আন্তর্জাতিক ডেস্ক
পদ ছাড়ছেন মার্কিন কূটনীতিক
শরণার্থী বিষয়ের দায়িত্বে থাকা মার্কিন শীর্ষ কূটনীতিক সায়মন হেনশো পদ ছাড়ার ঘোষণা দিয়েছেন।
এ নিয়ে গত কয়েক সপ্তাহের মধ্যে শরণার্থীদের নিয়ে কাজ করা তৃতীয় কোনো মার্কিন কর্মকর্তা পদত্যাগ কিংবা অন্য দায়িত্বে স্থানান্তর হচ্ছেন। যুক্তরাষ্ট্রের জনসংখ্যা, শরণার্থী ও অভিবাসন-বিষয়ক ব্যুরোর ভারপ্রাপ্ত সহকারী পরিচালক হেনশো এ সপ্তাহের শেষ নাগাদ দায়িত্ব ছাড়ার ঘোষণা দিয়ে তার সহকর্মীদের কাছে মেইল পাঠিয়েছেন বলে রয়টার্স জানিয়েছে। গত শনিবার এক সাক্ষাৎকারে হেনশো জানান, তার পদ ছাড়ার সিদ্ধান্ত ব্যুরোর নিয়মিত কর্মকা-ের অংশ; এর সঙ্গে শরণার্থীদের সহযোগিতা কমানো-বিষয়ক ট্রাম্প প্রশাসনের নীতির কোনো সম্পর্ক নেই।
মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্রও জানান, হেনশোর সরে যাওয়া রুটিন কর্মকা-েরই অংশ।
হেনশো বলেন, পররাষ্ট্র পরিসেবা কর্মকর্তার ৩৩ বছরের ক্যারিয়ারে জনসংখ্যা, শরণার্থী ও অভিবাসন-বিষয়ক ব্যুরোতেই তিনি সবচেয়ে বেশি সময় কাটিয়েছেন।
‘সত্যি কথা বলতে, আমার মনে হচ্ছে, আমি অনেক সময় কাটিয়েছি; সাধারণত দুই তিন বছর পরপর স্থানান্তরে আমি অভ্যস্ত’Ñসাক্ষাৎকারে বলেন হেনশো। নতুন মার্কিন প্রশাসন তাকে ভারপ্রাপ্ত সহকারী পরিচালক বানানোর আগে ২০১৩ সালের জুলাই থেকে হেনশো প্রধান উপ-সহকারী পরিচালকের দায়িত্বে ছিলেন। মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ২২ জানুয়ারি থেকে হেনশোর পদে ক্যারল ও কনেল দায়িত্ব পালন করবেন।
‘এমন একটি বিশ্ব যেখানে শরণার্থী ও উদ্বাস্তুর সংখ্যা বেড়েই যাচ্ছে, সেখানে আমরা যতখানি করেছি, যত মানুষকে সাহায্য করতে পেরেছি তার জন্য আমাদের সবারই গর্বিত হওয়া উচিত’Ñসহকর্মীদের লেখা ই-মেইলে হেনশো এমনটাই বলেছেন বলে জানিয়েছে রয়টার্স।
গত বছর হেনশো দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে ট্রাম্প প্রশাসন যুক্তরাষ্ট্রে শরণার্থী প্রবেশের ক্ষেত্রে কড়াকড়ি আরোপ শুরু করে, এমনকি মাস চারেক এ কর্মসূচি বন্ধও রেখেছিল তারা।
গত মঙ্গলবার এক প্রতিবেদনে রয়টার্স মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের শরণার্থী ভর্তি দফতরের প্রধান লরেন্স বার্টলেটকে অস্থায়ীভাবে তথ্য অধিকার আইনের স্বাধীনতা-বিষয়ক দফতরে বদলি করার কথা জানিয়েছিল।
এর আগে মার্কিন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে থাকা নাগরিকত্ব ও অভিবাসন পরিসেবার শরণার্থী কার্যক্রম বিভাগের প্রধান বারবারা স্ট্রাক চলতি মাসের শেষে অবসরে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন।
"