নিজস্ব প্রতিবেদক

  ১৪ জুলাই, ২০২০

অগ্রণী ব্যাংকের বাড়তি প্রণোদনায় বাড়ছে রেমিট্যান্সপ্রবাহ

বৈধপথে রেমিট্যান্সপ্রবাহ বাড়াতে নগদ প্রণোদনা ও নতুন মোবাইল অ্যাপসহ নানা ধরনের উদ্যোগ নিয়েছে অগ্রণী ব্যাংক। ফলে করোনা মহামারির মধ্যেও ব্যাংকটিতে বেড়েছে রেমিট্যান্সপ্রবাহ। সদ্য সমাপ্ত অর্থবছরে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি রেমিট্যান্স এসেছে অগ্রণী ব্যাংকের মাধ্যমে। ২০১৯-২০ অর্থবছরে ব্যাংকটির মাধ্যমে রেমিট্যান্স এসেছে প্রায় ১৭৬ কোটি ২৮ লাখ ডলার। রাষ্ট্রায়ত্ত ছয় ব্যাংকে যে পরিমাণ রেমিট্যান্স এসেছে তার ৪০ শতাংশই এসেছে অগ্রণী ব্যাংকের মাধ্যমে। গত অর্থবছরে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোতে রেমিট্যান্স এসেছে ৪৩৫ কোটি ৪৬ লাখ ডলার। রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর মধ্যে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স আহরণ করা প্রতিষ্ঠানটির পুরো ব্যাংক খাতে তাদের অবস্থান দ্বিতীয়তে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সবশেষ তথ্য অনুযায়ী, চলতি জুলাই মাসের প্রথম ৯ দিনে ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিট্যান্স আসে ৭৪ কোটি ৬৫ লাখ ডলার। এরমধ্যে অগ্রণী ব্যাংকের রেমিট্যান্স আসে ৬ কোটি ৪৮ লাখ ডলার। এ সময়ে রাষ্ট্রায়ত্ত ছয় ব্যাংকে রেমিট্যান্স এসেছে ১৮ কোটি ডলার।

এ বিষয়ে ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মোহাম্মদ শামস-উল ইসলাম বলেন, বর্তমান সরকার গত ২০১৯-২০ অর্থবছরে রেমিট্যান্সের ওপর ২ শতাংশ প্রণোদনা ঘোষণা করেছে। চলতি অর্থবছরেও এটি কার্যকর রেখেছে। সরকারের প্রণোদনার পাশাপাশি অগ্রণী ব্যাংক রেমিট্যান্সের ওপর ১ শতাংশ বেশি প্রণোদনা দিচ্ছে। অর্থাৎ কোনো প্রবাসী অগ্রণী ব্যাংকের মাধ্যমে রেমিট্যান্স পাঠালে সরকারের ঘোষিত ২ শতাংশের প্রণোদনার সঙ্গে আরো ১ শতাংশ প্রণোদনা বেশি পাবেন। রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়ানোর জন্য এ প্রণোদনা দেওয়া হচ্ছে। গত রমজান মাস থেকে এই প্রণোদনা চালু হয়েছে, চলবে আগামী ঈদুল আজহা পর্যন্ত। এ সময়ের মধ্যে (ঈদের আগ পর্যন্ত) প্রবাসী বাংলাদেশিরা অগ্রণী ব্যাংকে রেমিট্যান্স পাঠালে এই সুবিধা ভোগ করবেন বলে জানান তিনি।

অগ্রণী ব্যাংকের এমডি বলেন, আমরা এই ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে এমন উদ্যোগ নিয়েছি। এ ছাড়া বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী স্মরণীয় করে রাখতে অগ্রণী ব্যাংকের সিঙ্গাপুরের একচেঞ্জ অফিস একটি অ্যাপ তৈরি করেছে। সিঙ্গাপুরের প্রবাসীরা ব্যাংকে না এসেই অ্যাপের মাধ্যমে দেশে রেমিট্যান্স পাঠাতে পারছেন। এতে মহামারির সময়ে আমাদের ব্যাংকের রেমিট্যান্স আহরণ অব্যাহত রয়েছে। সামনে কোরবানির ঈদ। তাই রেমিট্যান্স প্রবাহ আরো বাড়বে বলে প্রত্যাশা করেন তিনি।

এদিকে করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যেও দেশে রেকর্ড পরিমাণ রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, সদ্য সমাপ্ত অর্থবছরে (২০১৯-২০) প্রবাসীরা মোট ১ হাজার ৮২০ কোটি ৪৯ লাখ ডলার সমপরিমাণ অর্থ দেশে পাঠান। দেশীয় মুদ্রায় যার পরিমাণ ( প্রতি ডলার ৮৫ টাকা ধরে) ১ লাখ ৫৪ হাজার ৭৪২ কোটি টাকা। এর আগে কোনো অর্থবছরে এত অর্থ দেশে আসেনি। অর্থাৎ এটি দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স আহরণের বছর। এর আগে ২০১৮-১৯ অর্থবছরে দেশে রেমিট্যান্স আসে ১ হাজার ৬৪২ কোটি ডলার। সেই হিসাবে আগের অর্থবছরের তুলনায় সদ্য সমাপ্ত অর্থবছরে রেমিট্যান্স বেড়েছে ১৭৮ কোটি ৫৩ লাখ ডলার বা ১৫ হাজার কোটি টাকা।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close