বিনোদন প্রতিবেদক
‘মিশন এক্সট্রিম’ সিনেমায় তাসকিন রহমান
আরেফিন শুভর পর এবার ‘মিশন এক্সট্রিম’ সিনেমায় যুক্ত হলেন তাসকিন রহমান। সিনেমাটির প্রধান খলনায়ক চরিত্রে অভিনয়ের জন্য সম্প্রতি ‘কপ ক্রিয়েশন’ কর্তৃপক্ষ তাকে চুক্তিবদ্ধ করেছে। এ বছরের মার্চ থেকে সিনেমাটির শুটিং কার্যক্রম শুরু হতে যাচ্ছে।
মিশন এক্সট্রিম সিনেমাটি প্রযোজনা করছে কপ ক্রিয়েশন। এটি হবে বাংলাদেশের দ্বিতীয় পুলিশ অ্যাকশনথ্রিলার সিনেমা। ক্রাইম, থ্রিল, সাসপেন্স এবং অ্যাকশননির্ভর একটি মৌলিক গল্পের ওপর ভিত্তি করে সিনেমাটি নির্মিত হচ্ছে। তাসকিন রহমানকে এই সিনেমায় একটি ভিন্নধর্মী চরিত্রে দেখা যাবে। তাকে এই চরিত্রের জন্য প্রস্তুত করার লক্ষ্যে কয়েক সপ্তাহব্যাপী মনস্তাত্ত্বিক এবং শারীরিক প্রশিক্ষণ প্রদান করা হবে। ‘ঢাকা অ্যাটাক’ সিনেমার মতো এ সিনেমায়ও তাকে খলনায়ক চরিত্রে দেখা গেলেও এবারের চরিত্রটি অনেক বেশি চ্যালেঞ্জিং।
সিনেমার কাহিনি, চিত্রনাট্য এবং সংলাপ লিখেছেন সানী সানোয়ার। পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিট তথা ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের সিটিটিসির কিছু শ্বাসরুদ্ধকর কয়েকটি অভিযান থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে নির্মাণ করা হচ্ছে। সিনেমাটির কাহিনিকার সানী সানোয়ার স্পেশাল পুলিশ ফোর্সের একজন অভিজ্ঞ সদস্য। তিনি তার পেশাগত জীবনের কিছু অভিজ্ঞতা থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে সিনেমার কাহিনি লিখেছেন।
উল্লেখ্য, ২০১৭ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত বাংলাদেশের প্রথম পুলিশ অ্যাকশনথ্রিলার সিনেমা ‘ঢাকা অ্যাটাক’-এর কাহিনিকারও ছিলেন তিনি। সিনেমাটি ব্যাপকভাবে আলোচিত হয় এবং সব শ্রেণির দর্শক কর্তৃক নন্দিত হয়। আর মিশন এক্সট্রিম হতে যাচ্ছে ঢাকা অ্যাটাক টিমের দ্বিতীয় সিনেমা।
মিশন এক্সট্রিম প্রসঙ্গে তাসকিন বলেন, ‘ঢাকা অ্যাটাক-এর পর আবারও খল চরিত্রে অভিনয় করতে যাচ্ছি। বিষয়টি বেশ আনন্দের। আমি সব সময় ভিন্ন ভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করতে পছন্দ করি। এবারও এর ব্যতিক্রম ঘটছে না। বর্তমানে
নতুন সিনেমার জন্য নিজেকে ভিন্নভাবে প্রস্তুত করছি। দারুণ একটি জার্নি আমার
জন্য অপেক্ষা করছে।’
এদিকে ছবিটি পরিচালনা করবেন ফয়সাল আহমেদ। তিনি ঢাকা অ্যাটাক সিনেমায় প্রধান সহকারী পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। নির্মাতা জানান, পরবর্তীতে সিনেমাটির অন্যান্য তথ্য এবং গুরুত্বপূর্ণ কলাকুশলীদের নাম পর্যায়ক্রমে জানানো হবে। ২০১৯ সালের মাঝামাঝি সময়ে সিনেমাটি মুক্তি দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে।
"