চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি
চাঁপাইয়ে নতুন জাতের আম ‘তাইওয়ান গ্রিন’ মিলবে সেপ্টেম্বর জুড়ে
আমের রাজধানী চাঁপাইনবাবগঞ্জ। সেখানে আগাম উন্নত জাতের আমের মধ্যে রয়েছে গোপালভোগ, ক্ষিরসাপাতা বা হিমসাগর, ল্যাংড়া। আর মধ্যম জাতের মধ্যে রয়েছে ফজলি। সব মিলিয়ে ২৫০ থেকে ৩০০ জাতের আম এই চাঁপাইনবাবগঞ্জে উৎপাদন হয়। এর মধ্যে নাবী জাতের আম রয়েছে আশ্বিনা। হালে যোগ হয়েছে ‘গৌড়মতি’। এর সঙ্গে আরো একটি জাত যোগ হতে যাচ্ছে, নাম ‘তাইওয়ান গ্রিন’।
চাঁপাইনবাবগঞ্জের কল্যাণপুর হর্টিকালচার সেন্টারের গবেষণার ফসল এই তাইওয়ান গ্রিন আম। নতুন জাতটি এসেছে ভিয়েতনাম থেকে। কল্যাণপুর হর্টিকালচার সেন্টার গত চার বছর ধরে গবেষণা করে এ বছর সফলতা পেয়েছে। নাবী জাতের এ আমের দারুণ চাহিদা রয়েছে দেশ-বিদেশে। আকারে লম্বাটে, দেখতে অনেকটা ফজলি জাতের মতো। আগস্টের শেষ নাগাদ বা সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহ থেকে এই আম পাকতে শুরু করে। পুরো সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এই আম পাওয়া যাবে। প্রতিটির ওজন ৮০০ গ্রাম থেকে এক কেজির কাছাকাছি। আঁটি ও খোসা মিলে ১৩ দশমিক ৮১ শতাংশ। ভক্ষণ উপযোগী অংশ ৮৬ দশমিক ১৯ শতাংশ। মিষ্টতা প্রায় ১৫ শতাংশের কাছাকাছি। গাছের উচ্চতা ১৫-১৬ ফুটেরও অধিক। ভর্তি থাকে ডালপালায়।
কল্যাণপুর হর্টিকালচার সেন্টারের উপপরিচালক কৃষিবিজ্ঞানী ও গবেষক কৃষিবিদ ড. সাইফুর রহমান জানান, এর আগে কোনো আম নিয়ে এত দীর্ঘ সময় ধরে গবেষণা করতে হয়নি। তবে এবারই প্রথম উৎপাদনে সফলতা আসায় তারা খুবই আনন্দিত।
হর্টিকালচার সেন্টারের সহ-গবেষক জোহরুল ইসলাম জানান, এত বড় সাইজের নাবী জাতের আম এই উপমহাদেশে খুবই বিরল। ব্যাপক হারে এই জাতের চাষাবাদ শুরু হলে কৃষকরা খুবই উপকৃত হবেন। মৌসুমের শেষ পর্যায়ে এ আম বাজারজাত করা হলে কয়েকগুণ বেশি দাম পাওয়ার সম্ভাবনাও থাকবে। নতুন জাতের আমটি কৃষকদের মাঝে ব্যাপক সাড়া ফেলবে বলেও আশা প্রকাশ করেন এই দুই কর্মকর্তা।
"