প্রতিদিনের সংবাদ ডেস্ক
দুই প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ
জামালপুরের ইসলামপুরে এসএমএআর মেমোরিয়াল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে সভাপতির স্বাক্ষর জালিয়াতি করে বরাদ্দের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ পাওয়া গেছে। একইভাবে নরসিংদীর পলাশে উত্তর দেওড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ করেছেন ম্যানেজিং কমিটির সভাপতিসহ একাংশ। এসব ঘটনায় সংশ্লিষ্ট দফতরে লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর-
জামালপুর : জামালপুরের ইসলামপুর পৌরসভার এসএমএআর মেমোরিয়াল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সংস্কারের জন্য সম্প্রতি ২ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয় উপজেলা শিক্ষা অধিদফতর। বরাদ্দকৃত অর্থ বিদ্যালয়ের কাজে ব্যয় না করে ভুয়া বিল ভাউচারে সিংহভাগ আত্মসাৎ করেন প্রধান শিক্ষক শিরিনা পারভীন। এজন্য বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও একজন সদস্যের স্বাক্ষর জালিয়াতিও করা হয়েছে। এ কাজে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার যোগসাজশে আছে বলে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি অভিযোগ করেছেন।
বিদ্যালয়ের সভাপতি মোরশেদুজ্জামান জানান, বিদ্যালয়ে মেরামত কাজের ব্যাপারে তিনি কিছুই জানেন না। এ বিষয়ে বিদ্যালয় কমিটির কোনো সভা বা রেজুলেশন হয়নি। সভাপতি ও সদস্য মাহফুজার স্বাক্ষর জালিয়াতি করে প্রধান শিক্ষিকা ভুয়া রেজুলেশন করেছেন।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করেন প্রধান শিক্ষক শিরিনা পারভীন জানান, তার বিরুদ্ধে উঠা অভিযোগ সঠিক না। কারো স্বাক্ষর জালিয়াতির ঘটনাও সঠিক না। ইসলামপুর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মদ কামরুজ্জামান জানান, মেরামত কাজের বিষয়ে উপজেলা শিক্ষা কমিটি পরিদর্শন ও সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলী কাজের প্রাক্কলন তৈরি করেছে। কোনো অনিয়ম হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
পলাশ (নরসিংদী) : নরসিংদীর পলাশ উপজেলার চরসিন্দুর ইউনিয়নের উত্তর দেওড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আওলাদ হোসেনের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগে উপজেলা শিক্ষা কমিটির সভাপতি এবং উপজেলা চেয়ারম্যানের কাছে একটি লিখিত দিয়েছেন বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতিসহ একাংশ। গত ৯ সেপ্টেম্বর তারা এ অভিযোগ দাখিল করেন। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে উপজেলা চেয়ারম্যান সৈয়দ জাবেদ হোসেন উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাকে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন।
লিখিত অভিযোগে জানা যায়, প্রধান শিক্ষক আওলাদ হোসেন প্রতিদিন বিদ্যালয়ে এসে স্বাক্ষর করে চলে যান। কোনো ক্লাস নেন না। সরকারি বিধানে বিভিন্ন পরীক্ষার ফি শ্রেণিভিত্তিক নির্ধারিত থাকলেও তিনি অতিরিক্ত ফি আদায় করেন। স্কুলের বিভিন্ন খাতের বরাদ্দের টাকা বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির কাউকে জানিয়ে তা নিজের ইচ্ছামতো খরচ করেন, কোনো ভাউচার দেখান না। এছাড়া সভাপতির স্বাক্ষর নকল করে অফিসিয়াল বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করে বরাদ্দের টাকা উত্তোলন করেন।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে প্রধান শিক্ষক আওলাদ হোসেন বলেন, একটি মহল আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। লিখিত অভিযোগ পাওয়ার কথা স্বীকার করে পলাশ উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মাহফুজা খান ইফসুফজি বলেন, তদন্তসাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
"