নিজস্ব প্রতিবেদক

  ১৮ জুন, ২০১৯

শেখ হাসিনা এখন আ.লীগের চেয়েও বড় : কাদের

যোগ্যতা, দক্ষতা, ব্যক্তিত্ব আর বিচক্ষণতায় শেখ হাসিনা নিজেকেই নিজে ছাড়িয়ে গেছেন মন্তব্য করে ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আওয়ামী লীগ সভানেত্রী এখন ‘আওয়ামী লীগের চেয়েও বড়’। দলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী সামনে রেখে গতকাল সোমবার ঢাকার বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ শাখার বর্ধিত সভায় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্ব ‘প্রতিষ্ঠিত’ হয়ে গেছে আর এটা শুধু বাংলাদেশে নয়, ‘সারা পৃথিবীতে’। শেখ হাসিনা নিজেই তার যোগ্যতা দিয়ে, দক্ষতা দিয়ে নিজেকে অতিক্রম করেছেন। শেখ হাসিনা তার ব্যক্তিত্ব দিয়ে, গৌরব দিয়ে, সাহস দিয়ে, বিচক্ষণতা দিয়ে প্রমাণ করেছেন, ‘শি ইজ লারজার দ্যান আওয়ামী লীগ’।

নেতাকর্মীদের উদ্দেশে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘আমাদের পার্টি শেখ হাসিনার সমকক্ষ হতে পারেনি। কেন, কী দুর্বলতার কারণে? সেগুলো চিহ্নিত করতে হবে। দলের স্বার্থে কাজ করুন, দলের ত্যাগী কর্মীদের মূল্যায়ন করুন। ইস্টার সানডের দিন শ্রীলঙ্কায় গির্জা আর হোটেলে ভয়াবহ জঙ্গি হামলার মতো ঘটনা যেন বাংলাদেশে না ঘটতে পারে, সে বিষয়েও আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের সতর্ক থাকতে হবে।’

তিনি জানান, সবাই যেকোনো পরিস্থিতিতে ঐক্যবদ্ধ থাকুন। এ দেশে হলি আর্টিজান ঘটেছে। হলি আর্টিজানের পর এই ঢাকা শহরের অবস্থা কী ছিল? অনেক দিন মনে হয়েছিল, যেন মরা একটা ভুতুড়ে শহর। শ্রীলঙ্কায় যা ঘটেছে, বাংলাদেশে তা ঘটবে নাÑ এমনটা মনে করার কোনো কারণ নেই। সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে, সংগঠন শক্তিশালী করতে হবে।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘ঐক্য আমাদের সবচেয়ে বড় হাতিয়ার। এ হাতিয়ারই আমাদের যেকোনো আঘাত, আক্রমণ থেকে রক্ষা করতে পারে।’ কমিটি গঠনে কর্মীদের মূল্যায়ন করার আহ্বান জানিয়ে মহানগর আওয়ামী লীগ নেতাদের তিনি বলেন, ‘আমি আপনাদের একটা কথা বলব, ফাঁকি দেবেন না। জোড়াতালি দিয়ে আওয়ামী লীগ করবেন না। দুঃসময়ের ত্যাগী কর্মীদের অবহেলা করে আওয়ামী লীগ টিকবে না। কোনো স্বার্থের বশে আওয়ামী লীগের কমিটি গঠন করবেন না। পকেট কমিটি কারো কাজে আসবে না। সুবিধাভোগীদের পার্টি আওয়ামী লীগ নয়, এটা মনে রাখতে হবে। দলের যখন আবার দুঃসময় আসবে, তখন দেখবেন সুবিধাভোগীরা, বসন্তের কোকিলরা হাজার পাওয়ারের বাতি জ্বালিয়েও এদের খোঁজে পাওয়া যাবে না। এটা আমাদের সবাইকে মনে রাখতে হবে, যদি আওয়ামী লীগকে বাঁচাতে চান।’

মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল হাসনাতের সভাপতিত্বে কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মুহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, ঢাকা দক্ষিণ সিটির মেয়র সাইদ খোকন, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সদস্য মির্জা আজম, দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ বর্ধিত সভায় বক্তব্য দেন।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close