মোঃ রাজু খান, ঝালকাঠি
যে শ্রমিকদের ছুটি মে দিবসের পরের দিন
মঙ্গলবার মে দিবস। বিশ্বের কোটি কোটি শ্রমজীবী মানুষের অধিকার ও দাবি আদায়ের মহান ‘মে দিবস’ পালিত হবে এদিন। এ দিবসটিতে সকল পর্যায়ের শ্রমজীবীরা ছুটি ভোগ করেন। এদিন দলমত নির্বিশেষে রাজপথে নেমে শ্রমিকরা মহা উৎসাহ ও উদ্দীপনায় পালন করে দিনটি। কিন্তু বৈষম্যের শিকার এক ধরনের শ্রজীবীরা। তারা খড়া, রোদ, বৃষ্টি, বন্যা, ঝড়, কনকনে শীত, ঘণকুয়াশা উপেক্ষা করে জনসাধারনের মাঝে দেশ-বিদেশের সর্বশেষ সংবাদ পৌঁছে দিতে দুয়ারে দুয়ারে যান। তারা ছুটি ভোগ করেন মে দিবেসর পরের দিন অর্থাৎ ২ মে। তারা হলেন সংবাদপত্রের হকার।
এ বিষয়ে কথা হয় ঝালকাঠি জেলা সংবাদপত্র হকার ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মোঃ আলমগীর হোসেন’র সাথে। তিনি জানান, ঝালকাঠি জেলায় সংবাদপত্র হকার রয়েছে ৫১ জন। এর মধ্যে সদর উপজেলায় ২১ জন। নলছিটি উপজেলায় ১২ জন, রাজাপুর উপজেলায় ৮ জন এবং কাঠালিয়া উপজেলায় ১০ জন।
তিনি জানান, চৈত্র-বৈশাখের কাঠ ফাটা রোদে প্রাণিকূল যখন অস্থির হয়ে ওঠে, জ্যৈষ্ঠের ভ্যাপসা গরম, আষাঢ়-শ্রাবণ ও ভাদ্র মাসের টানা বৃষ্টি এবং বৈশাখ-জ্যৈষ্ঠ-আষাঢ়-শ্রাবণ মাসে ঝড়-বন্যা, আকাশে গুড়ম গুড়ম বজ্রপাত, আশ্বিন-কার্তিক মাসের শুষ্ক আবহাওয়া, অগ্রহায়ন, পৌষ, মাঘ ও ফাল্গুন মাসের ঘণ কুয়াশা-কনকনে শীত উপেক্ষা করে মৃত্যুর ভয় না করে জনসাধারনের দুয়ারে গিয়ে সংবাদপত্রের মাধ্যমে দেশ-বিদেশের ঘটে যাওয়া এবং সম্ভাবনাময় সংবাদ পৌছাই। শারিরীক অসুস্থ্যতা ও প্রাকৃতিক দুর্যোগকালেও কোনো ছুটি বা বিশ্রাম পাই না। তাই অন্তত ১ মে সংবাদপত্র বন্ধ রাখার দাবি জানান তিনি।
ঝালকাঠি জেলা সংবাদপত্র হকার ইউনিয়নের সভাপতি মোঃ সালাহ উদ্দিন জানান, সকল শ্রমিকরা ছুটি পাচ্ছেন ১ মে। কিন্তু আমরা পাচ্ছি ২ মে। এটা আমাদের সাথে বৈষম্যমূলক আচরণ। তাই অন্যান্য অফিস, আদালত, কল-কারখানা, স্বেচ্ছায় শ্রমজীবীদের মতো আমরাও ১ মে ছুটি চাই।
এজন্য সরকারের নীতিনির্ধারণী মহলেরও দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তিনি।
পিডিএসও/রিহাব