নিজস্ব প্রতিবেদক

  ১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯

যাত্রা শুরু হচ্ছে আরো তিন ব্যাংকের

প্রয়োজন আছে বলেই অনুমোদন : অর্থমন্ত্রী

অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, নতুন ব্যাংকের প্রয়োজন আছে বলেই আরো তিনটি ব্যাংকের অনুমোদন দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। তবে আমি গভর্নরের সঙ্গে কথা না বলে এ বিষয়ে বিস্তারিত বলতে পারব না। গতকাল সচিবালয় ক্রয়-সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে ঢোকার আগে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন অর্থমন্ত্রী।

এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, দেশের ব্যাংকের সংখ্যা নিয়ে আমি চিন্তিত নই। ব্যাংকগুলো সাধারণ জনগণকে ঠিকমতো নিয়মের মধ্যে সেবা দিতে পারছে কি না, সেইটাই বিবেচ্য বিষয়।

মুস্তফা কামাল বলেন, দেশের নতুন ব্যাংকের অনুমোদিত মূলধন ৪০০ থেকে ৫০০ কোটি টাকা বাড়ানো হয়েছে। অনুমোদিত মূলধন বেশি হলে সেফটি নেটটা বড় হবে। বিদেশে একটা ব্যাংকের শাখার মোট যা টাকা আছে আমাদের দেশের ২০টা ব্যাংকের একসঙ্গে তা নেই।

তিনি আরো বলেন, খেলাপি ঋণের পরিমাণ কমাতে হবে। আমাদের বড় সমস্যা হচ্ছে খেলাপি ঋণ। খেলাপি ঋণ কমাতে না পারলে সুদের হার ও আমানত এবং সুদের হারের পার্থক্য বেড়ে যায়।

এদিকে, গত রোববার বাংলাদেশ ব্যাংকের বোর্ডসভায় আরো তিনটি ব্যাংককে চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়। সভা থেকে ব্যাংকগুলোকে লেটার অব ইনটেন্ট (এলওআই) বা ব্যাংক স্থাপনের আগ্রহপত্র দেওয়া হয়েছে। ৫০০ কোটি টাকা পরিশোধিত মূলধন সংগ্রহ করার শর্তে ব্যাংক তিনটির অনুমোদন দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবিরের সভাপতিত্বে ওই বোর্ডসভা অনুষ্ঠিত হয়। অনুমোদন পাওয়া ব্যাংকগুলো হলো বেঙ্গল কমার্শিয়াল ব্যাংক, পিপলস ব্যাংক ও সিটিজেন ব্যাংক।

বাংলাদেশ ব্যাংকের একজন নির্বাহী পরিচালক গণমাধ্যমকে জানান, বেঙ্গল ব্যাংকের ব্যাপারে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বোর্ড আগেই প্রাথমিক অনুমোদন দিয়েছিল। রোববারের বোর্ডসভায় ব্যাংকটির চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে পিপলস ব্যাংক ও সিটিজেন ব্যাংকের ক্ষেত্রে আগের বোর্ডসভার দেওয়া কিছু শর্ত পালন করায় তাদেরও অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

নতুন তিন ব্যাংক নিয়ে দেশে বাণিজ্যিক ব্যাংকের সংখ্যা দাঁড়াল ৬১টি। এর আগে লাইসেন্স পাওয়া ৫৮টি বাণিজ্যিক ব্যাংকের মধ্যে ৫৭টি কার্যক্রম চালাচ্ছে। সর্বশেষ গত অক্টোবরে চূড়ান্ত অনুমোদন পায় পুলিশ সদস্যদের মালিকানায় ‘কমিউনিটি ব্যাংক অব বাংলাদেশ’। এটি এখনো কার্যক্রম শুরু করেনি।

জানা যায়, প্রায় এক বছর ধরে অনুমোদনের অপেক্ষায় ছিল বেঙ্গল কমার্শিয়াল ব্যাংক, পিপলস ব্যাংক ও সিটিজেন ব্যাংক। এর আগে ৮ জানুয়ারি বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের সভা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও কোরাম সংকটের কারণে শেষ মুহূর্তে তা স্থগিত করা হয়। ওই সভা থেকেই নতুন তিন ব্যাংককে এলওআই দেওয়ার কথা ছিল। এর আগে গত ১১ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ ব্যাংকের পর্ষদ সভায় বেঙ্গল কমার্শিয়াল ব্যাংককে এলওআই দেওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়। তবে পরবর্তী পর্ষদ সভা থেকে এলওআই ইস্যু করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছিল। এ ছাড়া পর্ষদের ওই সভা থেকে পিপলস ব্যাংক এবং সিটিজেন ব্যাংককে অনুমোদন দেওয়ার বিষয়েও ইতিবাচক মনোভাব প্রকাশ করেছিল বাংলাদেশ ব্যাংক পর্ষদ। ব্যাংক দুটির উদ্যোক্তাদের কিছু কাগজপত্র ঘাটতি থাকায় তা সরবরাহ করতে বলা হয়।

গত অক্টোবরে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সর্বশেষ বোর্ডসভায় চূড়ান্ত অনুমোদন পায় পুলিশ সদস্যদের মালিকানায় ‘কমিউনিটি ব্যাংক অব বাংলাদেশ’। ওই সভায় এজেন্ডাভুক্ত তিন ব্যাংকের কিছু কাগজপত্রে ত্রুটি থাকায় অনুমোদনের জন্য শর্তজুড়ে দেওয়া হয়। শর্তগুলো পূরণ হওয়ায় বেঙ্গল কমার্শিয়াল ব্যাংককে অনুমোদন দেওয়া হয়। বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্র বলছে, কিছুদিনের মধ্যে নতুন এই ব্যাংকগুলো কার্যক্রম শুরু করতে পারবে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close