reporterঅনলাইন ডেস্ক
  ২৩ মে, ২০১৭

গরুর মাংস ৪৭৫ টাকা কেজি

আসন্ন পবিত্র মাহে রমজানে রাজধানী ঢাকায় দেশি গরুর মাংস ৪৭৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি করা হবে। আজ মঙ্গলবার ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলোচনা করে রোজার মাসে মাংস বিক্রির জন্য দাম নির্ধারণ করে দিয়েছে ঢাকা সিটি করপোরেশন। এ ছাড়া ভারতীয় গরুর মাংস প্রতি কেজি ৪৪০ টাকা, মহিষের মাংস ৪৪০ টাকা, খাসির মাংস ৭২৫ টাকা এবং ভেড়া ও ছাগলের মাংস ৬২০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। মাংস ব্যবসায়ীদের সঙ্গে মেয়রের এক মতবিনিময় সভায় বলা হয়েছে কেউ অতিরিক্ত দাম রাখলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এই নির্দেশ মান হচ্ছে কিনা সেটি দেখার জন্য একটি মনিটর টিম সব সময় কাজ করবে। কোনো ব্যত্যয় ঘটলে তারা ব্যবস্থা নেবে বলেও জানানো হয়েছে।

এদিকে গতবছর রোজায় গরুর মাংস ৪২০, মহিষ ৪০০, খাসি ৫৭০, ভেড়া ও ছাগলের মাংস ৪৭০ টাকা নির্ধারণ করে দিয়েছিল ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন। রোজার মাসে জনগণের সুবিধার কথা বিবেচনায় নিয়ে এবারের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে জানিয়ে মেয়র সাঈদ খোকন বলেন, ২৬ রোজা পর্যন্ত ঢাকা মহানগর এলাকায় এই দামে মাংস বিক্রি করতে হবে। সভায় সবার সঙ্গে আলাপ আলোচনা করে এই দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। সবাইকে দাম মেনে চলার নির্দেশ দিচ্ছি।

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র সাঈদ খোকনের সভাপতিত্বে এই সভায় প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা খান মোহাম্মদ বিলাল, প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা কামরুল ইসলাম চৌধুরী, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. শেখ সালাহউদ্দিন, মহানগর এলাকার মাংস ব্যবসায়ী সমিতির প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। মতবিনিময় সভায় রবিউল অভিযোগ করেন, গাবতলী গরুর হাটের ইজারাদারদের অত্যাচারের কারণে ব্যবসা করতে পারছেন না তারা। সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তাদের অভিযোগ জানানোর পরও তারা কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছেন না। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম আসার পর থেকে সেখানে অরাজক পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে বলে অভিযোগ তার। চাঁদাবাজি বন্ধ হলে ঢাকার মানুষকে ৩০০ টাকা কেজি দলে মাংস খাওয়ানো যাবে বলে দাবি করেন তিনি।

ব্যবসায়ীরা ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকার কামরাঙ্গীরচর, মাতুয়াইল, হাজারীবাগ এলাকায় একটি করে গরুর হাট করার পরামর্শ দেন। এছাড়া কাপ্তানবাজার, হাজারীবাগ জবাইখানার আধুনিকায়নের দাবি জানান। দক্ষিণের মেয়র খোকন বলেন, তার এলাকায় একটি স্থায়ী গরুর হাট করার পরিকল্পনা তার আছে। গাবতলীতে মাংস ব্যবসায়ী সমিতির অফিসের তালা খুলে দেওয়ার ব্যবস্থা নিতেও মেয়রের প্রতি অনুরোধ জানান ব্যবসায়ীরা।

জানা যায়, শুধু কাঁচাবাজারের মাংসের দোকান নয়, ডিপার্টমেন্টাল স্টোরসহ মাংস বিক্রি করে এমন সব দোকানের জন্যই এ দাম প্রযোজ্য হবে বলে জানান মেয়র। মাংসের এই দাম রোজার পরও ঠিক রাখার আশ্বাস দিয়ে বাংলাদেশ মাংস ব্যবসায়ী সমিতির মহাসচিব রবিউল আলম মতবিনিময় সভায় বলেন, রোজার পর বড়জোর ৫-১০ টাকা এদিক-সেদিক হতে পারে। তিনি বলেন, রোজায় মানুষের দুর্ভোগের কথা চিন্তা করে ধর্মঘট কর্মসূচি থেকে সরে এসেছেন তারা। ঢাকা মেট্রোপলিটন মাংস ব্যবসায়ী সমিতির এই উপদেষ্টা বলেন, আমরা এখান থেকে ঘোষণা দিচ্ছি, পবিত্র রমজানের পবিত্রতা রক্ষায় আমরা যে ধর্মঘট কর্মসূচি দেওয়ার কথা বলেছিলাম, তা প্রত্যাহার করে নিলাম।

পিডিএসও/মুস্তাফিজ

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
গরুর মাংস,৪৭৫ টাকা কেজি,ঢাকা সিটি করপোরেশন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close
Error!: SQLSTATE[42S02]: Base table or view not found: 1146 Table 'protidin_sangbad.news_hits_counter_2020_04_07' doesn't exist
Error!: SQLSTATE[42S02]: Base table or view not found: 1146 Table 'protidin_sangbad.news_hits_counter_2020_04_07' doesn't exist