টলে স্টলে পাঠকদের ভিড় দেখা গেলেও দর্শনার্থীদের সংখ্যা কম দেখা গেছে। শেষবেলা বইপ্রেমীরা খুঁজে বই কিনছেন। তবে আজ অধিকাংশ পাঠককে হাতে বই নিয়ে ঘুরতে দেখা গেছে। খালি হাতে মেলা প্রাঙ্গণ থেকে বের হচ্ছে না পাঠকরা।
এদিকে আজ মেলার শেষ দিন হওয়ায় বই গোছাচ্ছেন কর্মীরা। প্রদর্শনী থেকে বইগুলো প্যাকেজিং করে বিদায়ের জন্য প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। বিক্রয়কর্মীরা জানান, আজ মেলায় দর্শনার্থী কম হলেও বেচাকেনা ভালো। যারা স্টলে আসছেন তাদের ৯০ শতাংশই বই কিনছেন। ঘুরতে আসা মানুষের সংখ্যা কম।
ঝুমঝুমি প্রকাশনীর প্রকাশক শায়লা রহমান তিথি বলেন, মেলার সময় বাড়ানোর কারণে কাল থেকে ভালো বিক্রি হয়েছে। বই কেনেননি এমন পাঠক দেখিনি। প্রবন্ধ, ইতিহাস, মুক্তিযুদ্ধ, স্বাস্থ্যবিষয়ক ও বাচ্চাদের নৈতিকতার বই বেশি বেচাকেনা হয়েছে।
তৃপ্তি প্রকাশের প্রকাশক সাব্বির আহমেদ বলেন, মেলার সময় বাড়ানোয় বড় প্রকাশনীগুলো লাভবান হয়েছে। আমাদের বেচাকেনা নেই। শুক্রবার কিছু ক্রেতা এলেও আজ তো একদম নেই, সন্ধ্যার পর হয়তো বাড়বে।
মেলায় আসা দর্শনার্থী সেলিম রহমান বলেন, ‘মাসজুড়ে ভালো বইয়ের সংখ্যা খুবই কম পেয়েছি। এখনো আগের ফিকশনগুলোই চলছে। ফেসবুকে যা দেখি, কিন্তু এখন সব লেখক সিজনাল। মেলা উপলক্ষে বই লিখে ভাইরাল হওয়ার জন্য। পরিশ্রম করে ভালো কোনো নন-ফিকশন বই লিখছেন না তারা।
জানা যায়, রীতি অনুযায়ী ২৯ ফেব্রুয়ারি মেলা শেষ হওয়ার কথা ছিল। তবে প্রকাশকদের আবেদনে প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার নির্দেশে মেলার সময় দুদিন বাড়ানো হয়।