কুষ্টিয়া প্রতিনিধি

  ০২ ডিসেম্বর, ২০১৯

উত্ত্যক্তের প্রতিবাদের জেরে বাবা ও চাচাকে হত্যা

কুষ্টিয়ায় ৪ জনের ফাঁসি ৭ জনের যাবজ্জীবন

কুষ্টিয়া ভেড়ামারা থানায় কন্যাকে উত্ত্যক্তের প্রতিবাদের জেরে সহোদরকে হত্যাকান্ডের মামলায় চারজনের মৃত্যুদন্ড, সাতজনের যাবজ্জীবন ও একজনের ১০ বছরের কারাদন্ডসহ অর্থদন্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। নিহতরা হলেন কন্যার পিতা মজিবর রহমান মাস্টার ও চাচা মিজানুর রহমান। গতকাল রোববার বেলা সাড়ে ১০টায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ আদালতের বিচারক মুন্সী মো. মশিয়ার রহমান ২০১৬ সালের ২৬ এপ্রিল ভেড়ামারা থানায় নিহতের ছেলে জাহারুল ইসলামের করা মামলায় তিন আসামি পলাতক থাকলেও বাকি সবার উপস্থিতিতে এই রায় ঘোষণা করেন।

মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত হলেন ভেড়ামারা উপজেলার গোলাপনগর গ্রামের নুরুল ইসলামের ছেলে কমল হোসেন মালিথা (২৯), ফকিরাবাদ গ্রামের কাবুল প্রামাণিকের ছেলে কামরুল প্রামাণিক (৪১) ও সুমন প্রামাণিক (৩১) ও একই গ্রামের নজরুল ইসলামের ছেলে (পলাতক) নয়ন শেখ (২৭)।

যাবজ্জীবন দন্ডপ্রাপ্তরা হলেন উপজেলার ফকিরাবাদ গ্রামের ছের আলী শেখের ছেলে নজরুল শেখ (৪৩) ও আবদুর রহিম ওরফে লালিম শেখ (৩৩), একই গ্রামের আকুল মন্ডলের ছেলে মাহফুজুর রহমান ওরফে কবি (৩৩), বেনজির প্রামাণিকের ছেলে হৃদয় আলী (পলাতক), নাজির প্রামাণিকের ছেলে স¤্রাট আলী (পলাতক) প্রামাণিক, গোলাপনগর গ্রামের মৃত নুরুল হক মালিথার ছেলে জিয়ারুল ইসলাম ও আশরাফ মালিথা। এছাড়া প্রধান উত্ত্যক্তকারী আরিফের (১৯) বয়স শিশু বিবেচনায় তাকে ১০ বছরের বিনাশ্রম কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত। দন্ডপ্রাপ্ত সব আসামির প্রত্যেকের ৫০ হাজার টাকা অর্থদন্ডেরও আদেশ দেন আদালত।

মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১৬ সালের ২৫ এপ্রিল এলাকার বখাটে আরিফ উত্ত্যক্তের প্রতিবাদ করার জের ধরে রাতে মসজিদে এশার নামাজ শেষে বাড়ি ফেরার পথে কন্যার পিতা মজিবর রহমান মাস্টার ও চাচা মিজানুর রহমানকে উপর্যুপরি ধারালো অস্ত্রের আঘাতে রক্তাক্ত জখম করে, পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাদের মৃত্যু হয়। ঘটনার পরের দিন ওই স্কুলছাত্রীর ভাই ১১ জনের নামোল্লেখসহ অজ্ঞাত চারজনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close