নিজস্ব প্রতিবেদক

  ১৮ মার্চ, ২০১৮

বীমা খাতের উন্নয়নে আইনি সংস্কারের উদ্যোগ

বীমা খাতের উন্নয়নে প্রশাসনিক ও আইনি সংস্কারের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এরই ধারাবাহিকতায় ‘বাংলাদেশের বীমা খাত উন্নয়ন’ নামে একটি প্রকল্প গ্রহণ করেছে সরকার। প্রকল্পটি বাস্তায়ন করতে মোট ব্যয় হবে ৬৩২ কোটি টাকা। অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

সূত্র জানায়, এই প্রকল্পের আওতায় বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ এবং রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ইনস্যুরেন্স করপোরেশনের প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা শক্তিশালী করা, বাংলাদেশে ইনস্যুরেন্স কাভারেজ বাড়ানো, বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ এবং বীমা একাডেমির সক্ষমতা এবং কার্যকারিতা উন্নয়ন এবং রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বীমা করপোরেশনগুলো আধুনিকায়নসহ এগুলোর কর্মদক্ষতা বাড়ানোর জন্য কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে। এ ছাড়া প্রকল্পের আওতায় বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের সার্বিক অটোমেশনের জন্য প্রয়োজনীয় আইসিটি সুবিধা, বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম ও আনুষঙ্গিক সুবিধাদি সংগ্রহ, বীমা একাডেমির প্রশিক্ষণ সুবিধা বাড়ানো ও আধুনিকায়ন, বীমা সেবা সম্পর্কে সচেতনতা বাড়ানো, বীমা খাতে ঝুঁকিভিত্তিক তত্ত্বাবধান পদ্ধতি প্রবর্তন, বীমা তথ্য বিশ্লেষণ ইত্যাদি কার্যক্রমের জন্য পরামর্শক সেবা সংগ্রহ এবং সম্পদ (আইসিটি সরঞ্জামাদি, অফিস সরঞ্জামাদি, আসবাবপত্র) সংগ্রহ করা হবে। এদিকে ‘বাংলাদেশের বীমা শিল্পের বর্তমান : বিরাজমান সমস্যা ও সম্ভাব্য সমাধান’ শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনা সভায় সম্প্রতি বক্তারা বলেছেন, কয়েকটি সমস্যা বীমা খাতের বিশাল সম্ভাবনাকে বাধাগ্রস্ত করছে। এর মধ্যে অন্যতম বীমা খাতে গ্রাহকদের অনাস্থা ও কমিশন বাণিজ্য। ফলে তৈরি হচ্ছে ইমেজ সঙ্কট। সরকারও মনে করছে বীমা খাতের নিয়ন্ত্রক হিসেবে বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণে কর্তৃপক্ষের তদারকি ব্যাপকভাবে বাড়ানো প্রয়োজন। এসব সঠিকভাবে পালনসহ বীমা খাত উন্নয়নে সক্ষমতা অর্জন ও সামর্থ্য বাড়ানোর জন্য উপযোগী বিধিমালা প্রণয়ন জরুরি। তা ছাড়া বীমা খাতের কর্মকান্ডে জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা এবং প্রশিক্ষিত জনবল উন্নয়ন ও পেশাদারিত্ব বাড়িয়ে এই খাতের প্রতি সাধারণ মানুষের আস্থা সৃষ্টি করা সময়ের দাবি। এজন্য রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন সাধারণ বীমা করপোরেশন ও জীবন বীমা করপোরেশনের প্রাতিষ্ঠানিক দক্ষতা এবং কার্যকারিতা বাড়ানো জরুরি বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। সূত্র জানায়, প্রকল্প বাস্তবায়নে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৬৩২ কোটি টাকা। তার মধ্যে সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে জোগান দেওয়া হবে ১১৮ কোটি ৫০ লাখ টাকা। বাকি ৫১৩ কোটি টাকা বিশ্বব্যাংকের কাছ থেকে সহায়তা বাবদ পাওয়া যাবে। আর প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের আওতাধীন বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ। প্রকল্পটি সম্প্রতি জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি একনেকের অনুমোদন পেয়েছে। চলতি বছরের জানুয়ারিতে প্রকল্পের কাজ শুরু হয়েছে। এটি ২০২২ সালের ৩১ ডিসেম্বরে শেষ হওয়ার কথা রয়েছে। জানা যায়, প্রকল্পটি প্রথমে কারিগরি সহায়তা প্রকল্প হিসেবে ‘বাংলাদেশ ইনস্যুরেন্স অ্যান্ড প্রাইভেট পেনশন মার্কেট ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট’ শিরোনামে প্রণয়ন করা হয়। ২০১৬ সালে প্রকল্পটির ওপর পরিকল্পনা কমিশনে বিশেষ প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটির (এসপিইসি) সভায় টিপিপির পরিবর্তে ডিপিপি প্রণয়ন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। প্রকল্পটি যখন টিপিপি আকারে পরিকল্পনা কমিশনে পাঠানো হয়, তখন প্রকল্পটির মোট চারটি কম্পোনেন্ট ছিল।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close
Error!: SQLSTATE[42S02]: Base table or view not found: 1146 Table 'protidin_sangbad.news_hits_counter_2020_04_07' doesn't exist
Error!: SQLSTATE[42S02]: Base table or view not found: 1146 Table 'protidin_sangbad.news_hits_counter_2020_04_07' doesn't exist