কোটালীপাড়া (গোপালগঞ্জ) প্রতিনিধি

  ১৮ অক্টোবর, ২০১৯

মাদ্রাসার ২০ ছাত্রের চুল কেটে দিলেন অধ্যক্ষ

‘ওদের পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা শেখানোর জন্য এ কাজ করেছি’

গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলায় পরীক্ষা চলার সময়ে ২০ ছাত্রের চুল কেটে দিয়েছেন অধ্যক্ষ। এ ঘটনায় পরীক্ষা না দিয়ে ছাত্ররা হল থেকে বেরিয়ে যায়। পরে শিক্ষকদের মধ্যস্থায় ছাত্ররা হলে ঢুকে পরীক্ষা দেয়। এ নিয়ে ছাত্রদের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। গত বুধবার উপজেলার কুশলা নেছারিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসায় এ ঘটনা ঘটে।

কুশলা নেছারিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসার দাখিল শ্রেণির শিক্ষার্থী ইয়ামিন শিকদার, মাহামুদুল হাসান, রমজান ফকির, ইয়াসিন খান, রহমত শেখ, রিপন, ইয়াসিন শেখ জানায়, বাংলা পরীক্ষা চলছিল। এ সময় হঠাৎ করে অধ্যক্ষ মো. বাকের হোসাইন কাঁচি (কেচি) দিয়ে ২০ ছাত্রের মাথার চুল কেটে দেন। এ ঘটনার পর ছাত্ররা পরীক্ষা না দিয়ে হল থেকে বেরিয়ে যায়। পরে মাদ্রাসাটির অন্যান্য শিক্ষকদের মধ্যস্থায় ছাত্ররা তাদের পরীক্ষা শেষ করে।

এক ছাত্র জানায়, বাংলা পরীক্ষার ১ম ঘণ্টা পড়ার পর হঠাৎ করে হুজুর আমাদের হলে ঢুকে সব ছাত্রের চুল কেটে দেয়। এ ঘটনার পর আমরা পরীক্ষায় না দিয়ে বেরিয়ে আসার পর আমাদের দাখিল পরীক্ষার ফরম পূরণ করতে দেয়া হবে না বলে শাসানো হয়। এরপর আমরা পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করি।

কুশলা নেছারিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মো. বাকের হোসেনের কাছে এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, আমি দাখিল শ্রেণির সব ছাত্রকে পরীক্ষার আগের দিন চুল কেটে মাদ্রাসায় আসতে বলেছি। ছাত্ররা আমার কথার অবাধ্য হওয়ার কারণে ওদের চুল কেটে দিয়েছি। আমি ওদের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নভাবে থাকা ও নীতি-নৈতিকতা শিক্ষা দেওয়ার জন্যই চুল কেটে দিয়েছি। তবে আমি কাউকে ফরম পূরণ করতে দেব না এ কথা বলিনি। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এস এম মাহফুজুর রহমান বলেন, বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে। যদি সত্যতা পাওয়া যায় তাহলে বিধি মোতাবেক অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close